Advertisement
E-Paper

দিল্লি ডায়েরি

কলকাতার বাঙালি যুবকটি বিদেশ সেল-এর সঙ্গেও যুক্ত। আবার পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি-আরএসএস কার্যকলাপ দেখার ব্যাপারেও অনির্বাণ বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছেন।

শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ ০৬:০০
 ভরসা: অমিত শাহের সঙ্গে অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়

 ভরসা: অমিত শাহের সঙ্গে অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়

অমিত শাহের টিমে বাঙালি যুবক

বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের বিশেষ ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন এক বাঙালি যুবক। তাঁর নাম অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রিসার্চ ফাউন্ডেশনের অধিকর্তা অনির্বাণ। কলকাতার বাঙালি যুবকটি বিদেশ সেল-এর সঙ্গেও যুক্ত। আবার পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি-আরএসএস কার্যকলাপ দেখার ব্যাপারেও অনির্বাণ বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছেন। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষা বোর্ডের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য অনির্বাণকে দল দিল্লিতে থাকার ব্যবস্থাও করে দিয়েছে এক সাংসদের ফ্ল্যাট দিয়ে। যখন-তখন অমিত শাহ এই বাঙালিকে ডেকে পাঠান। শোনা যাচ্ছে, দলের সভাপতির বক্তৃতাতেও আজকাল তাঁর ‘ইনপুট’ থাকছে!

বাক্স বিভ্রাট

মাসচারেক পরে শীতের দিল্লিতে ফিরে যে এমন বিপদে পড়তে হবে, কে জানত! অরবিন্দ পানাগড়িয়া নিজেও ভাবেননি। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক দেশে ফিরে জয়পুরে গিয়েছিলেন ভাই-বোন, ভাইপো-ভাইঝিদের নিয়ে। বিমানে দিল্লি ফেরার পথে বিপত্তি। খোওয়া গেল বাক্সপ্যাঁটরা। দিল্লিতে সাতসকালে এক অনুষ্ঠানে ঠান্ডার মধ্যেই তিনি হাজির চেক শার্ট আর কালো হাফ-সোয়েটার পরে। সকলে অবাক! নিজেই ভাঙলেন বাক্স-রহস্য।

বইমেলায় জ্যোতিষী

দিল্লি বিশ্ব বইমেলায় এ বার হিন্দি ভাষার দাপট ছিল চোখে পড়ার মতো। এমনকী ১২ নম্বর হল-এ সমস্ত বাংলা প্রকাশনীর সাইনবোর্ডগুলিও হিন্দিতে লিখতে হয়েছে। তা সে বিশ্বভারতীই হোক, বা অন্য কোনও প্রকাশনা। অদ্ভুত ব্যাপার! বাঙালি পাঠক, বাংলা বই, কিন্তু সাইনবোর্ড হিন্দিতে। বাংলা প্রকাশকরা প্রস্তাব দিয়েছিলেন, হিন্দির পাশাপাশি বাংলা বোর্ডও করা হোক। কিন্তু তা মানতে রাজি হয়নি সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রক। প্রতি দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনাসভাগুলিতেও ইংরেজি নয়, হিন্দু প্রকাশনারই দাপট ছিল। তবে অবাক করা কাণ্ড, এ বার বইমেলায় বইয়ের পাশাপাশি জ্যোতিষীদের আলাদা স্টল হয়েছিল। বহু জ্যোতিষী এসে সেখানে ভাগ্যগণনা করছিলেন, গ্রহরত্নের নিদান দিচ্ছিলেন। বইমেলা বটে!

খান খানখান

দিল্লির অভিজাত বাজার খান মার্কেটে হইচই ফেলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। দিল্লি পুরসভা ‘আপ’-এর অধীনে। নির্দেশ জারি হয়েছে, খান মার্কেটের দোতলায় অনুমতি ছাড়া অনেকে রেস্তরাঁ খুলেছে, সালোঁ-স্পা চালাচ্ছে। সবটাই নাকি নিয়ম ভেঙে। পুরসভার কর্মীরা এসে বহু দোকান হঠাৎ সিল করে দিয়েছেন। গোটা দেশের মধ্যে সবচেয়ে দামি বাজার এই খান মার্কেট। প্রতি স্কোয়্যার ফুটে এখানে যা দাম, তা নাকি দেশের অন্য কোনও বাজারেই নয়। খান মার্কেট ভিভিআইপি-দেরও নিত্য আনাগোনার জায়গা। কিন্তু এই বাজারের ব্যবসায়ী সমিতি আবার বিজেপির নিয়ন্ত্রণে। সমিতির সদস্যরা এখন বিজেপির শীর্ষ নেতাদের কাছে গিয়ে কান্নাকাটি জুড়েছেন। কিন্তু কেজরীবালের ফরমান, আইন ভেঙে কিছু করতে দেব না!

টিম-রাহুলে রণজিৎ

দায়িত্বে: রণজিৎ মুখোপাধ্যায়

রাহুল গাঁধী নিঃশব্দে নিজের টিম তৈরি করে প্রস্তুত হচ্ছেন ২০১৯-এর জন্য। শুধু তো সংগঠনে নবীন প্রজন্মকে নিয়ে আসার জন্য নয়, রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের বিশ্লেষণ ও গবেষণার জন্যও রাহুল এক নতুন বাহিনী তৈরি করেছেন। এই গবেষণা সেল-টির সচিব হয়েছেন এক বাঙালি যুবক। নাম রণজিৎ মুখোপাধ্যায়। তিনি কলকাতার অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার প্রসূন মুখোপাধ্যায়ের ছোট ছেলে। এই সেল-এর চেয়ারম্যান কর্নাটকের সাংসদ রাজীব গৌড়া। তাঁর লোদি এস্টেটের বাংলোই আপাতত এই গবেষণার কেন্দ্র। রণজিতের অধীনে আছেন বেশ কয়েক জন ঝকঝকে ছেলেমেয়ে। রণজিৎ যে হঠাৎ কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন তা না, বহুজাতিক সংস্থার চাকরি ছেড়ে তিনি বেশ কয়েক বছর আগে দলে যোগ দেন, প্রশিক্ষণ নেন। এখন রাহুল এই দায়িত্বে তাঁকে নিয়ে এসেছেন। কখনও কর্নাটক, কখনও ত্রিপুরা ঘুরছেন রণজিৎ, সব দেখেশুনে রিপোর্ট দিচ্ছেন দলীয় নেতৃত্বকে।

জয়ন্ত ঘোষাল, প্রেমাংশু চৌধুরী

Delhi Diaries
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy