Advertisement
E-Paper

দিল্লি ডায়েরি

রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন গত পাঁচ বছর প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রতিটি অনুষ্ঠানে সর্বদাই পাশে দেখা যেত তাঁর হাই-প্রোফাইল সচিব অমিতা পল-কে।

শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৭ ০০:০০

অবসর নেই প্রণববাবুর ওম্যান ফ্রাইডে-র

রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন গত পাঁচ বছর প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রতিটি অনুষ্ঠানে সর্বদাই পাশে দেখা যেত তাঁর হাই-প্রোফাইল সচিব অমিতা পল-কে। অর্থমন্ত্রকে তিনি ছিলেন অর্থমন্ত্রীর উপদেষ্টা, পরে রাষ্ট্রপতির সচিব। বারাক ওবামার অভ্যর্থনা থেকে সংসদের বাজেট অধিবেশনের শুরুর দিন— এই পঞ্জাবি ইনফর্মেশন ক্যাডার অফিসারটির উপস্থিতি ছিল অবিসংবাদিত। কিন্তু এখন কোথায় তিনি? ১০ রাজাজি মার্গে প্রণববাবুর ব্যক্তিগত সচিব এখনও অভিজিৎ রাই, যিনি রাষ্ট্রপতি ভবনেও ছিলেন। কিন্তু অমিতা? তিনি নাকি এখন রাজভবনে। তাঁর স্বামীকে কে পল উত্তরাখণ্ডের রাজ্যপাল। বহু দিন পর এখন অমিতা সেখানেই। তবে রাজাজি মার্গের দোতলা বাসভবনের এক তলায় অমিতার জন্য নাকি একটি অফিসঘর বরাদ্দ রাখা হয়েছে। কর্মঠ, সুযোগ্য এই মহিলা সচিব হয়তো আরও কিছু দিন পর আসবেন। প্রণববাবু যেমন কোনও দিন ‘প্রাক্তন’ হতে পারেন না তাঁর সক্রিয় মস্তিষ্কের জন্য, ঠিক তেমনই এই উপদেষ্টারও কি প্রণববাবুর অফিস থেকে অবসর সম্ভব?

সহচর: প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে অমিতা পল

বিদেশযাত্রা নাস্তি

নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বিদেশে সাংবাদিকদের প্রতিনিধিদল নিয়ে যাওয়ার পরম্পরা বাতিল করে দেন। দীর্ঘ দিনের রেওয়াজ বদলে তিনি শুধু দূরদর্শন আর এএনআই-পিটিআই’কে নিয়ে যাওয়ার প্রথা চালু করেন। প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকদের সঙ্গে নেওয়া বাতিল করলেও তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় এবং উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি তা বাতিল করেননি। এ বার নতুন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও নবনির্বাচিত উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডুও প্রধানমন্ত্রীকে অনুসরণ করে এই প্রথা বাতিল করলেন। অতএব রাষ্ট্রপতি-উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গেও সাংবাদিকদের বিদেশযাত্রা নাস্তি।

বিদ্যা কোথায়

নরেন্দ্র মোদীর স্বচ্ছতা অভিযানে এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র অমিতাভ বচ্চন। ‘দরজা বন্ধ করো’, এই স্লোগান খুব জনপ্রিয়। এরই মধ্যে এসেছে অক্ষয় কুমার অভিনীত ছবি ‘টয়লেট এক প্রেমকথা’। নরেন্দ্র মোদী মহিলাদের শৌচালয়ের নাম দিয়েছেন ‘ইজ্জত’। সবাই বলছেন, সাধু সাধু! কিন্তু বিদ্যা বালন কোথায় গেলেন? মনমোহন সিংহের জমানায় স্বচ্ছতা অভিযানে তাঁকেই ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করা হয়। তৎকালীন গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ বিদ্যাকে এই প্রকল্পের দূত করেছিলেন। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী আসার পর বিদ্যা কার্যত এই প্রচারাভিযানে নেই। কেন? গুঞ্জন, প্রিয়ংকা চোপড়া এখন মোদী সরকারের খুবই ঘনিষ্ঠ। বিদ্যার সঙ্গে আবার প্রিয়ংকার সম্পর্ক অহি-নকুল। সে কারণেই কি বিদ্যা এখন অতীত?

দাওয়াই অরবিন্দ

জর্জ বার্নার্ড শ’ বলেছিলেন, দুনিয়ার সব অর্থনীতিবিদকে এক সারিতে বসিয়ে দিলেও তাঁরা একক একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারবেন না। দিল্লি দরবারেও এখন সেই হাল। মোদী সরকারের এক-এক জন উপদেষ্টার এক-এক রকম মত নিয়ে রসিকতা করছেন শিল্পপতিরাও। প্রধানমন্ত্রী সবেমাত্র আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদ তৈরি করেছেন। তার চেয়ারম্যান বিবেক দেবরায়। তিনি মত দিয়েছেন, এখন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য ঘাটতি বাড়িয়ে কোনও আর্থিক উৎসাহের দরকার নেই। নীতি আয়োগের নতুন ভাইস-চেয়ারম্যান রাজীব কুমার আবার আর্থিক উৎসাহ দেওয়ার পক্ষে। দেখেশুনে শিল্পপতি বিনায়ক চট্টোপাধ্যায় মন্তব্য করেছেন, ‘‘এ বার মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যনকে দরকার!’’

রাজনীতির বাইশ গজে

লক্ষ্য: কপিল দেব

বিজেপি-তে এখন দলের বাইরে থেকে নেতা শিকারের হিড়িক। অমিত শাহর সাম্প্রতিক নিশানা হলেন কপিল দেব। হরিয়ানায় বিজেপির হাল শোচনীয়। মুখ্যমন্ত্রী, মোদী-ঘনিষ্ঠ মনোহরলাল খট্টরের বিরুদ্ধে জাঠ বিদ্রোহ চলছে। এ অবস্থায় পঞ্জাব-হরিয়ানার তারকা কপিল দেবকে দলে নিয়ে হরিয়ানায় যদি প্রচারে নামানো হয়, তবে মন্দ কী? অনেকে বলছেন, শুধু হরিয়ানা নয়, পঞ্জাবে সিধুকেও মোকাবিলা করতে পারবেন কপিল দেব। তবে কপিল দেবের ঘনিষ্ঠ মহল বলছে, মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী করলে ভাবা যেতে পারে। তবে শোনা যাচ্ছে, কপিল দেব নিজে নাকি এখনও রাজি নন। কারণ কংগ্রেসের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। তার পরিবর্তে স্ত্রী রোমি-কে সাংসদ প্রার্থী করতে এখন নাকি নিমরাজি তিনি।

সাবধানের মার

অমিত-পুত্র জয়ের হয়ে মামলা লড়ছেন তুষার মেটা। অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর পারিবারিক সম্পর্ক, জয়কে ছোটবেলা থেকে দেখেছেন। আদালতে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল-এর খুব দাপট। আবার মানুষটি খুবই ধর্মভীরু। বাড়িতে গণেশ বসিয়ে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেছেন। পুজোয় ফাঁক পড়লে গণেশ চটে যাবেন, তাই দিওয়ালির ছুটিতে বেড়াতেও যান না। বলেন, গোপালঠাকুর অভিমান করেন, তা ভাঙানো যায়। কিন্তু গণেশ ভারী চটে যান। সাবধানের মার নেই!

জয়ন্ত ঘোষাল, প্রেমাংশু চৌধুরী

Delhi Diaries
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy