Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

দিল্লি ডায়েরি

কলকাতায় লিন্ডনারের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে কলেজ স্ট্রিট, হাওড়া স্টেশন, মল্লিক বাজার, টি টেস্টিং সেন্টার।

অযান্ত্রিক: নিজের লাল অ্যাম্বাসাডরের সঙ্গে ওয়াল্টার জে লিন্ডনার

অযান্ত্রিক: নিজের লাল অ্যাম্বাসাডরের সঙ্গে ওয়াল্টার জে লিন্ডনার

প্রেমাংশু চৌধুরী ও অগ্নি রায়
শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৯ ০০:০৫
Share: Save:

দিল্লি থেকে কলকাতা, ভারতে মুগ্ধ রাষ্ট্রদূত

ভারতে জার্মানির রাষ্ট্রদূত হিসেবে দিল্লিতে কাজে যোগ দেওয়ার পরে রাষ্ট্রপতি-সাক্ষাতে এসেছিলেন লাল টুকটুকে অ্যাম্বাসাডর চেপে। রাইসিনা হিলসে সবাই সেই গাড়ি দেখে হাঁ। ওয়াল্টার জে লিন্ডনার ভারতের নানা শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। শুরু হয়েছিল চাঁদনি চকে রিকশা চেপে, জামা মসজিদের ইফতারে যোগ দিয়ে। কলকাতায় এসে লিন্ডনার নিজেই হাঁ। অ্যাম্বাসাডর তাঁর প্রিয়, আর এ শহর হলুদ অ্যাম্বাসাডরের শহর! গানবাজনাপ্রিয় লিন্ডনারের সঙ্গে অবশ্য এ দেশের পুরনো আলাপ। ব্যাকপ্যাকার হয়ে ঘুরতে এসেছিলেন হৃষীকেশ, বারাণসী। হৃষীকেশে মহেশ যোগীর ‘বিটলস’ আশ্রমের স্মৃতি এখনও টাটকা। কলকাতায় লিন্ডনারের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে কলেজ স্ট্রিট, হাওড়া স্টেশন, মল্লিক বাজার, টি টেস্টিং সেন্টার।

চেনা অচেনা

গুজরাতের গত বিধানসভা ভোট। রাত পর্যন্ত কাজ চলছে। পকোড়া খাচ্ছেন অমিত শাহ। অন্যদের বলছেন, খাও, যারা বেশি বেসন খায়, তারাই গুজরাতে জেতে। অমিত খাদ্যরসিক। দিল্লিতে প্রায়ই গাড়ি চেপে সোনিপতের ধাবায় খেতে যেতেন। মোদী সরকারের নতুন ‘নম্বর টু’-কে ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার হিসেবে দেখা হচ্ছে। কিন্তু ব্যক্তি অমিত অনেকেরই অপরিচিত। সদ্য প্রকাশিত অমিত শাহ অ্যান্ড দ্য মার্চ অব বিজেপি বইয়ে তা তুলে ধরেছেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রিসার্চ ফাউন্ডেশন-এর ডিরেক্টর অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় ও গবেষক শিবানন্দ দ্বিবেদী। বিজেপির চাণক্য জ্যোতিষচর্চা করেন, অনেকেরই অজানা। কিন্তু নাতনি হওয়ার আগে অমিত বলে দিয়েছিলেন, বাড়িতে লক্ষ্মী আসছে। দলের কাজে দেশের যে প্রান্তেই থাকুন, অমিত শাহ ফোন করে রাতে নাতনির আধো আধো কথা শুনবেনই।

বিপত্তি

লোকসভা ভোটে জিতে দিল্লি পৌঁছনো নতুন বিজেপি সাংসদদের নতুন ‘তীর্থক্ষেত্র’ হয়ে উঠেছে ইন্ডিয়া গেটের সামনে দেশের নিহত সেনা জওয়ানদের স্মৃতিতে তৈরি ‘ওয়ার মেমোরিয়াল’। উদ্বোধন করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী, শপথগ্রহণের দিনও সকালে সেখানে গিয়েছিলেন। এই যুদ্ধ-স্মারক নিয়েই গন্ডগোল বেধেছে। দিল্লি আরবান আর্ট কমিশন-এর সুপারিশ ছিল, ইন্ডিয়া গেট চত্বরের সৌন্দর্য ধরে রাখতে ওয়ার মেমোরিয়াল ঘিরে লোহার বেড়া বেশি উঁচু করা যাবে না। সেই সুযোগ নিয়ে ইন্ডিয়া গেট ঘুরতে আসা মানুষ মেমোরিয়ালের বেড়া টপকে ঢুকে পড়ছেন। বেগতিক দেখে দিল্লি পুলিশ লোহার ব্যারিকেড তুলেছে। তাতে কমিশনের প্রবল আপত্তি। মাঝখান থেকে পর্যটকেরা দেখছেন, চারিদিকে ছোট বড় লোহার বেড়া। বোট ক্লাব, রাজপথের পার্কে ঘোরার আনন্দই মাটি।

কীর্তিমান

শীর্ষে: এভারেস্টে রবীন্দ্র কুমার

এভারেস্টে পৌঁছে গেল ‘স্বচ্ছ ভারত’। না, এভারেস্টে ঝাঁটা হাতে সাফাই অভিযান হয়নি। তবে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের পতাকা সেখানে মেলে ধরেছেন রবীন্দ্র কুমার। কেন্দ্রীয় সরকারের এই আমলা পানীয় জল ও নিকাশি মন্ত্রকে মন্ত্রী উমা ভারতীর আপ্তসচিব। ২৩ মে দেশ যখন লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের অপেক্ষায়, তখন ভোর ৪টে ২০ মিনিটে রবীন্দ্র পা রাখলেন এভারেস্টে। মেলে ধরলেন জাতীয় পতাকা, ‘স্বচ্ছ ভারত’ অভিযান ও ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের পতাকা। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার এভারেস্ট জয় রবীন্দ্রের। শুধু পাহাড়ই নয়, সমুদ্রেও ছোট নৌকো নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। তাঁর কীর্তিতে উচ্ছ্বসিত পানীয় জল ও নিকাশি মন্ত্রকের সচিব পরম আইয়ার থেকে গোটা আমলা মহল। অভিনন্দন জানিয়েছে আইএএস অ্যাসোসিয়েশনও।

অগ্র-পশ্চাৎ

লোকসভা ভোটে জিতেছেন ধর্মেন্দ্র-পুত্র সানি দেওল ও তাঁর বিমাতা হেমা মালিনী। বলিউডে গুজব, নানান কারণে দু’জনের সম্পর্কে উষ্ণতা নেই। দিল্লিতেও জল্পনা, লোকসভায় সাক্ষাতে দু’জনের প্রতিক্রিয়া কী হবে। তবে কাছাকাছি বসতে হচ্ছে না হেমা ও সানিকে। সপ্তদশ লোকসভায় ৩০০ জন প্রথম বারের সাংসদ, সানি ছাড়াও আছেন গৌতম গম্ভীর, হংসরাজ হংস-এর মতো সেলেব্রিটিরা। তবে সংসদীয় আইন অনুযায়ী তাঁদের বসতে হবে একাধিক বার জিতে আসা, পোড়-খাওয়া সাংসদদের অনেক পিছনে। হেমা বসবেন মাঝের সারিতে, সানি ব্যাকবেঞ্চার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Delhi Diaries
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE