হায়দরাবাদে লিয়োনেল মেসির সঙ্গে একান্তে কথা বলছিলেন রাহুল গান্ধী। দোভাষী ছাড়াই। কারণ রাহুল স্প্যানিশ জানেন। কংগ্রেসের দাবি, ভারত সফরে মেসি বোধ হয় একমাত্র রাহুলের সঙ্গেই দোভাষী ছাড়া কথা বলেছেন। তা বলে রাহুল মেসির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে হো-হো করে হাসেননি, জড়িয়ে ধরতেও যাননি— মনে করিয়ে দিল কংগ্রেস। খোঁচাটা কাকে, অনুমান করার জন্য কোনও নম্বর নেই। রাহুলকে হায়দরাবাদের অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ করেছিলেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি। তিনি আবার লাল সাদা জার্সি পরে মাঠে নেমেছিলেন। তার জন্য বেশ কয়েক দিন জুবিলি হিলসের মাঠে অনুশীলনও করেছিলেন। কিন্তু আসল সময়ে মেসিকে যত বারই বল বাড়িয়েছেন, মেসির ডান বা বাঁ দিক দিয়ে চলে গিয়েছে। মেসিকে দৌড়ে দৌড়ে বল কুড়িয়ে আনতে হয়েছে। দেখে হেসে অস্থির বিজেপি নেতা কিরেন রিজিজুর কটাক্ষ, বিশ্বসেরা ফুটবলারের সঙ্গে খেলার সুবর্ণ সুযোগের কেউ এমন অপব্যবহার করে!
আলোকিত: হায়দরাবাদে সুয়ারেজ়, লিয়োনেল মেসি ও ডি’পল-এর সঙ্গে রাহুল গান্ধী।
শীতকে হারান কী ভাবে
শুধু সাদা টি-শার্টে ঠান্ডা লাগে না? বি আর আম্বেডকরের প্রয়াণ দিবসের অনুষ্ঠানে রাহুল গান্ধীকে প্রশ্নটা করেই ফেললেন মোদী সরকারের সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। স্বাভাবিক। দিল্লির তাপমাত্রা সকালে দশ-বারো ডিগ্রিতে ঘোরাফেরা করছে। রাহুল জানান, তাঁর ঠান্ডা লাগে না। সেই সঙ্গে তিনি রিজিজুকে বাড়িতে এক সঙ্গে জিম করার নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন। হাসতে হাসতে রিজিজুর উত্তর, আপনার বাড়িতে যেতে ভয় করে!
‘আমাদেরও দিন’
মূল মকর দ্বারের সামনে দাঁড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। হঠাৎই সামনে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর-এর খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়েছে সদ্য। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে কল্যাণ নিতিনকে বললেন, “মোদী-শাহ তো রাত-দিন ‘অনুপ্রবেশকারী’ জপে চলেছেন। এক কোটি লোককে নাকি বার করে দেওয়া হবে। বলি, একটাও পেলেন?” নিতিন মজা করে বললেন, “তা হলে আর কী, আপনাকেই বার করে দিই!” চার পাশের হাসির মধ্যেই নিতিনের হাইড্রোজেন-চালিত গাড়ি এল। কল্যাণের ফের রসিকতা, “আমাদেরও একটা দিন না এমন, কতই তো এ-দিক ও-দিক দিয়ে দেন কর্মীদের!” বার কয়েক গডকড়ীর কানে কানেও কিছু বলতে দেখা গেল কল্যাণকে।
ভামসির দু’চাকা
দিল্লির দূষণের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ব্যাটারি চালিত মোটরবাইকে সংসদে হাজির হচ্ছেন তেলঙ্গানার কংগ্রেসের সাংসদ ভামসি কৃষ্ণ গড্ডাম। ভামসি জানাচ্ছেন, ‘অ্যাটাম ভেডার’ নামের পরিবেশবন্ধু বাইক তাঁরই তৈরি। পেটেন্ট রয়েছে। ভামসি বহু দিনই পরিবেশবন্ধু পণ্যের সঙ্গে জড়িত। তাঁর সংস্থা সৌরবিদ্যুৎ তৈরির প্যানেল তৈরি করে। ভামসির পিতামহ জি ভেঙ্কটস্বামী এবং বাবা জি বিবেকানন্দ তেলঙ্গানার সুপরিচিত রাজনীতিক ছিলেন।
সক্রিয়: সংসদে সৌগত রায়।
স্বমহিমায় সৌগত
কার্যত রাজকীয় প্রত্যাবর্তন। ক’দিন আগেও খুব অসুস্থ ছিলেন। দীর্ঘ সময় হাসপাতালে থেকে এ বার শীতকালীন অধিবেশনে লোকসভায় ফের একা হাতে দলের হাল ধরেছেন। যেমন আগেও করেছেন। এ যাত্রায় ‘বঙ্কিমদা’ বলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে শুধরে দিয়েছেন। ছেড়ে কথা বলেননি অমিত শাহকেও। এ বার সেই সৌগত রায়ের প্রশংসায় স্পিকার ওম বিড়লা। বুধবার সন্ধ্যায় পরমাণু বিল নিয়ে আলোচনার শেষে, অনেকেই উঠে পড়েন। সৌগত রায় তখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন ‘বিকশিত ভারত-জি রাম জি বিল’ নিয়ে কী ভাবে সরকারকে প্যাঁচে ফেলা যায়। স্পিকার বাকি সাংসদদের উদ্দেশে বলেই ফেললেন, এই বয়সেও, এত অসুস্থতা থেকে উঠে এসেও দিনভর লোকসভায় বসে থাকেন। প্রতিটি আলোচনায় যোগ দেন। সৌগতদার থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।
যত ক্ষণ শ্বাস রয়েছে
সুপ্রিম কোর্টে এক আইনজীবী হঠাৎ হাঁপাতে হাঁপাতে হাজির। তাঁর মামলার শুনানি শুরু হয়ে গিয়েছে তত ক্ষণে! শ্বাস নেবেন না কথা বলবেন! বিচারপতি বিক্রম নাথ বললেন, প্রাণায়াম করুন নিয়মিত। গভীর ভাবে শ্বাস নিন, শ্বাস ছাড়ুন। এগারো বার করুন। আইনজীবী একটু দম নিয়েই সওয়াল শুরু করলেন। থামিয়ে দিলেন বিচারপতি, “তাড়া কিসের? আমরা তো তাড়াহুড়ো করছি না। আগে গভীর ভাবে শ্বাস নিন। শ্বাস ছাড়ুন। এগারো বার।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)