Advertisement
E-Paper

সম্পাদক সমীপেষু: কেন মশা মরে না

অধিকাংশ বাড়িতে সেপটিক ট্যাঙ্কের সঙ্গে সোক পিট না থাকায় কালো জল (Sewage) সেই সঙ্গে মিশে দুর্গন্ধময় অস্বাস্থ্যকর প‍রিবেশ সৃষ্টি করেছে।

শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৮ ০৯:৪৫

স্বাতী ভট্টাচার্যের ‘মুখ নয়, প্রাণ বাঁচানো চাই’ (২১-৪) প্রতিবেদনের সমর্থনে এই চিঠি। আমার বাড়ি পানিহাটি পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম পানশীলায়। আমাদের পাড়া ৩ নম্বর প্রান্তিকে কোনও ড্রেন নেই, হ্যাঁ সত্যিই কোনও নিকাশি ব্যবস্থা নেই, ফলে এ পাড়ার বাসিন্দারা যে যাঁর মতো কেউ বাড়ির মধ্যে, কেউ বাড়ির সামনের রাস্তায় গর্ত খুঁড়ে ড্রেনের বিকল্প করে নিয়েছেন। যাঁদের বাড়ির কাছে ফাঁকা জমি আছে তাঁরা সেখানে বাড়ির ‘নিকাশি ব্যবস্থা’ পৌঁছে নিশ্চিন্ত হয়েছেন। আমার বাড়ির কাছে এই রকম ফাঁকা জমি (জঙ্গল) আছে, যেখানে চার-পাঁচটা বাড়ির ব্যবহৃত তরল জমা হয়। অধিকাংশ বাড়িতে সেপটিক ট্যাঙ্কের সঙ্গে সোক পিট না থাকায় কালো জল (Sewage) সেই সঙ্গে মিশে দুর্গন্ধময় অস্বাস্থ্যকর প‍রিবেশ সৃষ্টি করেছে। এটা যে মশার আঁতুড়ঘর, দৃশ্যমান লার্ভাই তার প্রমাণ। পুরসভার কর্মীরা মাঝেমধ্যেই পাড়ায় ঢোকেন এবং রাস্তায় রাস্তায় ব্লিচিং পাউডার ছড়ান। নিয়ম অনুযায়ী রাস্তার ধারে ড্রেন থাকার কথা, অতএব ড্রেন থাক না-থাক রাস্তার ধার দিয়ে বাউন্ডারি ওয়াল অবধি ব্লিচিং পাউডার ছড়ানোর নির্দেশ। শুকনো ঠনঠনে রাস্তায় ছড়িয়ে ব্লিচিং পাউডারের অপচয় করা হয়, অথচ পাঁচ ইঞ্চি ইটের ব্যবধানে হাতের নাগালে তা ছড়ানোর নির্দেশ নেই, কারণ ওটা খোলা জমি, অথচ ওখানেই লার্ভা কিলবিল করতে দেখা যাচ্ছে। আমি বলছি না নোংরা জমিতে তাঁরা প্রবেশ ক‍রুন, ছোট পাঁচিলের এ পাশের বদলে ও পাশে তো পাউডারটা ছড়ানো যায়। প্রশ্ন, ওই কর্মীদের কাজ জনস্বাস্থ্য রক্ষা না নির্দেশ রক্ষা?

ঠাকুরদাস বকসী পানশীলা, পানিহাটি

গুরুত্ব দেয়নি

কথা ছিল, নির্বাচন কমিশন ২৩ এপ্রিল বাধাহীন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া সুনিশ্চিত করবে। কিন্তু দেখা গেল এই এক দিনেই রাজ্য জুড়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড। বাহ্যত যা-ই বলুক না কেন, নির্বাচন কমিশন যে বাধাহীন মনোনয়ন তথা নির্বাচনের ব্যাপারে তেমন গুরুত্ব দেয়নি তা বোঝা যায়, যখন দেখি ৯ এপ্রিল পর্যন্ত যে মনোনয়ন জমা নেওয়া হয়েছিল সেখানে এসডিও অফিসেও চাইলে যে-কেউ গ্রাম পঞ্চায়েত কিংবা পঞ্চায়েত সমিতির মনোনয়নপত্র জমা করতে পারতেন; কিন্তু ২৩ এপ্রিলের মনোনয়নে এসডিও অফিসে জেলা পরিষদ ছাড়া অন্য কোনও মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়নি।

গৌরীশঙ্কর দাস সাঁজোয়াল, খড়্গপুর

ভোটের দিন?

মনোনয়নকে কেন্দ্র করে গোটা পশ্চিমবঙ্গে যে নারকীয় ঘটনা ঘটছে, যে ভাবে সন্ত্রাস চলছে, তাতে আমরা ভোটকর্মী হিসাবে সত্যিই খুব ভীত। আর অন্য জেলাগুলির থেকে বীরভূম নিজগুণে একটু বেশিই প্রাসঙ্গিক মনে হয়। মনোনয়নের দিনই যদি এই ছবি হয়, তা হলে ভোটের দিনগুলিতে যে কী হতে চলেছে, তা ভেবে সবার বুক দুরদুর করছে। আর আমরা যাঁরা ভোট নিতে যাব (না গিয়ে যেখানে উপায় নেই), সেই আমাদের নিরাপত্তা দেবে কে? কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক।

প্রবীর মণ্ডল রামপুরহাট, বীরভূম

এক জনেরও...

মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, হাতে-গোনা কয়েকটি ক্ষেত্রে সংঘর্ষের ঘটনাকে বিরোধী দলগুলি এবং কয়েকটি সংবাদমাধ্যম বহু গুণ বাড়িয়ে প্রচার করছে। কিন্তু মাত্র এক জন মানুষেরও স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার বা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অধিকার সুরক্ষিত না থাকা প্রশাসনিক ব্যর্থতারই প্রমাণ। বিগত বামফ্রন্ট সরকারের আমলে রাজ্যবাসী এ সব ঘটনা নিয়মিত দেখেছে। সংবাদপত্রের মাধ্যমে জেনেছি, সংখ্যায় কম হলেও, পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা কিংবা উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের মতো কিছু স্থানে সুস্থ ও গণতান্ত্রিক পরিবেশে মনোনয়ন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে এবং তা হয়েছে শাসক দলেরই স্থানীয় নেতৃত্বের ব্যবস্থাপনায়। আমরা চাই, সারা রাজ্যেই যেন তা হয়, যা হবে এক অসামান্য উদাহরণ। অতীতের অন্যায়গুলির পুনরনুশীলন নাগরিক সমাজ দেখতে চায় না।

সুরেশচন্দ্র দাস সম্পাদক, মেদিনীপুর নাগরিক সমাজ

ধর্মতলায় শেয়াল

ভোট আসবে আর মানুষ মরবে না— ব্যাপারটা ভরদুপুরে ধর্মতলায় শেয়াল দেখার মতো। ভোটের ইতিহাসের আদিম যুগ থেকে যদি মৃত ব্যক্তিরা নিজের বুকে আপন রাজনৈতিক দলের প্রতীক ট্যাটু করিয়ে রাখতেন, তা হলে আমাদের আর বিষাক্ত শকুনের রাজনীতি দেখতে হত না। সিউড়িতে দিলদার খান নামের যে মানুষটি মারা গেলেন, ওঁর বাবা ক্যামেরার সামনে একটি রাজনৈতিক দলকে দোষী করলেন। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই অজানা জাদুমন্ত্রে আবার ক্যামেরার সামনে বললেন, আগের বার মাথার ঠিক না থাকায় তিনি উল্টোটা বলেছিলেন। আগে যে রাজনৈতিক দলকে তিনি দোষী করেছিলেন, আসলে ওঁর ছেলে ওই দলের কর্মী, আর কয়েক ঘণ্টা আগে ছেলে যে দলের কর্মী ছিলেন সেই দলই আসলে দায়ী। পুরো ব্যাপারটাই খুব দৃষ্টিকটু। দোষীদের পাশাপাশি এই পরিজনদের কি কোনও বিচার হবে না? আর হ্যাঁ, খুব শীঘ্রই ধর্মতলায় একটা শেয়াল আনার ব্যবস্থা করা হোক।

সেখ মহম্মদ আসিফ হলদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর

এটাই সংস্কৃতি?

