জননায়ক: দিল্লির নেহরু পার্কে লেনিনের মূর্তি
নেহরু পার্কে নিশ্চিন্তে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি
ত্রিপুরায় তাঁর মূর্তি ভাঙা নিয়ে তোলপাড়। দিল্লিতে নেহরু পার্কে ভ্লাদিমির ইলিচ উলিয়ানভের মূর্তি কিন্তু নিশ্চিন্তেই দাঁড়িয়ে। বামপন্থীরা চিন্তায় পড়েছিলেন বটে। কারণ সিপিএম-এর সদর দফতরে লেনিনের শ্বেতপাথরের আবক্ষ মূর্তি থাকলেও, প্রতি বছর ২২ এপ্রিল তাঁর জন্মদিনে দিল্লির কমিউনিস্টরা এই মূর্তির সামনেই জড়ো হন। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের কাছেই মূর্তিটি স্থাপিত হয়েছিল ১৯৮৭-তে, নভেম্বর বিপ্লবের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে। ভারত সফরে এসে তদানীন্তন সোভিয়েট ইউনিয়নের প্রিমিয়ার নিকোলাই রিজকভ নিজেই এই মূর্তিটি উন্মোচন করেন। তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন রাজীব গাঁধী, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিনিও।
গন্তব্য
বিদেশ সচিবের পদ থেকে এস জয়শঙ্করের অবসরের পর ভাবা হয়েছিল, তাঁকে সরকারের উপদেষ্টা হিসাবে নিয়োগ করা হবে। কিন্তু তা হয়নি। ক্ষমতার অলিন্দে গুঞ্জন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালই চাননি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জয়শঙ্করকে রাজ্যপাল করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জয়শঙ্করের মত, এখনই তিনি ততটা বুড়িয়ে যাননি। মাত্র বাষট্টিতেই রাজভবনে গিয়ে বসতে চান না তিনি। এরই মধ্যে সিঙ্গাপুরে নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসাবে কাজের প্রস্তাব পেয়েছেন জয়শঙ্কর। প্রচুর অর্থও মিলবে। এক বছরের জন্য যেতে হবে। ফিরে এসে তার পরে রাজ্যপাল হওয়ার সুযোগ খোলাই থাকছে। সিঙ্গাপুরে যাবেন কি না, জয়শঙ্কর এখন সেই ভাবনাতেই মগ্ন।
দড়ি টানাটানি
নীতীশ কুমারের সঙ্গে ঝগড়া করে রাজ্যসভার পদটি খুইয়েছেন শরদ যাদব। ফের রাজ্যসভায় ফিরতে পুরনো সমাজবাদী, লোহিয়াপন্থী নেতা এখন কমিউনিস্টদের শরণাপন্ন। লালুপ্রসাদের দলের সমর্থন পেতে তিনি লালুর সঙ্গে জেলে গিয়ে দেখা করেছিলেন। কংগ্রেসেরও সমর্থন চাইছেন। কিন্তু রাহুল গাঁধী কোনও কথা দিতে চাননি। বলেছেন, রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। শরদ এ বার সিপিআই (এম-এল)-এর দ্বারস্থ। বিহারে সিপিআই(এম-এল)-এর তিন জন বিধায়ক রয়েছেন। রাজ্যসভার ভোটে জিততে ওই তিনটি ভোটও নিশ্চিত করতে চান শরদ।
স-চেতন
রাহুল গাঁধী নয়, কংগ্রেসের সচিন পায়লটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়া উচিত। লেখক চেতন ভগত এ কথা বলে জোর বিতর্ক তৈরি করে দিয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে, চেতন ভগতকে কি বিজেপি কাজে লাগাচ্ছে? চেতনের মন্তব্যে কংগ্রেসের মধ্যেও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। যার জেরে সচিনকে বিবৃতি দিয়ে বলতে হয়েছে, তিনি এই দৌড়ে নেই। রাহুলই তাঁর নেতা। রাহুলই কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী।
একাকী, দু’জনে
যুগল: জয়লক্ষ্মী ও টি এন শেষন
টি এন শেষন-কে মনে আছে? একদা যাঁকে বলা হত ‘টাইট নাট শেষন’! মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হয়ে যিনি এ দেশের বহু নেতার রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিলেন, ক্ষোভও উৎপাদন করেছিলেন বিস্তর। জ্যোতি বসু যাঁকে বলেছিলেন ‘অ্যালশেষন’! তিরুনেল্লাই নারায়ণ আয়ার শেষন ও তাঁর স্ত্রী জয়লক্ষ্মী এখন খুবই অসুস্থ। দিল্লির পান্ডারা পার্কে থাকতেন আগে ওঁরা। জয়লক্ষ্মী ছিলেন দাপুটে এক নারী, প্রবল বিশ্বাস ছিল পুজোআচ্চা ও জ্যোতিষেও। ঘরের দেওয়ালে টাঙিয়ে রাখতেন নিজেদের বিয়ের পরে তোলা ছবি। নিঃসন্তান দম্পতি এখন পুদুচেরিতে এক বৃদ্ধাশ্রমে থাকেন।
কে হবেন
কৌন বনেগা ‘ক্যাব সেক’! দিল্লিতে এখন একটাই প্রশ্ন। বর্তমান ক্যাবিনেট সচিব প্রদীপকুমার সিন্হা জুনে অবসর নিচ্ছেন। সরকার প্রবীণতম আইএএস-কেই আমলাতন্ত্রের শীর্ষ পদটিতে বসাতে চাইলে পেট্রলিয়াম সচিব কপিল দেব ত্রিপাঠীর ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ার কথা। ১৯৮০-র ব্যাচের আইএএস অফিসারদের মধ্যে ত্রিপাঠী সব শেষে অবসর নেবেন। জুনে তিনিই হবেন প্রবীণতম। বাজির দর অবশ্য হাসমুখ আঢিয়ার দিকেই ঝুঁকে। হাসমুখ নরেন্দ্র মোদীর আস্থাভাজন, সেই কবে থেকেই। মোদী অবশ্য অনেক সময় সবাই যা ভাবেন, তা করেন না। ক্যাবিনেট সচিবের ক্ষেত্রেও তেমন চমক থাকবে কি না, সেটাই প্রশ্ন।
জয়ন্ত ঘোষাল, প্রেমাংশু চৌধুরী
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy