সাংবাদিক বৈঠকে উদয় কোটাক। ছবি: পিটিআই।
আইএনজি বৈশ্য ব্যাঙ্ককে ১৫ হাজার কোটি টাকায় কিনে নেওয়ার কথা বৃহস্পতিবার ঘোষণা করল কোটাক মহীন্দ্রা ব্যাঙ্ক। সে ক্ষেত্রে এটাই হবে ভারতে ব্যাঙ্কিং শিল্পে বৃহত্তম সংযুক্তি।
কোটাক মহীন্দ্রা ব্যাঙ্কের ভাইস চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর উদয় কোটাক জানিয়েছেন, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, প্রতিযোগিতা কমিশনের কাছ থেকে নিয়ম মাফিক অনুমোদন মিললে আগামী ১ এপ্রিলের মধ্যেই আইএনজি বৈশ্য ব্যাঙ্ক তাঁদের হাতে এসে যাবে। শেয়ার হস্তান্তরের মাধ্যমেই আইএনজি বৈশ্যকে কিনবে কোটাক মহীন্দ্রা। অধিগ্রহণের শর্ত অনুযায়ী আইএনজি বৈশ্যের ১০ টাকা দামের প্রতি ১,০০০টি শেয়ারের বিনিময়ে মিলবে কোটাক মহীন্দ্রা ব্যাঙ্কের ৫ টাকা দামের (মূল দর) ৭২৫টি শেয়ার। চলতি মাসে বাজার বন্ধের সময়কার দরের গড় ধরলে আইএনজি বৈশ্য ব্যাঙ্কের প্রতিটি শেয়ারের দাম ৭৯০ টাকা দাঁড়াবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের ইঙ্গিত। সেই হিসেবে এই লেনদেন-মূল্য ১৫,০৩৩ কোটি টাকায় দাঁড়াবে।
অধিগ্রহণ পর্ব মিটলে ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম বেসরকারি ব্যাঙ্ক কোটাক মহীন্দ্রার ব্যবসার অঙ্ক ছোঁবে ২ লক্ষ কোটি টাকা। সে ক্ষেত্রে আগামী বছরেই নতুন ব্যাঙ্ক চালু হওয়ার আগে নিজেদের বাজার বাড়িয়ে নিতে এই অধিগ্রহণ সাহায্য করবে কোটাক মহীন্দ্রাকে, যে কারণে এই উদ্যোগ বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি। সারা দেশে সংযুক্ত ব্যাঙ্কটির শাখা হবে ১২১৪টি।
নেদারল্যান্ডসের আর্থিক সংস্থা আইএনজি গোষ্ঠীর ৪২.৭৩% শেয়ার রয়েছে আইএনজি বৈশ্য ব্যাঙ্কে। সংযুক্তির পর নতুন সংস্থায় তা নেমে আসবে ৬.৫ শতাংশে। আইএনজি হবে কোটাক মহীন্দ্রা ব্যাঙ্কের দ্বিতীয় বৃহত্তম শেয়ারহোল্ডার। উদয় কোটাকের অংশীদারিও এখনকার ৪০.১২% থেকে নামবে ৩৪ শতাংশে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশ অনুসারে ২০১৬-র মধ্যে তাঁকে নিজের হাতে থাকা শেয়ারের পরিমাণ ৩০ শতাংশে নামাতে হবে, এই অধিগ্রহণ যাতে সাহায্য করবে।
এ দিন এই সংযুক্তির ঘোষণা হয় শেয়ার বাজার বন্ধের পরে। তবে এর আগাম ইঙ্গিত মেলায় আইএনজি বৈশ্য ব্যাঙ্কের শেয়ার দর প্রায় ৫% বেড়ে বিএসই-তে বন্ধ হয় ৮১৪.২০ টাকায়। কোটাক মহীন্দ্রার ৭% বেড়ে দাঁড়ায় ১১৫৭.০৫ টাকা।
এর আগে ব্যাঙ্কিং শিল্পে বড়সড় অধিগ্রহণ হয় ২০১০ সালে। সে বছর ব্যাঙ্ক অব রাজস্থান মিশেছিল আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কে। তবে ব্যাঙ্ক অব রাজস্থান লোকসানে চলছিল। তার নিট সম্পদ নেমেছিল শূন্যের নীচে। ওই বছরেই স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইনদওর মিশে যায় স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ায়। এটিও ছিল বিভিন্ন সহযোগী ব্যাঙ্ককে এসবিআইয়ে মিশিয়ে দেওয়ার নীতিরই অঙ্গ। তাই কোটাক-মহীন্দ্রায় আইএনজি বৈশ্য ব্যাঙ্কের মিশে যাওয়াটি ভিন্ন ধরনের বলে ব্যাঙ্কিং শিল্প সূত্রের দাবি। কারণ এ যাত্রায় মিশছে দু’টি লাভজনক ব্যাঙ্ক, ২০০৮ সালের মন্দা পরবর্তী জমানায় যা প্রথম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy