Advertisement
০৮ মে ২০২৪
Ghulam Nabi Azad

দিল্লি ডায়েরি: গান্ধীদের ভুলে মোদীর কাছাকাছি গুলাম নবি?

কংগ্রেসের নেতারা বলছেন, একদা ইন্দিরা গান্ধীর প্রিয়পাত্র গুলাম এখন ফুলের বাগান ভুলে রাহুল গান্ধীর পথে কাঁটা বিছিয়ে চলেছেন।

অতীত: সুসম্পর্কের দিনে আলাপচারিতায় মগ্ন রাহুল গান্ধী ও গুলাম নবি আজাদ

অতীত: সুসম্পর্কের দিনে আলাপচারিতায় মগ্ন রাহুল গান্ধী ও গুলাম নবি আজাদ

প্রেমাংশু চৌধুরী, অগ্নি রায় এবং অনমিত্র সেনগুপ্ত
শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২২ ০৬:১৯
Share: Save:

এ বাড়ির ফুলের বাগানের প্রশংসা করেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সাউথ অ্যাভিনিউ লেনের এই বাংলোর বাসিন্দা রাজ্যসভা থেকে অবসর নিয়েছেন এক বছর হতে চলল। তা সত্ত্বেও গুলাম নবি আজাদকে এখনও সরকারি বাংলো খালি করতে হয়নি। তিনি বহাল তবিয়তে সকালে বাগানে পায়চারি করেন। আর সন্ধ্যা হলে কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। নরেন্দ্র মোদী গুলাম নবির অবসরের সময় চোখের জল ফেলে বলেছিলেন, তিনি গুলামকে অবসর নিতে দেবেন না। সেটাই না কি সত্যি হতে চলেছে! গুলাম নবি কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে জম্মু-কাশ্মীরে নিজের দল গড়ে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাতে পারেন বলেও অনেকেরই ধারণা। ঠিক যেমনটা করেছেন পঞ্জাবের অমরিন্দর সিংহ। তার সলতে পাকাতে সুবিধা হবে বলেই মোদী সরকার তাঁকে সাউথ অ্যাভিনিউ লেনের বাংলো খালি করতে বলেনি। কংগ্রেসের নেতারা বলছেন, একদা ইন্দিরা গান্ধীর প্রিয়পাত্র গুলাম এখন ফুলের বাগান ভুলে রাহুল গান্ধীর পথে কাঁটা বিছিয়ে চলেছেন। পদ্মভূষণ কি আর এমনি এমনি মিলেছে!

বিদায় অনুষ্ঠান

সংসদের আগামী অধিবেশনের আগে রাজ্যসভা থেকে অবসর নিচ্ছেন মোট ৭৫ জন সাংসদ। তাঁদের বিদায় সংবর্ধনার জন্য তৈরি হয়েছে কমিটি। স্থির হয়েছে, চলতি অধিবেশনের মধ্যেই একটি নির্দিষ্ট দিনে, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডুর বাসভবনে সন্ধ্যায় হবে বিদায় অনুষ্ঠান। বিদায়ী সাংসদদের হাতে তুলে দেওয়া হবে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা ভারতমাতার বাঁধানো প্রিন্ট। এই ছবিটি অবনীন্দ্রনাথ এঁকেছিলেন ১৯০৫ সালে, স্বদেশি আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে। এরই পাশাপাশি একটি করে কাঁসার তৈরি অশোকস্তম্ভও দেওয়া হবে ওই সাংসদদের। সে দিনই দুপুরে রাজ্যসভার অধিবেশন কক্ষে তাঁদের বিদায় সম্ভাষণ জানানো হবে। এই গোটা অনুষ্ঠানটির তারিখ চূড়ান্ত করা হবে আগামী সপ্তাহে।

রাজস্থানি আবু ধাবি

এ যে অবাক কাণ্ড। কোথাও লেখা জোধপুর, কোথাও অলওয়ার, কোথাও বুন্দি। আবু ধাবিতে ল্যুভ্‌র মিউজ়িয়াম দেখতে গিয়ে চমকে গেলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। বিদেশের জাদুঘরের প্রাচীরে তাঁর রাজ্য রাজস্থানের নানা জায়গার নাম খোদাই করা কেন? বিড়লাকে জানানো হল, বিশ্বের যে প্রান্ত থেকেই জাদুঘর তৈরির সামগ্রী এসেছে, সেই সব জায়গার নাম খোদাই করা হয়েছে। বিড়লা আবু ধাবির স্বামী নারায়ণ মন্দিরও দেখতে গিয়েছিলেন। মন্দিরের কারুকার্য দেখে শিল্পীদের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে হল। সেখানে আবারও চমক। বিড়লা আবিষ্কার করলেন, তাঁর রাজস্থানের ভরতপুর, অলওয়ারের অনেকেই আবু ধাবির মন্দিরে কাজ করেছেন!

নামবিভ্রাট

এক জন সুস্মিতা রুপোলি পর্দায় প্রখ্যাত। অন্য সুস্মিতা রাজনীতির ময়দানে। মঙ্গলবার রাজ্যসভায় এই দুয়ের মাঝে গোল পাকিয়ে ফেললেন রাজ্যসভার ভাইস চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংহ। আর তার জেরে গোটা অধিবেশন কক্ষে ছুটল হাসির হররা। মুহূর্তে ভুল বুঝে হাসতে হাসতে নিজেকে সংশোধন করে নিলেন হরিবংশ নারায়ণ। বিদেশমন্ত্রীর ইউক্রেন বিবৃতির পর বিরোধীরা এক এক করে ব্যাখ্যা চাওয়ার জন্য দাঁড়াচ্ছিলেন। নাম আগেই জমা দেওয়া ছিল, সেই ক্রম অনুযায়ী তাঁদের ডাকছিলেন হরিবংশ নারায়ণ। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেবকে তিনি ডেকে বসলেন, সুস্মিতা সেন বলে! তার পরই, হাসির আওয়াজে সহাস্য ভ্রম সংশোধন! উঠে নিজ বক্তব্য পেশ করার আগে সুস্মিতা দেব গোড়াতেই বললেন, “এই প্রশংসার জন্য আমি ভাইস চেয়ারম্যানের কাছে ব্যক্তিগত ভাবে কৃতজ্ঞ! তবে আমি সুস্মিতা দেব বলে ডাকলেই পছন্দ করব!”

 নামমহিমা: সাংসদ সুস্মিতা দেব

নামমহিমা: সাংসদ সুস্মিতা দেব

প্রচারে তারকা-যুদ্ধ?

আসানসোলে আসন্ন লোকসভার উপনির্বাচনে অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিন্‌হাকে দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তার পর থেকেই শোনা যাচ্ছে, বাবার হয়ে প্রচারে নামবেন অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিন্হা। সেই কথা শুনে বিজেপির শীর্ষ রাজ্য-নেতা হাসতে হাসতে বলছেন, “মনে হচ্ছে, বিহারিবাবুকে টক্কর দিতে আমাদের এ বার অক্ষয় কুমারকে নামাতে হবে!” আসানসোলের জনতা কি তা হলে রাউডি রাঠৌর সিনেমার দ্বিতীয় পর্ব দেখতে চলেছেন?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Ghulam Nabi Azad Narendra Modi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE