Advertisement
E-Paper

চাহিদা মাফিক তথ্য পেলেই অ্যাকাউন্ট ব্যবহারে অনুমতি

সহারা কর্ণধারকে জামিনে ছাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় ১০,০০০ কোটি টাকা জোগাড়ের পথ করে দিতে তৈরি সুপ্রিম কোর্ট। সে ক্ষেত্রে আদালত যে সংস্থাকে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার অনুমতি দিতে রাজি, সে কথা বুধবার স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছে বিচারপতি কে এস রাধাকৃষ্ণন ও জে এস খেহরের বেঞ্চ। শুধু তা-ই নয়, সহারার সম্পত্তি বিক্রির উপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট, সেটাও আগামী দিনে তুলে নিতে পারে তারা।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৪ ০১:৪৬

সহারা কর্ণধারকে জামিনে ছাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় ১০,০০০ কোটি টাকা জোগাড়ের পথ করে দিতে তৈরি সুপ্রিম কোর্ট। সে ক্ষেত্রে আদালত যে সংস্থাকে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার অনুমতি দিতে রাজি, সে কথা বুধবার স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছে বিচারপতি কে এস রাধাকৃষ্ণন ও জে এস খেহরের বেঞ্চ। শুধু তা-ই নয়, সহারার সম্পত্তি বিক্রির উপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট, সেটাও আগামী দিনে তুলে নিতে পারে তারা। তবে তার জন্য সংস্থাকে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং সম্পত্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সর্বোচ্চ আদালতের কাছে পেশ করতে হবে। এবং তা খতিয়ে দেখার পরই বিষয় দু’টিতে সায় দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব বলে জানিয়েছে বেঞ্চ।

এর আগে সুপ্রিম কোর্টের এই বেঞ্চই তাদের অনুমতি ছাড়া সহারার সম্পত্তি বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারির পাশাপাশি তাদের সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। লগ্নিকারীদের দ্রুত ২০,০০০ কোটি টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা বা তাদের কর্তাকে ১০,০০০ কোটির জামিনে ছাড়ানোর পথে যে নির্দেশকে সব থেকে বড় প্রতিবন্ধকতা বলে বারে বারেই বলে আসছে সহারা। এ দিনও সেই সমস্যার কথাই ফের তুলে ধরেন সহারা পক্ষের আইনজীবী। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সহারা কর্তা এখন জেলের কুঠুরিতে। কিন্তু সেখানে বসে ব্যবসা করা যায় না। পরে সেই পরিপ্রেক্ষিতেই বেঞ্চ বলে, “আমরা ওই সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিতে রাজি। সহারা বলুক যে, তারা টাকা জোগাড় করতে চায়। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও সম্পত্তির খুঁটিনাটি তথ্য জানাক তারা। এখনও পর্যন্ত যা আমরা জানি না।” সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে ওই সব তথ্য জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সহারাও।

এ দিন লগ্নিকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে সহারা-সেবি মামলার শুনানিতে প্রথম থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আদালতের পরিবেশ। যুক্তি পেশের জন্য অন্তত তিন ঘণ্টা সময় দিতে হবে, সুব্রতবাবুর আইনজীবীর এই দাবি ঘিরে বেঞ্চের সঙ্গে বাঁধে বিতণ্ডা। যার পর একে একে আরও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে তীব্র আপত্তি ও অসন্তোষ প্রকাশ করা হতে থাকে সহারার পক্ষ থেকে। যার মধ্যে রয়েছে, দোষী সাব্যস্ত না-হওয়া সত্ত্বেও সুব্রতবাবুকে এত দিন ধরে তিহাড়ের মতো জেলে বন্দী করে রাখার বিষয়টি। সহারার মতে, এটা বেআইনি। সংস্থার আইনজীবীর যুক্তি, এটা কার্যত সুব্রতবাবু ও তাঁর সঙ্গে বন্দী সহারার দুই ডিরেক্টরের জীবনযাপনের মৌলিক অধিকার ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকার কেড়ে নেওয়া। যা এক অর্থে অসাংবিধানিক।

তাঁদের দাবি, দোষী প্রমাণিত না-হওয়া সত্ত্বেও কাউকে অপরাধীদের সঙ্গে একই জেলে এক দিন আটকে রাখা, যে কোনও দেওয়ানি আদালতে অনেক দিন থাকার থেকেও বেশি। সে ক্ষেত্রে সুব্রতবাবুদের তো এত দিন ধরে সেখানে থাকতে হচ্ছে। ফলে এমনিতেই যথেষ্ট সাজা হয়েছে তাঁদের। পাশাপাশি বারে বারে টাকা ফেরতের বিভিন্ন প্রস্তাব পেশ করা সত্ত্বেও যে ভাবে সর্বোচ্চ আদালত তার অবস্থানে অনড় হয়ে আছে, তাতেও অসন্তোষ প্রকাশ করেন সহারার আইনজীবীরা।

sahara subrata roy
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy