দেশের স্থানীয় অঞ্চলগুলিকে উড়ানের মাধ্যমে জোড়ার বার্তা দিয়ে কেন্দ্র ‘উড়ান’ প্রকল্প চালু করেছে বহু দিন। কিন্তু এখনও সে ভাবে প্রত্যন্ত প্রান্তে আঞ্চলিক ওই পরিষেবা পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ। সেই ফাঁকই ভরাট করতে চান বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছনোর ‘অ্যাপ’ জ়োম্যাটো-র প্রতিষ্ঠাতা দীপেন্দ্র গয়াল। সমাজমাধ্যমে এই ইঙ্গিত দিয়েছেন জ়োম্যাটোর প্রাক্তন সিওও এবং নতুন উড়ান সংস্থা এলএটি এয়ারোস্পেস-এ দীপেন্দ্রর সহ-প্রতিষ্ঠাতাসুরভী দাস।
সুরভীর দাবি, জ়োম্যাটো তৈরির সময় তাঁদের সারা দেশ ঘুরতে হত। তখনই প্রশ্ন জাগে, ভারতে ৪৫০-র বেশি বিমানবন্দর থাকলেও মাত্র ১৫০টিতে উড়ান চলে। তার উপরে ভাড়া চড়া, সব সময় টিকিট মেলে না। মেট্রো শহরে না থাকলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পরিষেবার সুবিধাই নেই। অর্থাৎ, দুই-তৃতীয়াংশ বিমানবন্দর পড়ে, অথচ দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শহরের বাসিন্দাদের সময় নষ্ট করে সড়ক বা রেলপথে যাতায়াত করতে হয়। এই ভাবনা থেকেই দীপেন্দ্র এবং তিনি এলএটি এয়ারোস্পেস চালু করেন, দাবি সুরভীর।
তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের পরিষেবা কিছুটা ‘আকাশে বাসের’ মতো হবে। যেখানে মানুষ থাকেন, সেখানেই গাড়ি রাখার পার্কিং লটের মতো জায়গা থেকে সংস্থার বিমানউড়ান পরিষেবা দেবে। এতে ঝক্কি কমবে, দীর্ঘক্ষণ সুরক্ষা সংক্রান্ত পরীক্ষার লাইনে দাঁড়াতে হবে না। যদিও সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, সুরক্ষাসংক্রান্ত পরীক্ষা জরুরি। পরিষেবার প্রযুক্তিগত দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন থাকছে। ফলে সন্দেহ থাকছে ছাড়পত্র মেলা বা যাত্রীদের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়া নিয়ে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)