কালোবাজারির দায় অন্যের, খান চাচার নয়
সেই ষাটের দশকে সাহারানপুর থেকে দিল্লির জামা মসজিদ এলাকায় চলে এসেছিলেন হাজি বন্দা হাসান। মোগলাই রান্না শেখার জন্য ওস্তাদ হাজি মহম্মদ ইউসুফের কাছে নাড়া বেঁধেছিলেন তিনি। তার পর নিজের তৈরি মশলায় টিক্কা, কাবাব বেচতে খান মার্কেটে দোকানের শুরু। দিল্লিবাসীদের কাছে হাজি বন্দার রুমালি রুটিতে মোড়া টিক্কা বা শিক কাবাব রোল বিখ্যাত হয়ে উঠল। হাজি বন্দা হয়ে উঠলেন শহরবাসীর প্রিয় খান চাচা। তাঁর রেস্তরাঁর নামও হয়ে গেল খান চাচা। দিল্লি ডায়েরিকোভিডের অতিমারিতে হঠাৎ খবর, বিখ্যাত খান চাচার রেস্তরাঁয় বেআইনি ভাবে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর ধরা পড়েছে।কোভিডের অতিমারিতে হঠাৎ খবর, বিখ্যাত খান চাচার রেস্তরাঁয় বেআইনি ভাবে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর ধরা পড়েছে।কোভিডের অতিমারিতে হঠাৎ খবর, বিখ্যাত খান চাচার রেস্তরাঁয় বেআইনি ভাবে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর ধরা পড়েছে। সেগুলি কালোবাজারির জন্য মজুত করা ছিল। তখনই দিল্লি জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠল। অনেকেই কসম খেলেন, যতই প্রিয় হোক, খান চাচার রোল আর মুখেও তুলবেন না। পরে অবশ্য ভুল ভেঙেছে। তার সঙ্গে নতুন আফসোসও। জানা গিয়েছে, খান চাচা রেস্তরাঁর মালিকানা অনেক আগেই হাত বদল হয়ে গিয়েছে। অক্সিজেন কালোবাজারির অভিযোগ নতুন মালিক নবনীত কালরার বিরুদ্ধে।
মেজাজটাই তো...
প্রবীণ আইনজীবী রাজীব ধবন সুপ্রিম কোর্টে তাঁর সওয়ালের জন্য যতখানি বিখ্যাত, ততটাই বিখ্যাত তাঁর বেপরোয়া মেজাজ ও দাপটের জন্য। মানবাধিকারের জন্য শেষ পর্যন্ত লড়ে যান। অযোধ্যা মামলায় মুসলিম পক্ষের হয়েও লড়েছেন। আবার অতিমারির সময় ভিডিয়ো কনফারেন্সে শুনানির মধ্যে মুখের সামনে কাগজ ধরে ধূমপান করতেও তিনি ভয় পাননি। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল শান্তিস্বরূপ ধবনের পুত্র রাজীব। তিনি এখন কোভিডে আক্রান্ত। কিন্তু ৭৪ বছর বয়সের কোভিড যোদ্ধা হলেও তাঁর বেপরোয়া মেজাজ যাবে কোথায়! কিছু দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হলেও ডাক্তারদের কথায় কান না দিয়ে, চার দিন পরে স্বেচ্ছায় বাড়িতে চলে এসেছেন। তাঁর যুক্তি ছিল, হাসপাতালের বেডের হাহাকার চলছে। তাই ওই বেড গরিব মানুষ বা কমবয়সিদের দেওয়া হোক।
ইকবাল প্রশস্তি
মুম্বইয়ের পুরসভা বা বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কমিশনার ইকবাল সিংহ চাহালকে নিয়ে এখন চার দিকে ধন্য ধন্য রব। গত বছরের মতো এ বারও মুম্বইয়ে কোভিড অতিমারির প্রবল প্রকোপ তিনি সামলে দিয়েছেন। মোদী সরকারের মন্ত্রীরাও মহারাষ্ট্রের আইএএস অফিসারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কিন্তু অনেকেই ভুলে গিয়েছেন, এই মোদী সরকারের আমলেই ইকবালকে কার্যত অসম্মানের সঙ্গে দিল্লি ছাড়তে হয়েছিল। ২০১৪-য় মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার সময় ইকবাল ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে। পালাবদলের পরেই তাঁকে বদলি করা হয় শিশু ও নারী কল্যাণ মন্ত্রকে। কিন্তু মন্ত্রী মেনকা গাঁধীর সঙ্গে বিবাদে তাঁকে ছুটিতে পাঠানো হয়। তার পর কেন্দ্রীয় সরকারে মেয়াদ শেষের আগেই মহারাষ্ট্রে ফেরত। সেই ইকবালই এখন মুম্বইতে গিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। হাসি ফুটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের মুখে।
মামা সমগ্র
বিজেপিতে এত দিন এক জনই মামা ছিলেন। শিবরাজ সিংহ চৌহান। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানকে গোটা রাজ্যের মানুষ মামা বলেই ডাকত। বিশেষ করে রাজ্যের কিশোরী, তরুণীরা। কিশোরীদের জন্য ‘লাডলি লক্ষ্মী প্রকল্প’ থেকে মহিলাদের জন্য একগুচ্ছ প্রকল্প চালু করে তিনি রাজ্যবাসীর মামা হয়ে উঠেছিলেন। এ বার আর এক মামার আবির্ভাব হয়েছে। অসমের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। রাজ্যের ছেলেপুলেরা তাঁকেও মামা বলে ডাকে। হিমন্তবিশ্ব অবশ্য বলেন, আগে ছেলেপুলেরা দাদা বলে ডাকত। এখন মামা বলে। পরে হয়তো দাদু বলে ডাকবে। এটাই রাজনীতিক হিসেবে তাঁর উত্তরণের পরিচয়!
সবার আগে অক্সিজেন
যাত্রিবাহী রেলগাড়ির চেয়ে অক্সিজেনবাহী মালগাড়ির গুরুত্ব বেড়ে গিয়েছে আপৎকালীন দিনে। অক্সিজেন বহনকারী মালগাড়িকে আগে ছাড়তে রাজধানী এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনকেও পথ ছেড়ে দিয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়াই এখন ভারতীয় রেলের অগ্রাধিকার। হাপা (জামনগর)-দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট রুটটিও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কারণ এই রুটে জরুরি সব ট্যাঙ্কারের যাতায়াতের ব্যবস্থা হয়েছে। দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট থেকে সড়কপথে অক্সিজেন যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশ-সহ উত্তর ভারতের নানা রাজ্যে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy