এক কালে সেখানে ঢিসুম ঢিসুম আর বাপ্পি লাহিড়ীর সুর শোনা যেত। পর্দায় প্রকট হতেন অমিতাভ বচ্চন অথবা মিঠুন চক্রবর্তী। এখন আর সারি সারি চেয়ার দেখা যায় না। যেখানে অন্ধকারে টর্চের আলো এসে পড়ত আজ সেখানে গণেশ ও কার্তিকরা অপেক্ষা করেন। সেজে ওঠেন মা দুগ্গা। মহিষাসুরের সঙ্গে রওনা হতে হবে। দক্ষিণ দিল্লির চন্দ্রলোক সিনেমা-হল কবেই বন্ধ। পরিত্যক্ত সিনেমা হলে এখন দুর্গাপুজোর মূর্তি তৈরি হচ্ছে। সিনেমা-হলের বাইরে অধিকাংশ কাজ হত। এ বছর বৃষ্টিবাদলা বলে সব মূর্তিই সিনেমা হলের ভিতরে। চিত্তরঞ্জন পার্কের প্রায় সব পুজো থেকে দিল্লির অন্য বহু পুজোর মূর্তি চন্দ্রলোক সিনেমা-হলেই তৈরি করেন ভাস্কর মানিক পাল। মাটি আসে পঞ্জাব থেকে। তবে ঠাকুরের মুখ তৈরি হয় শুধু বাংলার মাটিতেই। আসে সাজের গয়নাও। বাল্ব-এর হলদেটে আলোয় চক্ষুদান হয়। চন্দ্রলোকে নতুন ছায়াছবি তৈরি হয়।
প্রস্তুতি: চন্দ্রলোক সিনেমা-হলের ভিতরে সেজে উঠেছে দুর্গাপরিবার।
জন্মদিনের মোবাইল
নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিন উপলক্ষে নানা উদ্যোগ করেছিলেন বিজেপি দল ও নেতারা। রক্তদান শিবির, ম্যারাথন, বসে আঁকো প্ৰতিযোগিতা, আবার কেউ হাতে তুলে নিয়েছিলেন এলাকা সাফাইয়ের ঝাড়ু। বিজেপিশাসিত দিল্লি পুলিশের অভূতপূর্ব উদ্যোগ— রাজধানীতে চুরি কিংবা হারিয়ে যাওয়া যে মোবাইলগুলি তারা উদ্ধারে সক্ষম হয়েছে সেগুলি মালিকদের ফিরিয়ে দেওয়া হল। প্রায় ১৬০০ হারানো মোবাইল মালিকদের হাতে তুলে দেন দিল্লির উপরাজ্যপাল বিনয় সাক্সেনা। মোদীর জন্মদিনের দিন মোবাইল ফেরত পেয়ে হতবাক অনেকে। হারানিধি ফিরে পেয়ে এক মোবাইল প্রাপকের স্বগতোক্তি, প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে ‘রিটার্ন গিফ্ট’!
মোদীর পুজো
এ বারও নবরাত্রি পালন করছেন নরেন্দ্র মোদী। এক-এক দিন দেবীর এক-এক স্বরূপ পুজো করছেন। প্রধানমন্ত্রী বহু বছর ধরেই নবরাত্রির সময় ফল খেয়ে থাকেন। ফলাহারের আগে নানা রকম আয়ুর্বেদ ও যোগাসনের প্রক্রিয়া মেনে শরীর ডিটক্স করার চেষ্টা করেন। সঙ্গে প্রচুর জল খান। ন’দিন উপবাস থাকলেও তাঁর কর্মসূচিতে এ বারও ছুটি নেই। এক দিন উত্তরপ্রদেশ, পরের দিন রাজস্থান। বিহার তো আছেই। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কর্তাদের মতে, নবরাত্রির ব্রত চলাকালীন অন্যান্য সময়ের থেকে একটু বেশিই কাজ করেন মোদী।
শেখার ইচ্ছা থাকলে
কেউ তাঁর উপরে হিন্দি চাপিয়ে দেননি। সিপিএমের নতুন সাধারণ সম্পাদক এম এ বেবি নিজেই হিন্দি শিখছেন। মালয়ালম তাঁর মাতৃভাষা। আগেও দিল্লিতে থেকেছেন। কিন্তু হিন্দিতে স্বচ্ছন্দ হতে পারেননি। তবে পার্টির সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় দিল্লিতে পাকাপাকি থাকতে হচ্ছে বেবিকে। এর মধ্যে বার দুয়েক বিহারে যেতে হয়েছে। তেজস্বী যাদবের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হয়েছে। টের পাচ্ছেন হিন্দি জানা জরুরি। তাই সাংবাদিক সম্মেলনে নিজেই সাংবাদিকদের হিন্দিতে প্রশ্ন করতে বলছেন। উত্তরও দেওয়ার চেষ্টা করছেন হিন্দিতে। কিছু হিন্দি শব্দ বা বাগ্ধারা বুঝতে অসুবিধা হলে গুগলের শরণাপন্ন হচ্ছেন। মুখের সামনে মোবাইল ধরে মুখে সেই হিন্দি শব্দ বলে অর্থ জেনে নিচ্ছেন। হাসিমুখে বলছেন, নতুন কিছু শিখতে বেশ মজা।
মোহনলালের জাদু
দাদাসাহেব ফালকে খেতাব নিতে বিজ্ঞানভবনে এসে হইচই ফেলে দিলেন মোহনলাল। প্রবল হর্ষধ্বনির মধ্যে মঞ্চে উঠলেন। সাদা পোশাকে সজ্জিত অভিনেতা দর্শক, কর্মীদের আবদারে নিজস্বী তুললেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলাপচারিতা হল। বৈষ্ণব জানালেন, মোহনলালই ‘ওজি’ অর্থাৎ ‘অরিজিনাল গ্যাংস্টার’। মন্ত্রী বক্তৃতায় মালয়ালিতে বললেন, ‘থাংকাল ওরু উগ্রান অ্যাক্টর আনু’ অর্থাৎ আপনি এক অসাধারণ অভিনেতা।
তারকা: পুরস্কার নিচ্ছেন মোহনলাল।
পাল্টা জাতীয়তাবাদ?
রাহুল গান্ধী নিয়ম করে ভোট চুরি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করছেন। সাংবাদিক সম্মেলন শেষ হলে নতুন সংযোজন হিসাবে জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হচ্ছে। রাহুল সাদা টি শার্ট, কার্গো প্যান্ট আর চামড়ার চপ্পল পরে সকলের সঙ্গে রাষ্ট্রগান বা জাতীয় সঙ্গীত গাইছেন। বিজেপির উগ্র জাতীয়তাবাদের জবাবে রাজনৈতিক বার্তা? প্রশ্ন শুনে কংগ্রেস নেতারা মিটিমিটি হাসছেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)