কিছু দিন আগে রামনবমী উপলক্ষে অস্ত্রমিছিল দেখে বেশ কিছু বুদ্ধিজীবী ও শিল্পী এই ‘সন্ত্রাস’-এর বিরুদ্ধে প্রবল ছিছিক্কার করেছিলেন। এখন পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষে লাগামছাড়া মারধর দেখে তাঁরা টুঁ শব্দটি করছেন না। হয়তো ওঁদের মাথায় কাব্য বা গান এসে গিয়েছে, ব্যস্ত আছেন। তখন কয়েক জন বলেছিলেন, ‘‘এটা বাংলার সংস্কৃতি নয়।’’ তা হলে এখন যা চলছে, এটাই বাংলার সংস্কৃতি?

নবীনা গঙ্গোপাধ্যায় কলকাতা-৩৩

সেই ক্যামেরা

নির্বাচন নিয়ে শাসক দলের সন্ত্রাস আমাদের কাছে আদৌ নতুন অভিজ্ঞতা নয়। আমরা বাহাত্তরের নির্বাচন দেখেছি, তার পর বাম আমলে বুথ দখল, ইলেক্টোরাল রোলে ভুয়ো নাম ঢোকানো ইত্যাদি বার বার দেখেছি। আজ যাঁরা মিছিল করছেন, তাঁরা তাঁদের আমলে অন্যায় ভাবে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য অনেক অনৈতিক কাজই করেছেন। কিন্তু এ বারের তৃণমূলী কায়দা প্রায় নতুন ব্র্যান্ডের মর্যাদা পেতে পারে। মনোনয়নই যাতে না দেওয়া যায়, তার জন্য একটা নিশ্ছিদ্র ব্যবস্থা গড়ে তোলো— সর্বোচ্চ স্তর থেকে এমন নির্দেশ না পেলে মুখে রুমাল বেঁধে উন্মুক্ত সন্ত্রাস চালানো যায় না। এর বৈশিষ্ট্য হল, এটি গোপনে করা মুশকিল, কারণ মনোনয়ন জমা দিতে হয় সরকারি অফিসে। কিন্তু এই কাজটা এক বার লোকলস্কর লাগিয়ে মিডিয়াকে ভয় দেখিয়ে করে ফেলতে পারলে, ভোটের দিনে আর কষ্ট করে দৌড়োদৌড়ি করতে হয় না। সুতরাং প্রশাসন ও পুলিশকে নিষ্ক্রিয় রাখতেই হবে। সেটা ভাল ভাবেই করা গিয়েছে, কিন্তু যেটা করা গেল না— প্রিন্ট এবং ভিস্যুয়াল মিডিয়াকে দলে টানা। সে জন্যই বলতে হচ্ছে, এ সব মিডিয়ার একাংশের অপপ্রচার, আসলে সর্বত্রই শান্তিকল্যাণ বিরাজ করছে। শাসক দলকে মনে করিয়ে দেওয়া দরকার, এই মিডিয়াই কিন্তু নন্দীগ্রাম এবং সিঙ্গুরকে সামনে এনেছিল। আর সেই পথ ধরেই এসেছিল তথাকথিত ‘পরিবর্তন’। সে দিনের ক্যামেরাটি সত্য ছাড়া মিথ্যা বলে না, আর আজকের ক্যামেরাটি মিথ্যেবাদী! কী বলবেন একে? শুধুই স্ববিরোধিতা? না আমাদের বোধবুদ্ধি নিয়ে রসিকতা?

শুভেন্দু রায় কলকাতা-৫৪

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ই-মেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়

public health dengue prevention
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy