Advertisement
E-Paper

কমলো খুচরো-পাইকারি বাজারের মূল্যবৃদ্ধি, আশঙ্কা ঘাটতি বর্ষা নিয়ে

বর্ষা কম হওয়ার আশঙ্কার মধ্যেই আপাত স্বস্তি। একইসঙ্গে পাইকারি ও খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধির হার বেশ কিছুটা নেমে গিয়েছে জুনে। পাইকারি মূল্য সূচকের ভিত্তিতে হিসাব করা সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির হারের পাশাপাশি অনেকটা কমেছে খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধিও। মূলত শাক-সব্জির দাম কমার জেরেই মানুষের দৈনন্দিন খরচের বোঝা কিছুটা লাঘব হয়েছে বলে আজ প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৪ ০২:৫৮

বর্ষা কম হওয়ার আশঙ্কার মধ্যেই আপাত স্বস্তি। একইসঙ্গে পাইকারি ও খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধির হার বেশ কিছুটা নেমে গিয়েছে জুনে। পাইকারি মূল্য সূচকের ভিত্তিতে হিসাব করা সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির হারের পাশাপাশি অনেকটা কমেছে খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধিও। মূলত শাক-সব্জির দাম কমার জেরেই মানুষের দৈনন্দিন খরচের বোঝা কিছুটা লাঘব হয়েছে বলে আজ প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে।

পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হার গত চার মাসের মধ্যে সবচেয়ে নীচে নেমে জুনে হয়েছে ৫.৪৩%। খুচরো বাজারের ক্ষেত্রে তা গত আড়াই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অঙ্কে নেমে ছুঁয়েছে ৭.৩১%।

প্রসঙ্গত, মে মাসেই সার্বিক মূল্যবৃদ্ধি ছিল ৬.০১%, যা গত ৫ মাসে সর্বোচ্চ। ২০১৩-র জুনে অবশ্য তা ছিল ৫.১৬%। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, শাক-সব্জি, ভোজ্য তেল, চিনি, পেঁয়াজের দাম কমায় এ বার নিম্নমুখী সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির হার। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব্জির অন্যতম আলুর দাম বেড়েছে ৪৫.৫২%। সাধারণ ভাবে মে মাসের তুলনায় শাক-সব্জির দাম কমেছে ৫.৮৯%, পেঁয়াজ ১০.৭%। তবে ফল বেড়েছে ২১%, দুধ ১১%, ডিম-মাছ-মাংস ১০% ও চাল ১০%।

পাশাপাশি, খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধির হার মে মাসে ছিল ৮.২৮%। ২০১২-র জানুয়ারি থেকে কেন্দ্র খুচরো মূল্যবৃদ্ধির পরিসংখ্যান শতাংশের হিসেবে প্রকাশ করতে শুরু করে। ওই জানুয়ারিতে তা ছিল ৭.৬৫%, যা এ পর্যন্ত ছিল খুচরো মূল্যবৃদ্ধির সর্বনিম্ন হার। গত জুনে তা নেমেছে ৭.৩১ শতাংশে। খুচরো বাজারেও জুনে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নেমেছে ৭.৯৭ শতাংশে। মে মাসে তা ছিল ৯.৫৬%।

পাইকারি ও খুচরো বাজারে দাম কমার এই জোড়া সুখবরের মধ্যে অবশ্য সরকারের মাথাব্যথার কারণ ঘাটতি বর্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তা। বিশেষত পশ্চিম ভারতে তা এ পর্যন্ত একেবারেই কম। ওই অঞ্চলে সেচের সুযোগও সীমিত বলে উদ্বেগ জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এর হাত ধরে মূল্যবৃদ্ধির হার যাতে ফের মাথা তুলতে না-পারে, সে জন্য কেন্দ্রকে সজাগ থাকতে বলেছে শিল্পমহল। তাদের মতে, সম্প্রতি মজুতদারি ও কালোবাজারি রুখতে নরেন্দ্র মোদীর সরকার যে-সব ব্যবস্থা নিয়েছে, জুনে মূল্যবৃদ্ধি নেমে আসাটা তারই সুফল। তাদের মতে এই হারে স্থিতি আনাটা এই মুহূর্তে জরুরি।

বণিকসভা সিআইআইয়ের ডিরেক্টর জেনারেল চন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আসার পাশাপাশি শিল্পোৎপাদন ঘুরে দাঁড়ানোটা অর্থনীতিতে জোগানের সমস্যা কমে আসার ইঙ্গিত। যা বৃদ্ধির গতি দ্রুত হওয়ার সবুজ সঙ্কেত বলে ধরা যেতে পারে। বাজেটে কৃষি সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলি ঠিক মতো রূপায়িত হলে মূল্য স্তরে স্থিতি ফিরবে।” মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ বহাল রাখার দাবি অ্যাসোচ্যামেরও। এর প্রেসিডেন্ট রানা কপূর বলেন, “আলু, টম্যাটো যখন খবরের শিরোনাম দখল করে, তখন সংস্কারের জন্য সরকারের সাহসী পদক্ষেপ দুষ্কর হয়। তাই রাজ্যগুলিকে পাশে নিয়ে কেন্দ্রকে অত্যাবশ্যক পণ্যের মূল্য- বৃদ্ধিতে রাশ টানতে হবে।”

inflation monsoon Retail wholesale market price
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy