নতুন শিল্পোদ্যোগের ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে পরামর্শ দেওয়ার জন্য আগেই ‘ইনকিউবেশন সেন্টার’ তৈরি করেছিল কলকাতার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (আইআইএমসি)। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়ায় শুধু উপদেষ্টার ভূমিকা ছাড়া কোনও সংস্থায় অংশীদারি নিতে পারত না আইআইএমসি। এ বার সেই লক্ষ্যে ‘আইআইএম ক্যালকাটা ইনোভেশন পার্ক’ (আইআইপি) শীর্ষক পৃথক একটি সংস্থা গঠন করল তারা।
আইআইএমসি-র শিক্ষক অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা সব সময়ে নতুন ভাবনা ও শিল্পের বিকাশ চাই। আইআইপি-র মাধ্যমে সে রকম ভাবনাকে আর্থিক ভাবে স্বাধীন ও দীর্ঘ মেয়াদি ব্যবসায়িক প্রকল্প হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।” অশোকবাবু ছাড়া আইআইএমসি-র ডিরেক্টর শৈবাল চট্টোপাধ্যায়, ও ডিন অনিন্দ্য সেন (শিক্ষা) আইআইপি-র পরিচালন পর্ষদে ডিরেক্টর হয়েছেন।
বিদেশে তো বটেই, এ দেশেও আইআইএম-আমদাবাদ, আইআইটি-মাদ্রাজ-সহ বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিল্পোদ্যোগ বাস্তবায়িত করতে এ ধরনের পৃথক সংস্থা রয়েছে। আইআইএমসি-র দাবি, পূর্বাঞ্চলে আইআইপি-ই প্রথম এ ধরনের সংস্থা। পাঁচ বছরে ৪০টি নতুন শিল্পোদ্যোগকে রূপ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে আইআইপি। আপাতত স্বাস্থ্য, পরিচ্ছন্ন শক্তি, অ্যানালিটিক্স বা বিশ্লেষণ, শিক্ষা ও জীবনযাত্রার মতো ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করেছে তারা। ওই সব সংস্থায় ২-৫% অংশীদারি নেবে আইআইপি।
আইআইপি-র দুটি ভাগ: ইনকিউবেশন ইউনিট ও ইনোভেশন ল্যাব। প্রথমটিতে আইআইএমসি প্রাক্তনী ও শিক্ষকেরা নয়া সংস্থাকে তার ব্যবসায়িক পরিকল্পনা করা থেকে শুরু করে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল সংস্থার সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপনে সার্বিক ভুমিকা পালন করবে। আর ব্যবসা শুরু করা সংস্থা গবেষণা ও ব্যবসায়িক জ্ঞানের জন্য সাহায্য নেবে দ্বিতীয়টির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy