Advertisement
০৫ মে ২০২৪

সম্পাদক সমীপেষু: শিশু সাহিত্যিক

গিরীন্দ্রশেখর বসুকে নিয়ে বিকাশ মুখোপাধ্যায়ের ‘ফ্রয়েডের বন্ধু’ (রবিবাসরীয়, ২০-১) পড়ে সমৃদ্ধ হলাম। গিরীন্দ্রশেখর সম্পর্কে আরও একটি তথ্য যোগ করতে চাই।

শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:০০
Share: Save:

গিরীন্দ্রশেখর বসুকে নিয়ে বিকাশ মুখোপাধ্যায়ের ‘ফ্রয়েডের বন্ধু’ (রবিবাসরীয়, ২০-১) পড়ে সমৃদ্ধ হলাম। গিরীন্দ্রশেখর সম্পর্কে আরও একটি তথ্য যোগ করতে চাই। তিনি কিশোরদের জন্য একটি অসাধারণ উপন্যাস লিখেছেন— লাল কালো। এক দল লাল ও এক দল কালো পিঁপড়ের লড়াইয়ের গল্প। বইটি এখন আর পাওয়া যায় কি না, জানি না। বলা হয়, বাংলা ভাষার প্রধান প্রধান প্রকাশনা সংস্থাগুলো যদি এই বইটি সম্পর্কে একটু আগ্রহী হত, তা হলে হয়তো গিরীন্দ্রশেখর শিশুসাহিত্যিক হিসাবেও প্রভূত জনপ্রিয়তা পেতেন। বইটির প্রতি ছত্রে লেখক গিরীন্দ্রশেখরের মুন্সিয়ানার ছাপ অত্যন্ত স্পষ্ট।

কৌস্তুভ বন্দ্যোপাধ্যায়

ফরিদপুর, পূর্ব বর্ধমান

সব এক দিকে

কাদাপাড়া সাবওয়েতে তিনটি এসক্যালেটরের সব ক’টিই একই দিকের ফুটপাতে উঠে গিয়েছে। কাদাপাড়ার দিকে কোনও এসক্যালেটর নেই। স্বভাবতই পথচারীরা সল্টলেকের দিক থেকে এসে সাবওয়ে দিয়ে কাদাপাড়ার দিকে যাওয়ার জন্য বাইপাসের উপর দিয়েই যেতে পছন্দ করছেন। তিনটি এসক্যালেটরের একটি কাদাপাড়ার দিকে কেন দেওয়া গেল না, তা সাধারণ বুদ্ধির বাইরে।

মিহির কুমার চক্রবর্তী

কলকাতা-৯৭

যানজট

উত্তর কলকাতার বরানগরে তীব্র যানযট এখন এক নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বরানগর বাজার থেকে টবিন রোড, যা পায়ে হেঁটে মিনিট ১০ লাগার কথা, তাই প্রায় ৩০ মিনিট লাগছে। এর জন্যে ফুটপাতে বসা বাজার বা দোকানের সম্প্রসারণ ছাড়াও, মূলত দায়ী বিবিবাজার থেকে বনহুগলি হয়ে দক্ষিণেশ্বর পথে বালির দিকে অবৈধ ভারী গাড়ি, ট্রাক, লরির যাতায়াত। রাস্তা ভাল থাকায় ও ট্র্যাফিক পুলিশের হাত এড়াতে এই সব ভারী গাড়ি বছরখানেক এই পথ ধরেছে। বহু বার অভিযোগ করা সত্ত্বেও পুলিশ ও কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে উদাসীন।

ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত

কলকাতা-৭৬

দখল

কলকাতা শহরের বাজারগুলো সব জতুগৃহ হয়ে আছে। বেআইনি বিদ্যুৎ সংযোগ, গ্যাস সিলিন্ডার, এ সব থেকে একের পর এক আগুন লাগছে। পুরসভা, দমকল কী ভাবে লাইসেন্স দেয় কে জানে। অনেক দিন থেকে গড়িয়াহাট মোড় ও যাদবপুরে ফুটপাত হকারদের দখলে। কিছু দিন হল, রাস্তার কিছুটা জায়গা ফুটপাত হিসেবে ব্যবহারের জন্য পুলিশ ভাগ করে দিয়েছে। গাড়ির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, তার ওপর রাস্তা সরু হয়ে গিয়েছে। দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়ছে। পথচারীদের অসুবিধার কথা ছেড়েই দিলাম। হকারদের বিকল্প ব্যবস্থা করে দিলেও তারা হয় পুরনো ফুটপাতের দোকান রেখে দেবেন কিংবা নতুন কেউ ওখানে দোকান করবেন।

আশিস রায়চৌধুরী

গল্ফ গ্রিন, কলকাতা

ট্রেনে শৌচাগার

লালগোলা শিয়ালদহ ডাউন লাইনে, লালগোলা ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ডাউন ট্রেনটিতে শৌচাগারের ব্যবস্থা শোচনীয়। পুরো গাড়িতে মাত্র দুই থেকে তিনটি শৌচাগার, যেগুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নোংরা থাকে। এক কোচ থেকে আর এক কোচ ছুটে বেড়াতে হয় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে। হয় প্রত্যেক কোচে শৌচাগারের ব্যবস্থা করা হোক, বা আগের পুরনো ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেনটিকে চালানো হোক।

শঙ্কর দাস

লালগোলা, মুর্শিদাবাদ

বেকার সমস্যা

আমরা যারা বেকার, প্রায়ই চাকরির পরীক্ষা দিই, ফর্ম পূরণ করতে অধিকাংশ সময়ই বাবার কাছে হাত পাততে হয়। কারণ সামান্য টিউশনি করে ৫০০-৬০০ টাকা দিয়ে ফর্ম পূরণ করা সম্ভব হয় না। পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থাগুলির কাছে অনুরোধ, যেন সাধারণ বেকার ছেলেদের কথা মাথায় রেখে ফর্মের দাম ১০০ টাকার মধ্যে বেঁধে রাখেন। এ বার আসি দ্বিতীয় তথা সর্ববৃহৎ সমস্যার কথায়। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর দূরত্ব যা হয়, তাতে যাতায়াত বাবদ কম করে ৫০০ টাকা খরচ করতে হয়। অনুগ্রহ করে বাড়ি থেকে ১৫-২০ কিমি-র মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রের দূরত্ব সীমিত রাখলে এই বিশাল খরচের হাত থেকে বেকার যুবক-যুবতীরা বাঁচতে পারেন।

অর্দ্ধেন্দু বড়াল

রবীন্দ্র পল্লি, মুর্শিদাবাদ

পরচা

জমির পরচা নিয়ে মৃণাল রায়ের চিঠির ( জমির পরচা, ১৪-১) পরিপ্রেক্ষিতে আমারও তিক্ত অভিজ্ঞতা জানাবার তাগিদে এই চিঠি। আমি এক জন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি বিশেষ আধিকারিক। গত ২৮ বছর যাবৎ আমার জমির পরচার জন্য ছোটাছুটি অনেক করেছি। প্রতি বারই দালালদের খপ্পরে পড়তে হয়েছে। তারা অগ্রিম টাকা পয়সা নিয়ে গিয়ে ফোনে হুমকি দিত, আমার জমির বিস্তর গোলমাল আছে। প্রচুর টাকা লাগবে। শেষ অবধি ১৭,০০০ টাকার বিনিময়ে পরচা হাতে পেয়েছি।

রাধারমণ পান

কোন্নগর, হুগলি

রাস্তার দুর্দশা

আমি বারুইপুর থানার সাউথ গরিয়া অঞ্চলের বাসিন্দা। আমার বাড়ির সামনে দিয়ে একটা রাস্তা গিয়েছে, বেগমপুর হাইস্কুলের পিছন থেকে মদারাট কালীতলা পর্যন্ত। এই রাস্তাটি ২০০৯ সালে জোলা পরিষদ সড়ক যোজনায় হয়েছিল, কিন্তু তার পর আর কোনও সংস্কার হয়নি। মানুষের হেঁটে যাওয়ার অবস্থায় আর এই রাস্তা নেই। এই রাস্তা দিয়ে সাতটি গ্রামের মানুষকে চলাফেরা করতে হয়, স্কুলের ছেলেমেয়েরাও যায়, তাদের অনেকেই সাইকেলে করে যেতে গিয়ে পড়ে যায়।

জগদীশ কুমার ঘোষাল

বেগমপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা

কারণটা কী

আমি আমার নাতনির জন্য গত ২৭-১২-২০০৮ কোড়াবাড়ি (গাংনাপুর) কিয়স্ক ব্যাঙ্ক থেকে ওর নামে পাসবই খোলার আবেদন করি। ওই কিয়স্ক ব্যাঙ্কটি গাংনাপুর স্টেট ব্যাঙ্কের অধীন। পাশবই খোলার জন্য যা যা দরকার ছিল তা জমা দেওয়া হয়েছিল, সঙ্গে ৫০০ টাকাও, যা পাশবই খোলার জন্য প্রয়োজন। ৮-১০ দিন পর আমাকে জানানো হয়, আবেদনপত্র নাকচ হয়ে গিয়েছে। নাকচ হওয়ার কারণ কী, বহু অনুনয়-বিনয় করেও কিয়স্ক ব্যাঙ্ক বা গাংনাপুর স্টেট ব্যাঙ্কের শাখা অাধিকারিকের কাছ থেকে জানতে পারিনি। নাতনি ক্লাস এইটে পড়ে। কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য ওর ব্যাঙ্কের পাসবই দরকার।

অজিত কুমার দত্ত

গাংনাপুর, নদিয়া

ফুটপাত নেই

আমি বেলঘরিয়ার নিমতার বাসিন্দা। নিমতা বাজারের এম বি রোডের দু’পাশে কোনও ফুটপাত নেই। যাতায়াত খুব বেদনাদায়ক।

সোনালী ভট্টাচার্য

কলকাতা-৪৯

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।

ভ্রম সংশোধন
'গর্ভপাতের অনুমতি দিল না হাইকোর্ট শীর্ষক সংবাদ প্রতিবেদনে (কলকাতা, পৃ ২২, ২৬-১) এসএসকেএম হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকেরা
আদালতকে জানিয়েছিলেন, ওই তরুণীর এখন গর্ভপাত করানো উচিত নয়। সেটি ভুলবশত আদালত অনুমতি দেয়নি বলে প্রকাশিত হয়েছে। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE