Advertisement
০৮ মে ২০২৪

দিল্লি ডায়েরি

মুঘল গার্ডেনস-এর মালিরা সেন্ট্রাল লনে নানা নকশার ফুলের কার্পেট বুনেছেন, সেখানেও এ-বার লাল, হলুদ, কমলা, সাদা রঙের প্রাধান্য।

পুষ্পবনে: রাষ্ট্রপতি ভবনের মুঘল গার্ডেনস-এ টিউলিপের সম্ভার

পুষ্পবনে: রাষ্ট্রপতি ভবনের মুঘল গার্ডেনস-এ টিউলিপের সম্ভার

শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৬:০০
Share: Save:

ফুলের জলসায় মাত মুঘল গার্ডেনস

কোনওটা লাল, কোনওটা সাদা, কোনওটা গোলাপি বা পার্পল। টিউলিপ ফুলে ভরে উঠেছে রাষ্ট্রপতি ভবনের মুঘল গার্ডেনস। তারা এসেছে নেদারল্যান্ডস থেকে। দলে দলে তারা ফুটবে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত। গোলাপও রয়েছে নানা রকমের। মুঘল গার্ডেনস-এর মালিরা সেন্ট্রাল লনে নানা নকশার ফুলের কার্পেট বুনেছেন, সেখানেও এ-বার লাল, হলুদ, কমলা, সাদা রঙের প্রাধান্য। অনেকেই জানেন না, রাষ্ট্রপতি ভবনের এই সেন্ট্রাল লনের জন্য সাহেবরা ঘাস আনিয়েছিলেন কলকাতা বেলভেডিয়ার এস্টেট থেকে। সাহেবরা দেশছাড়া হলেও এখনও সেই ঘাসই রয়েছে। প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ১৫ একরের বিশাল মুঘল গার্ডেনস খুলে দেওয়া হয়। গত বছর প্রায় ৭ লক্ষ মানুষ এসেছিলেন। টিউলিপের টানে ভিড় জমেছে এ বছরও।

‘বন্ধু’র কপিরাইট

শত্রুঘ্ন সিন্‌হাকে পাশে বসিয়ে নতুন রাষ্ট্রমঞ্চ ঘোষণা করলেন ‘ঘরের শত্রু’ যশবন্ত সিন্‌হা। নয়াদিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বিভিন্ন বিরোধী দলের সাংসদদের সঙ্গে‌ নিয়ে সমাবেশে আগাগোড়া নরেন্দ্র মোদীর নীতি ও বিজেপি সরকারের ব্যর্থতাকেই তুলে ধরলেন বিজেপির এই সদস্য। সভার শেষে উপসংহার টানার সময় ‘মিত্রোঁ!’ বলে উঠেই এক মুহূর্ত চুপ, তার পরেই হাসতে শুরু করলেন যশবন্ত। উপস্থিত নেতা ও সাংবাদিকরাও তখন হাসছেন। হাসির রোল থামার পর নিজেকে সংশোধন করে বললেন, ‘উপস্থিত ভদ্রমণ্ডলী’। পরে ঠাট্টার ছলে যশবন্ত সাংবাদিকদের জানালেন, ‘কাউকে আর মিত্রোঁ বলে ডাকা যাবে না, বন্ধু ডাকেরও কপিরাইট হয়ে গেছে!’

অন্য রকম

এইমস থেকে ডাক্তারি পাশ করে বসেছিলেন আইএএস-এর পরীক্ষায়। প্রথম কুড়ির মধ্যে নাম উঠেছিল। মধ্যপ্রদেশ ক্যাডারে যোগ দিয়ে ২০১৪ সালে জব্বলপুরে কাজ শুরু করেন রোমান সাইনি। কিন্তু মাত্র দু’বছর। ২০১৬-তে যখন চাকরি ছাড়েন, সকলে অবাক। এ বার! স্টার্ট-আপ। বেঙ্গালুরুতে খুললেন ‘আনঅ্যাকাডেমি’ নামের ওয়েবসাইট ও অ্যাপ। হয়ে গেলেন অনলাইন টিউটর। ইউপিএসসি, আইআইটি, মেডিক্যাল জয়েন্ট-এর প্রস্তুতি নেওয়া ছাত্রছাত্রীদের জন্য তৈরি করছেন ভিডিয়ো টিউটোরিয়াল। তাঁর দলে এখন চার হাজার শিক্ষক। আইএএস-এর প্রস্তুতি নিতে দিল্লি আসতে হবে, এই ধারণাটাই তুলে দিতে চান বছর ছাব্বিশের সাইনি। সম্প্রতি তিরিশ বছরের কমবয়সি যাঁরা নতুন ভারতের দিশা দেখাচ্ছেন, সে রকম ত্রিশ জনের তালিকা তৈরি করেছে একটি আন্তর্জাতিক পত্রিকা। সাইনির নাম জ্বলজ্বল করছে সেই তালিকায়।

রবে না গোপনে

মাস পাঁচেক আগে স্ত্রীকে নিয়ে দিল্লির এক রেস্তরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ধনঞ্জয় চন্দ্রচূড়। একটা ফ্রায়েড রাইস খেয়েছিলেন, মুখে স্বাদ লেগে রয়েছে, কিন্তু নাম মনে আসছে না। শেষে ওয়েটারের শরণাপন্ন হলেন। ওয়েটার পাঁচ মিনিটে পাঁচ মাসের পুরনো বিল নিয়ে হাজির। বিলে মিলল ফ্রায়েড রাইসের নাম। কিন্তু ব্যাপারটা কী ভয়ংকর, ভাবুন তো!— ভরা এজলাসে নিজেই প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি। কার্ডে দাম মেটানো হয়েছিল, সেই তথ্য রয়ে গিয়েছে। আধার-এর ধাক্কায় কিছুই আর গোপন থাকবে কি না, বিতর্কে উঠে এল এই গল্প।

স্মৃতি-উপহার

বার্তাবহ: চকোলেট কেক

বাজেটের পর দিন প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরোর দফতরে অফিস খুলতেই সকলে অবাক। বাক্সবন্দি হয়ে বিরাট এক কেক এসে হাজির। সঙ্গে হলুদ ফুলের তোড়া। কারও জন্মদিন নাকি! বাক্স খুলতে রহস্য ভাঙল। চকোলেট কেক পাঠিয়েছেন তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সেই সঙ্গে বাজেটের দিন দারুণ কাজ করার জন্য অভিনন্দন-বার্তাও।
প্রতি বছরই বাজেটের দিন হাড়ভাঙা খাটুনি যায় পিআইবি-র অফিসার-কর্মীদের। বাজেটের ঘোষণা থেকে শুরু করে সাংবাদিকদের জন্য নথি তৈরি, অর্থমন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন— সমস্ত কিছু সামলানো তাঁদেরই দায়িত্ব। আবার সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে এখন নতুন দায়িত্ব তৈরি হয়েছে, ট্যুইটার-ফেসবুকে বাজেটের সব তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া। পান থেকে চুন খসলেই বিপদ। সব অবশ্য ভালয়-ভালয় উতরে গিয়েছে। তাতেই যারপরনাই খুশি হয়েছেন স্মৃতি।

অগ্নি রায়, প্রেমাংশু চৌধুরী

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Delhi Diaries
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE