একই মুখ দেখতে আর কত ভাল লাগে
রাষ্ট্রপতি ভবনের লাগোয়া নর্থ অ্যাভিনিউতে সদ্য তৈরি হওয়া ঝাঁ চকচকে বিলাসবহুল ৩৬টি নতুন ভিলা এখন সাংসদদের প্রিয় গন্তব্য। সংসদের ভিতরে ও বাইরেও ওই ভিলাগুলো নিয়েই জোর আলোচনা। তবে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদারেরা এখানে বাড়ি পেলেও, প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন শতাব্দী রায়! বেসমেন্ট-এ দুটো গাড়ি রাখার জায়গা, বিরাট ঝাড়লণ্ঠন, অত্যাধুনিক মডিউলার কিচেন, কাঠের মেঝে, সেন্সরওলা বাথরুম, দুর্দান্ত বাগান থাকা সত্ত্বেও স্বপ্নের এই বাড়ি টানছে না তৃতীয় বারের সাংসদকে। কারণ, ওখানে ‘উঠতে সাংসদ, বসতে সাংসদ, লিফটে সাংসদ, বারান্দায় চা খেতে গেলে উল্টো দিকে সাংসদ!’ এর আগেও তিনি সাংসদদের পুরনো আবাসন (যেখানে দীর্ঘ দিন থেকেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) পেয়েও ওই একই কারণে ছেড়েছিলেন। শতাব্দী থাকেন পান্ডারা পার্কের এক নির্জন মহল্লার বাড়িতে। সেখানে আশেপাশে বিভিন্ন পেশার লোক। বললেন, ‘‘গোটা দিন সাংসদদের সঙ্গে কাটানোর পরেও বাড়ি ফিরে একই মুখ দেখতে ভাল লাগে, বলুন! একটু প্রাইভেসিরও তো প্রয়োজন।’’