১ অগস্ট থেকেই বসছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বর্ধিত হারের আমদানি শুল্ক, খবর শোনা ইস্তক হিসাব চলছে, এই শুল্ক-অস্ত্রে কোন দেশ কতখানি ঘায়েল হবে। এ দফায় ট্রাম্প বিশেষ ভাবে শাসিয়েছেন কানাডা ও জাপানকে। দু’টি দেশই আমেরিকার দীর্ঘ দিনের বাণিজ্যসঙ্গী। সরাসরি চিনের পণ্যের উপরে চড়া শুল্ক তো বটেই, যে সব চিনা পণ্য অন্য দেশের বন্দর ঘুরে আসে (ট্রান্সশিপড গুডস), সেগুলিতেও শুল্ক বাড়ছে। এ বার ২৩টি দেশ বর্ধিত শুল্ক সংক্রান্ত চিঠি পেয়েছে আমেরিকা থেকে, তার ১৪টিই এশিয়ার। এর অনেকগুলি দেশের বন্দরই চিনের পণ্য ট্রান্সশিপিংয়ে ব্যবহৃত হয়। অনুমান, সে কারণেই চাপ বাড়ছে। গত তিন দশকে রফতানি-নির্ভর উৎপাদনের উপরে ভর করে এশিয়ার যে দেশগুলিতে দ্রুত আর্থিক উন্নতি ঘটেছে, তারা মুশকিলে পড়বে। তবে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে শেষ পর্যন্ত লাভবান হতে পারে চিনই। এশিয়ার যে দেশগুলির সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল এত দিন ধরে, এবং ট্রাম্পের শুল্ক-ধাক্কায় এখন যে দেশগুলি টলমল, চিন তাদের কাছে তুলনায় বেশি নির্ভরযোগ্য বাণিজ্যিক সঙ্গী হয়ে উঠতে পারে।
ছায়াযুদ্ধ: একটি অলঙ্করণে আমেরিকার পতাকা, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর শুল্কনীতি।
মহাবিপর্যয়
বিপদের পূর্বাভাস ছিল। কিন্তু তা যে ভয়ঙ্কর চেহারা নেবে, ভাবতে পারেননি টেক্সাসবাসী। আমেরিকার স্বাধীনতা দিবসের ভোর থেকেই মহাদুর্যোগ, কেরভিলে গুয়াদেলুপ নদী ভাসাল বাড়িঘর, গবাদিপশু, খেতখামার। ‘ফ্ল্যাশ ফ্লাড’-এ প্রাণ গিয়েছে বহু মানুষের, নিখোঁজ অগণিত। পুলিশ, ন্যাশনাল গার্ড, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, এফবিআই-ও যোগ দিয়েছে উদ্ধারে, কিন্তু পৌঁছনোই যাচ্ছে না বহু জায়গায়। ভরসা ক্যাডাভার ডগ, মাথার উপরে ড্রোন, চিনুক-ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার। বহু মানুষ আঙুল তুলেছেন সরকারের দিকে, মহাবিপর্যয়ের আভাস দেয়নি, সরায়নি মানুষজনকে। টেক্সাসের গভর্নর অবশ্য অস্বীকার করেছেন।
তটে আবর্জনা
তদন্তের মুখে এলন মাস্ক-এর স্পেস এক্স। এই মহাকাশ প্রযুক্তি সংস্থার উৎক্ষেপণের ধ্বংসাবশেষে দূষিত হচ্ছে মেক্সিকোর বাগদাদ সমুদ্রসৈকত। সংস্থার উৎক্ষেপণস্থলটি এই অঞ্চলের সীমান্তবর্তী। উৎক্ষেপণের পরে তটের ইতিউতি ছড়িয়ে থাকছে গলা প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামের আবর্জনা-সহ অন্য ক্ষতিকর পদার্থও। মেক্সিকোর বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, এই জঞ্জালই মৃত্যুর কারণ ডলফিন ও মাছ-সহ অন্য জলজদের। তবে তাঁদের বেশি চিন্তা এলাকার বিপন্ন প্রজাতির কেম্প’স রিডলে সি টার্টলদের নিয়ে। স্পেস এক্স-এর দাবি, ধ্বংসাবশেষের কিছুই রাসায়নিক, জৈবিক বা বিষাক্ত নয়। বরং পরিবেশ রক্ষায় যথেষ্ট সচেতন ও সচেষ্ট তারা। তবে তারা কোনও আন্তর্জাতিক আইন ভেঙেছে কি না, খতিয়ে দেখছে মেক্সিকো সরকার।
জলশূন্য
ঘোরতর সমস্যায় কাবুলের অধিবাসীরা। এক আন্তর্জাতিক সংস্থা জানাচ্ছে, আগামী পাঁচ বছরে বিশ্বের প্রথম ‘জলশূন্য’ আধুনিক শহরে পরিণত হতে চলেছে আফগানিস্তানের রাজধানীটি। সমীক্ষা অনুযায়ী, গত এক দশকে শহরের ভূগর্ভস্থ জলস্তর (অ্যাকুইফার) লক্ষণীয় ভাবে হ্রাস পেয়েছে। অন্যতম কারণ জলবায়ু পরিবর্তন। এর প্রভাবে এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হচ্ছে খুবই কম। ফলে যে নদীগুলি এই ভূগর্ভস্থ জলস্তর বাড়াতে সাহায্য করে, সেগুলিই পর্যাপ্ত জল পাচ্ছে না। তা ছাড়া ইউনিসেফের অনুমান, কাবুলের প্রায় অর্ধেক ভূগর্ভস্থ কুয়ো, যা বাসিন্দাদের পানীয় জলের প্রাথমিক উৎস, শুকিয়ে গিয়েছে। অন্য দিকে, গত আড়াই দশকে কাবুলের জনসংখ্যাও বহু গুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে জলের চাহিদা। কিন্তু অপর্যাপ্ত পরিকাঠামো এবং প্রশাসনিক অব্যবস্থার কারণে জলের সমস্যা ক্রমশ তীব্র আকার নিয়েছে। তবে কি আগামী দিনে জলের অভাবে পরিযাণই ভবিতব্য কাবুলবাসীর?
নিষ্প্রাণ: মরুমাঝে শুষ্ক জলকুয়ো।
বার্বি ও ডায়াবিটিস
ইদানীং নানা পেশার, নানা বর্ণের বার্বি তৈরি করে ম্যাটেল। কানে শ্রবণ যন্ত্র, কম দৃষ্টিশক্তির পুতুলও রয়েছে। এ বার টাইপ ১ ডায়াবিটিস আক্রান্ত শিশুদের কথা মাথায় রেখে এল নতুন বার্বি। পুতুলের হাতে গ্লুকোজ় মনিটর প্যাচ যা সারা দিন রক্তে শর্করার হিসাব রাখে, কোমরে বাঁধা ইনসুলিন পাম্প, ব্যাগে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। সমীক্ষায় প্রকাশ, আমেরিকার ত্রিশ লাখেরও বেশি শিশু-কিশোরের টাইপ ১ ডায়াবিটিস রয়েছে। যে কোনও বয়সেই এই অসুখ হতে পারে। এ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে, সব ধরনের শিশু যাতে পুতুলটির সঙ্গে একাত্ম হতে পারে, সেই বার্তা দিতেই এই পদক্ষেপ।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)