মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হওয়ার পরেই জ্ঞানেশ কুমার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এক-এক করে বৈঠক শুরু করেছেন। রাজীব কুমার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার থাকাকালীন তাঁর সঙ্গে বিরোধী দলগুলির সংঘাত তুঙ্গে উঠেছিল। কানপুর আইআইটি-র প্রাক্তনী জ্ঞানেশ কুমার ইউপিএ সরকারের সময় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। নির্বাচন কমিশনে যোগ দেওয়ার আগে অমিত শাহের অধীনে সমবায় মন্ত্রকের সচিব ছিলেন। রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে দেখা করে তিনি নানা বিষয়ে তাঁদের আপত্তির কথা শুনছেন। নিজের মতো বোঝানোর চেষ্টা করছেন। কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গেও তাঁর ১৫ মে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে অপারেশন সিঁদুর-এর জন্য কয়েক দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। জ্ঞানেশ কুমারের জন্য নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের ব্যস্ততা বেড়েছে। সকল ন’টায় অফিসে এসে বায়োমেট্রিক হাজিরা দিতে হচ্ছে। কারণ ‘বস’ নিজে পৌনে ন’টার মধ্যে অফিসে ঢুকে পড়ছেন।
দায়িত্বে: মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার।
তাঁকেই ভরসা
টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মতোই নাটক চলল সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলে (পাক সন্ত্রাসের বার্তা দিতে বিদেশে সফরকারী) তৃণমূলের প্রতিনিধির যোগ দেওয়া না দেওয়া নিয়ে। প্রথম কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু ফোন করলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অসুস্থতার কারণে না করলেন সুদীপ। এ বার তাঁরা স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে ইউসুফ পঠানের নাম দেওয়ায় কুপিত তৃণমূল নেত্রী। জানিয়ে দিলেন, সন্ত্রাসবিরোধিতার প্রতিনিধি দলে থাকতে আপত্তি নেই, কিন্তু তাঁদের সংসারের কে সফরে যাবেন তা অন্যের বাড়ির গৃহকর্তা ঠিক করবেন কেন! বার্তা স্পষ্ট। শেষ মুহূর্তে ভুল শুধরে রিজিজু ফোন করলেন মমতাকে। নেত্রী প্রস্তাব করলেন অভিষেকের নাম, তখন জাপানগামী বিমান ধরার আর নামমাত্র সময় বাকি। অথচ অভিষেক তখন দিল্লিতে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে। বিদেশসচিবের সফর সংক্রান্ত বৈঠক সেরে তিনি দৌড়ালেন কলকাতায়। বললেন, “শেষ মুহূর্তের সিদ্ধান্ত। পাসপোর্ট থেকে জামাকাপড় কিছুই তো সঙ্গে আনিনি! তাই এক বার বাড়ি ফিরতেই হবে!”
ভাল না মন্দ?
মহাকাশ নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তৃতায় ইসরো-র চেয়ারপার্সন ভি নারায়ণন কেন্দ্রীয় মহাকাশ ও পারমাণবিক শক্তি দফতরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহের সপ্রশংস উল্লেখ করলেন, ‘ভাল মানুষ’ এবং ‘ভাল মন্ত্রী’ হিসাবে। পরে গত দশ বছরে এই বিভাগে দেশের বৃদ্ধির বিস্তারিত উল্লেখ করেন মন্ত্রী। শেষে বলেন, “আশা করি এখন সাংবাদিক বন্ধুরা একমত হবেন আমি খারাপ মন্ত্রী নই!”
মহারাজের ঝাড়ু
মোদী সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া গিয়েছিলেন তাঁর রাজ্যের অশোকনগর জেলায়। শিবপুরীতে এক ডাকঘরে ঢুকে মন্ত্রিমশাই রেগে কাঁই। এত আবর্জনা কেন! সিন্ধিয়া গোয়ালিয়রের মহারাজা। রেগে নিজেই ঝাড়ু হাতে আবর্জনা সাফ করতে নেমে পড়লেন। সকলে অবাক। কংগ্রেসের কটাক্ষ, সবই ক্যামেরার সামনে। মহারাজা গোয়ালিয়রের প্রাসাদে বা দিল্লির বাসভবনে কত বার ঝাড়ু হাতে নিয়েছেন!
আবেগী রাহুল
রাজীব গান্ধী নিহত হয়েছিলেন ১৯৯১-র ২১ মে। প্রতি বছর ২১ মে গান্ধী পরিবার ও কংগ্রেসের নেতারা রাজীবের স্মৃতিসৌধ বীরভূমিতে শ্রদ্ধা জানান। এ বছর ২১ মে-র সকালে অদ্ভুত একটি দৃশ্য তৈরি হল। রাহুল বাবার সৌধের উপরে সাজানো একটি ফুল তুলে নিজের পকেটে রাখলেন। অনেকেরই চোখ ভিজে এল। রাহুল সম্প্রতি পটনায় ফুলে সিনেমা দেখতে গিয়েও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন। দলিত, অনগ্রসরদের অধিকার নিয়ে লড়াই করেছিলেন উনিশ শতকের সমাজ সংস্কারক জ্যোতিরাও ফুলে ও সাবিত্রীবাই ফুলে। তাঁদের কাজকর্ম নিয়ে অনন্ত মহাদেবন সিনেমাটি তৈরি করেছেন। জাতগণনা, সংরক্ষণ বাড়ানো নিয়ে নতুন রাজনীতির ভাষা তৈরির চেষ্টা করছেন রাহুল।
বিষাদ: বীরভূমিতে রাহুল গান্ধী
‘পাক’-এ চক্রে
পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলা ও তার জবাবে অপারেশন সিঁদুর-এর প্রভাব পড়ল মিষ্টান্ন ভান্ডারে! পাকিস্তানের উপর ক্ষোভে এখন দিল্লি, রাজস্থান, হরিয়ানার মতো উত্তর ভারতের নানা রাজ্যে মিষ্টির দোকানে মিষ্টির নাম বদলে যাচ্ছে। কোথাও ‘পাক’ শব্দ থাকলেই সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। মাইসোর পাকের নাম মাইসোর শ্রী, মোতি পাকের নামও বদলে মোতি শ্রী হয়ে গিয়েছে। একই দশা আম পাকেরও!
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)