এ বার যুদ্ধজাহাজ রফতানিও করবে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা গাডের্নরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স (জিআরএসই)। আগামী মাসেই মরিশাসে প্রথম জাহাজটি রফতানি করবে তারা, বরাতের অঙ্ক ৫ কোটি মার্কিন ডলার (প্রায় ৩০০ কোটি টাকা)। পাশাপাশি, রফতানি ব্যবসা বাড়াতে নতুন বাজারের খোঁজেও রয়েছে সংস্থাটি। মূলত ভারতীয় নৌ সেনার জন্যই যুদ্ধজাহাজ তৈরি করে জিআরএসই।
প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র ও শিল্পের মধ্যে সমন্বয় সংক্রান্ত সিআইআই-এর এক সভার ফাঁকে সম্প্রতি জিআরএসই-র সিএমডি রিয়ার অ্যাডমিরাল এ কে বর্মা জানান, মরিশাসের উপকূলরক্ষা বাহিনী ওই জাহাজ তৈরির বরাত দিয়েছিল। ভারতে তৈরি এ ধরনের জাহাজ এই প্রথম রফতানি করা হবে। মরিশাসের পরে রফতানির ক্ষেত্রে কোন কোন দেশ তাঁদের লক্ষ্য, সে নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে চাননি বর্মা। তবে এক প্রশ্নের জবাবে তিনিন জানান, পূর্ব এশিয়া, লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকার বিভিন্ন এলাকায় রফতানি ব্যবসার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।
পাশাপাশি ভারতীয় নৌ সেনার কাছ থেকে জিআরএসই ১৬টি যুদ্ধজাহাজ তৈরির জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার বরাতও পেয়েছে। ইতিমধ্যেই একটি জাহাজ নৌ সেনার হাতে তুলে দিয়েছে তারা। আগামী বছরে আরও কয়েকটি জাহাজ তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বর্মা।
এ দিকে, প্রতিরক্ষায় বিদেশি লগ্নির ঊর্ধ্বসীমা বৃদ্ধি (২৬ থেকে ৪৯%) নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরোধী তৃণমূল কংগ্রেস। এ দিন ওই সভায় সেই অবস্থানের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে রাজ্যের শিল্প তথা অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের দাবি, তাতে কাজের কাজ কিছু হবে না। শুধু ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়েই প্রতিরক্ষায় বিদেশি লগ্নি বা প্রযুক্তি আসবে না। তাঁর দাবি, এটা কার্যত ঘোড়ার আগে গাড়ি জুতে দেওয়ারই নামাম্তর মাত্র।
তাঁর বক্তব্য, আমেরিকার মতো উন্নত দেশগুলি বাস্তবে প্রতিরক্ষা খাতে প্রযুক্তি হস্তান্তরের বিরোধী। যেমন বছর ছয়েক আগে আমেরিকায় নানা সরকারি বাধা পেরিয়ে ১৪টি প্রযুক্তির মধ্যে মাত্র দু’টি হাতে পাওয়ার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র মিলেছিল। তাই তাঁর বক্তব্য, বিদেশি লগ্নির চেয়ে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে শক্তিশালী করে প্রতিরক্ষায় আমদানি কমাতে হবে। সে ক্ষেত্রে দেশের উৎপাদন শিল্প চাঙ্গা হবে ও নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।