রবীন্দ্রনাথের প্রযুক্তিভাবনা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে প্রথমেই প্রয়োজন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আন্তঃসম্পর্ক নির্ধারণ। রবীন্দ্রনাথের বিজ্ঞানভাবনা ও তাঁর জীবনদর্শন, দ্বারকানাথ, সাধনা বক্তৃতামালা, মুক্তধারা ও রক্তকরবী, মানুষের ধর্ম প্রসঙ্গে সুব্রত ঘোষের রবীন্দ্রনাথ ও প্রযুক্তি (সিগনেট। ৩০০.০০) বইয়ে আছে আলোচনা ও বিশ্লেষণ। এ ছাড়াও আছে প্রণব বর্ধনের মূল্যবান ভূমিকা।
বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সঙ্গে জন্মলগ্ন থেকেই কবি জড়িত ছিলেন। এই সম্পর্কের ইতিবৃত্ত তুলে ধরেছেন উজ্জ্বলকুমার দে তাঁর রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ (পরি: পুস্তক বিপণি। ১৫০.০০) বইতে।
সুদেষ্ণা মৈত্র সম্পাদিত রবীন্দ্রনাথ/ নদী পথ পাখি (দ্য কাফে টেবল। ১৫০.০০)। রবীন্দ্রজীবন ও সাহিত্যে চলমান গতিধারার যে বড় ভূমিকা, তা ‘রবীন্দ্রনাথের এই নদী, পথ, পাখির চিত্রকল্পগুলির ভাবনা থেকে’ বুঝতে পারবেন পাঠক, ভূমিকা-য় লিখেছেন পিনাকেশ সরকার। বোলপুর বা শান্তিনিকেতন বাদ দিলে হুগলি জেলা বা হুগলি নদীপথের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের পারিবারিক ও ব্যক্তিগত সম্পর্ক অনেকটাই এবং আজীবন। রবীন্দ্রজীবন ও সাহিত্যের অনুপুঙ্খ তথ্যানুসন্ধানে তৈরি কালিদাস হাজরার রবীন্দ্রনাথ ও হুগলি অঞ্চল (দশ দিগন্ত। ১৫০.০০) আঞ্চলিক ইতিহাস পুনরুদ্ধারে জরুরি কাজ।
১৯১৬ থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ অবধি জাপানে রবীন্দ্র-আন্দোলনের সৃষ্টি, কবির শতবর্ষ উদ্যাপনকে ঘিরে ফিরে আসে সে আন্দোলন। ১৯৭২-এ কাজুও আজুমার নেতৃত্বে জাপানে গড়ে ওঠে টেগোর সমিতি। কবির ভক্ত-অনুসারী-গবেষকরা কী ভাবে কবিকে দেখছেন ভাবছেন বা উপলব্ধি করছেন— এই নিয়েই প্রবীর বিকাশ সরকারের জাপানে রবীন্দ্রনাথ (হাতেখড়ি। ঢাকা। ২০০.০০)।
রবীন্দ্রনাথের সমগ্র সাহিত্যে মুসলিম সমাজ আর তার ইতিহাস যে ভাবে এসেছে, আনুষঙ্গিক ভাবে বা অনিবার্যতই হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কের কথার ভিতর দিয়েই উঠে এসেছে তা, সটীক সংকলিত করেছেন জাহিরুল হাসান। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মুসলমানসমগ্র (পূর্বা। ৩০০.০০)। দীর্ঘ লেখকজীবনে কবির ক্রমাগত বদলও ছায়া ফেলেছে তাঁর মুসলিম সমাজ সম্পর্কিত লেখালেখিতে। ‘রবীন্দ্রমননে মুসলমানের জায়গা কোথায় তা পাঠক নিজস্ব বিবেচনায় নির্ণয় করে নেবেন।... টীকা বলতে মূল লেখায় যেসব নাম বা প্রসঙ্গ রয়েছে শুধু সেগুলির ইতিহাস-সহ একটু ব্যাখ্যা।’ জানিয়েছেন জাহিরুল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy