Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

দিল্লি ডায়েরি

বৃন্দা কারাট সম্প্রতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেন, একান্তে কথাও বললেন। দিল্লিতে গুঞ্জন, সীতারাম ইয়েচুরিকে দল প্রার্থী না করার সিদ্ধান্ত নিলে যদি শর্মিষ্ঠা অর্থাৎ প্রণবদুহিতাকে কংগ্রেস রাজ্যসভার প্রার্থী করে, তবে সিপিএম তাঁকে সমর্থনের ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০১৭ ১৩:৩৫
Share: Save:

আডবাণীকে বিপাকে ফেললেন শত্রুঘ্ন

রাষ্ট্রপতি প্রার্থী কে হবেন, তা নিয়ে যখন দেশ জুড়ে গুঞ্জন, হাওয়ায় ভাসছে নানা নাম, ঠিক তখনই লালকৃষ্ণ আডবাণী কন্যা প্রতিভাকে নিয়ে উধাও। কোথায় তাঁরা? দেখা মিলল ঠিকই, তবে কেরলে, কোচির সমুদ্রতটে। তাঁর সচিব দীপক চোপড়া ও কন্যাকে নিয়ে তিনি বোটিংও করছেন। সেখানেই পৌঁছে গেলেন শত্রুঘ্ন সিংহ।

ত্রিমূর্তি: কোচিতে শত্রুঘ্ন সিংহের সঙ্গে সকন্যা লালকৃষ্ণ আডবাণী

আডবাণীর সঙ্গে দেখা করে তিনি সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন, আডবাণীই শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রপতি প্রার্থী। ব্যস। এর ফলে বিজেপি-তে প্রতিক্রিয়া আরও তীব্র। বিজেপি নেতারা বলছেন, শত্রুঘ্ন সিংহ কোচি চলে গিয়ে বরং আডবাণীজির আরও ক্ষতিই করে এলেন!

প্রণব ও সিপিএম

বৃন্দা কারাট সম্প্রতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেন, একান্তে কথাও বললেন। দিল্লিতে গুঞ্জন, সীতারাম ইয়েচুরিকে দল প্রার্থী না করার সিদ্ধান্ত নিলে যদি শর্মিষ্ঠা অর্থাৎ প্রণবদুহিতাকে কংগ্রেস রাজ্যসভার প্রার্থী করে, তবে সিপিএম তাঁকে সমর্থনের ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে সিপিএম প্রণববাবুকে আর এক বার প্রার্থী করার ব্যাপারেও নরম। প্রণববাবু অবশ্য বিরোধী প্রার্থী হয়ে ভোট লড়তে আর রাজি নন।

স্যাম-সংকট

গুজরাতি হলেই আপনার সুসময়, এমনটা ভাববেন না। গুজরাতি প্রযুক্তি-বিশেষজ্ঞ স্যাম পিত্রোদার এখন বড় অসময় চলছে। নবীন পট্টনায়েক তাঁকে ওডিশা সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা পদে বহাল করেছেন বেশ কিছু দিন হল। আবার সম্প্রতি রাহুল গাঁধী স্যামকে দায়িত্ব দিয়েছেন প্রবাসী কংগ্রেস-কর্মীদের মঞ্চ গঠনের। স্যাম খুব বিদেশ যান। দিল্লি এলে থাকেন আর এক গুজরাতি, তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীর বাসভবনে। কিন্তু এখন মোদী সরকারের কুনজরে তিনি। নবীনবাবুকে জানানো হয়েছে, এমন লোককে আপনি উপদেষ্টার পদ থেকে সরান। তা না হলে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক আরও খারাপ হয়ে যাবে। সব মিলিয়ে স্যাম এখন সংকটে।

সফর সঙ্গী

কখনও ট্রেনের সিটে, কখনও প্ল্যাটফর্মের বেঞ্চে। দিল্লি মেট্রোর আনাচে কানাচে দেখা মিলছে ‘দ্য ইয়ার আই মেট ইউ’, ‘কেস-বুক অব শার্লক হোমস’ বা ‘নেমসেক’। মোবাইল থেকে চোখ সরিয়ে দিল্লিবাসীকে নতুন করে বইয়ের প্রেমে মজাতে চান এক দম্পতি— শ্রুতি শর্মা ও তরুণ চহ্বাণ। সেই লক্ষ্যেই ‘বুকস অন দ্য দিল্লি মেট্রো’ গড়া। বইয়ের গায়ে স্টিকারে লেখা— বইটি পেলে বাড়ি নিয়ে যান, পড়ুন, পরে আবার মেট্রোরই কোথাও কোনও পাঠকের জন্য ছেড়ে যান। কিন্তু কেউ বোমা ভেবে বসলে? আতঙ্ক ছড়ানোর আগে মেট্রো কর্তৃপক্ষকেও জানিয়ে রেখেছেন শ্রুতি-তরুণ। অন্য শহর থেকেও অনুরোধ আসছে। খুব শিগ্‌গির হয়তো কলকাতা মেট্রোতেও এমন বই মিলতে পারে!

সরকারই কেরিয়ার

কে বললে, যাঁর কোনও গতি নেই, তাঁরই ঠাঁই হয় রাজনীতিতে? এক ঘরোয়া আড্ডায় এই অপবাদ ঘোচালেন মোদী সরকারের মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ান। তাঁর কথায়, আটচল্লিশ বছর আগে বিহারের পুলিশ সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় পাশ করে ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট হয়েছিলেন। আর সেই বছরই বিধায়ক হন। এক বন্ধু জিজ্ঞাসা করলেন, সরকারে যাবে না সরকারি চাকুরে হবে? ব্যস! সিদ্ধান্ত নিলেন, রাজনীতিতেই পা দেবেন। রামবিলাসের এই দৃষ্টান্তে চমকে গিয়ে কেন্দ্রের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বললেন, এমন লোকেরই তো আরও বেশি করে রাজনীতিতে দরকার।

হার্লেবাহিনী

মহিলা সাংসদ নিজেই গাড়ি চালিয়ে সংসদে আসেন, আবার দিল্লির রাজপথেও দাপিয়ে বেড়ান, এমন কে আছেন? বিজেপি-র সন্ন্যাসিনী সাংসদ উমা ভারতী একদা নিজে খোলা জিপ চালিয়েও সংসদে এসেছেন। এখন বড় গাড়ি নিয়ে দিল্লিতে সংসদে, সংসদের বাইরেও দাপিয়ে বেড়ান শিলচরের লোকসভা সদস্য, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সন্তোষমোহন দেবের কন্যা সুস্মিতা দেব। আর পাপ্পু যাদবের স্ত্রী, বিহারের সাংসদ রঞ্জিতা রঞ্জন নিজে সংসদে আসেন হার্লে ডেভিডসনের বাইক চালিয়ে।

জেরবার জেটলি

নর্থ ব্লকে অরুণ জেটলি গাড়ি থেকে নামলেই এক দল শিখ তাঁকে ছেঁকে ধরতেন। কথা বলতে বলতে অনেকে অর্থ মন্ত্রকেও ঢুকে পড়তেন তাঁর সঙ্গে। জেটলি নিজে পঞ্জাবি, পঞ্জাবিতেই কথা বলতেন। নিরাপত্তারক্ষীরা বুঝতে পারতেন না, কে মন্ত্রীর চেনা, কে অচেনা। এখন জেটলি নিজেই কড়া নির্দেশ দিয়েছেন, ভক্তকুলকে যেন ঢুকতে না দেওয়া হয়। কেন? ওঁদের নাকি ধারণা, অর্থমন্ত্রী তাঁদের ঋণ পাইয়ে দেবেন। এমনিতেই ব্যাঙ্কের অনাদায়ী ঋণের বোঝা নিয়ে জেটলি জেরবার। ও পথ তিনি মাড়াতেই নারাজ।

জয়ন্ত ঘোষাল, অগ্নি রায়, অনমিত্র সেনগুপ্ত, দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রেমাংশু চৌধুরী

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE