মারধরে আহত অধ্যাপক ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। —নিজস্ব চিত্র
নিউটাউনের আবাসনের মধ্যেই আক্রান্ত সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের রসায়নের বিভাগীয় প্রধান অঙ্কুর রায় ও তাঁর পরিবারের লোকজন। বেধড়ক মারধরের অভিযোগ তাঁর প্রতিবেশী গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের মেহেদি হোসেনের বিরুদ্ধে।
লোহার রড দিয়ে অঙ্কুর, তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। নিউটাউন থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। পুরনো বিবাদের জেরেই এই ঘটনা বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান পুলিশের।
অঙ্কুর অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন, গত ১৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। নিজেদের গাড়ি পার্ক করে লিফটে ওঠার সময় আচমকাই তাঁদের উপর চড়াও হয় ৪-৫ জন দুষ্কৃতী। তাঁদের মধ্যে ছিলেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেহেদী হোসেনের দুই ভাই। প্রথমে অঙ্কুরের স্ত্রী সাবিনা খাতুনকে মারধর করা হয় লোহার রড দিয়ে। তাঁকে বাঁচাতে গেলে অঙ্কুরকেও মারধর করে দুষ্কৃতীরা। বাদ যায়নি তাঁদের ১৪ বছরের ছেলেও।
আরও পড়ুন: মেঠো কবাডি থেকে সবুজ গল্ফ কোর্সে, নব্য অবতারে ময়দানে নয়া দিলীপ
কিন্তু কেন এমন হামলা? তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, বছরখানেক আগে গাড়ি পার্কিং নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। সেই বিষয়টি এখন আদালতে বিচারাধীন। সেই বিবাদের জেরেই এই হামলা বলে মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা। যদিও অঙ্কুর জানিয়েছেন, এই হামলার বিষয়ে তিনি কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না।
আরও পড়ুন: কোভিড পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বাংলা-সহ অন্য রাজ্যে পর্যবেক্ষক পাঠানোর ভাবনা কেন্দ্রের
ওই আবাসনেরই চার তলায় থাকেন মেহেদি হোসেন। ঘটনার পর থেকেই ওই ফ্ল্যাট বাইরে থেকে তালাবন্ধ। ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমি কলকাতার বাইরে রয়েছি। আমার ভাইদের উপর হামলা হয়েছে। ওরা ভয় পেয়ে চলে গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy