Advertisement
E-Paper

সম্পাদক সমীপেষু: উদ্ভট তুলনা

কিশোর মঞ্চে ওঠার সময় বিশৃঙ্খলা মাত্রা ছাড়ায়। গাইতে না পেরে মাইক হাতে দর্শকদের শান্ত হওয়ার আবেদন জানিয়ে ব্যর্থ হলে গ্রিনরুমে ফিরে যান, তাঁর কিছুই করার ছিল না। কারণ অনুসন্ধানের জন্য সরকার যে তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল সেখানে গোপনে সাক্ষী দেন কিছু মহিলা, ঘটনাস্থলে পাওয়া যায় অনেক মহিলার অন্তর্বাস।

শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৮ ০০:০০
কিশোরকুমার ও মোদী।

কিশোরকুমার ও মোদী।

এক পুলিশ অফিসারকে উদ্ধৃত করে প্রভাকর মজুমদার চিঠিতে লিখলেন (‘বিচক্ষণ মোদী’, ২৭-৭), কিশোরকুমার গ্রিনরুমে ফিরে গিয়েছিলেন বলে জলসায় অশান্তি বেড়েছিল আর মোদী তাঁর সভায় ছাউনি ভেঙে পড়া সত্ত্বেও বক্তৃতা চালিয়ে যাওয়ায়, অশান্তির সম্ভাবনা কমেছে।

প্রায় ৫০ বছর আগে, ১৯৬৯ সালের প্রথম দিকে, রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে মুম্বইয়ের সিনেমা-জগতের এক ঝাঁক তারকা নিয়ে সারা রাতের অনুষ্ঠান ‘অশোককুমার নাইট’-এর আয়োজক ছিল দক্ষিণ কলকাতার একটি ক্লাব। স্টেডিয়াম ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। অনুষ্ঠানের শুরু থেকেই কিছু যুবক মহিলাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ শুরু করে। ক্লাবের স্বেচ্ছাসেবক বা পুলিশ তক্ষুনি অসভ্য যুবাদের চিহ্নিত করে অনুষ্ঠান থেকে বার করতে পারেননি।

কিশোর মঞ্চে ওঠার সময় বিশৃঙ্খলা মাত্রা ছাড়ায়। গাইতে না পেরে মাইক হাতে দর্শকদের শান্ত হওয়ার আবেদন জানিয়ে ব্যর্থ হলে গ্রিনরুমে ফিরে যান, তাঁর কিছুই করার ছিল না। কারণ অনুসন্ধানের জন্য সরকার যে তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল সেখানে গোপনে সাক্ষী দেন কিছু মহিলা, ঘটনাস্থলে পাওয়া যায় অনেক মহিলার অন্তর্বাস। কোনও এক পুলিশ অফিসার কিশোরকুমারকে দায়ী করে সাফাই গাইতে পারেন, তদন্ত কমিশন কিন্তু উদ্যোক্তা সংস্থার গাফিলতি আর পুলিশি নিষ্ক্রিয়তাকেই এর জন্যে দায়ী করেছিল।

তাই এই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে এনে, ‘বিচক্ষণ’ মোদী আর ‘অ-বিচক্ষণ’ কিশোরকুমারের তুলনা একেবারেই অসমীচীন।

বুদ্ধদেব চট্টোপাধ্যায়

হিল কলোনি, পশ্চিম বর্ধমান

খেলার মাঠ নয়

‘বাউড়িয়ায় জমি নিয়ে গোলমাল’ (১১-৭) শীর্ষক প্রতিবেদনটি সত্যের অপলাপ মাত্র। মিল কর্তৃপক্ষের তরফে এই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে জানাই যে, উক্ত জমিটি কোনও কালেই ‘খেলার মাঠ’ ছিল না। ওটা মিলের সম্পূর্ণ মালিকানাধীন এক খণ্ড খালি জমি এবং নিজের জমিতে পাঁচিল দেওয়া কখনওই বেআইনি নয়। এ ছাড়াও এটা ঠিক নয় যে, আমাদের মিল ফাঁকা জমিতে বহুতল নির্মাণ করে সেটা মোটা টাকায় বিক্রি করেছে। এমন অভিযোগের সপক্ষে প্রমাণ পেশ করতে দাবি জানাই।

সি বি বন্দ্যোপাধ্যায়

ম্যানেজার, এইচ আর ডি

প্রতিবেদকের উত্তর: প্রতিবেদনের কোন অংশটি ‘সত্যের অপলাপ’, বুঝতে পারলাম না। প্রতিবেদনের শুরুতে পরিষ্কার লেখা হয়েছে, কারখানার জমিতে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে গোলমাল। পাঁচিল দেওয়া আইনি না বেআইনি, এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। শুধু গোলমালের উল্লেখ করা হয়েছে। যে কারণে সে দিন পুলিশও গিয়েছিল। এলাকার লোকজনই এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, ওই জমিটি তাঁরা দীর্ঘ দিন খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করছেন। কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, জমিটি তাঁদের। জমিটি পড়ে ছিল, তাই এলাকার বাসিন্দারা ব্যবহার করতেন। প্রতিবেদনে এ সবই লেখা হয়েছে। আর মিলের অন্য একটি ফাঁকা জমিতে বহুতল নির্মাণ করে বিক্রির অভিযোগও তুলেছেন স্থানীয়রাই।

ফোনে উঁকি

‘ফোনে উঁকি, বিনোদন না বিকৃতি’ (২৩-৭) প্রতিবেদন প্রসঙ্গে কিছু কথা। ঠিকই, পাশের লোক মোবাইলে কিছু দেখলে অনেক সময় অনিচ্ছাকৃত ভাবে চোখ পড়ে যায়। ভদ্রতার খাতিরে চোখ সরিয়ে নিই। আমি নিজেও খুব প্রয়োজনে দু’একটা মেসেজ লিখি, লেখার সময় অনেকে আড়চোখে দেখেন। এতে দোষটা আমার নিজের বলেই মনে হয়। লেখার পর মোবাইলটা আবার ব্যাগে রেখে দিই। বেশির ভাগ লোকজন এখন যেমন তেমন ভাবে মোবাইল ব্যবহার করেন। রাজপথে হাঁটতে হাঁটতেও।

একটি ছেলে সাইকেলে আন্দুল রোডের মতো যানবাহনপূর্ণ রাস্তায় কানে হেডফোন গুঁজে কথা বলতে বলতে সাইকেলে চেপে যাচ্ছিলেন। ওই জ্যামে তিনি আমাকে মৃদু ধাক্কা দিতেই আমি সাইকেলটা চেপে ধরি। তিনি পড়ে যান। আমার হাতেও চোট লাগে। বললাম, ‘‘ফোনটা বাড়িতে গিয়ে করবেন।’’ তিনি আমার দিকে কটমট করে তাকিয়ে চলে গেলেন।

এক দিন বাস থেকে নামতে যাব, আঁচলে টান পড়ল। দেখি এক ভদ্রলোকের ব্যাগের হুকে আমার আঁচলটা আটকে দিয়েছে। অন্যের ব্যাগে আমি হাত দিতে পারি না। অনেক ডাকাডাকি করলাম। সামনের সিট থেকে এক জন বললেন, “ওঁর কানে চাবি।” আমি তখন ঠেলা মেরে আঁচলটা ছাড়িয়ে দিতে বললাম। উনি বেশ বিরক্ত। শেষে আমি আঁচলটা ছিঁড়ে নেমে এলাম।

তাই আমার প্রশ্ন, রাস্তাঘাটে বেরোলে মোবাইলটা কি বন্ধ রাখা যায় না? আর যদি মনে করেন সর্বত্র চ্যাট করবেন, ছবি দেখবেন, তা হলে করুন, অন্য কে দেখল সেটা নিয়ে মাথা ঘামানোর কী দরকার?

সঞ্চিতা দাস

হাওড়া

বয়স্ক নির্যাতন

‘বয়স্ক নির্যাতন বাড়ছে, তবু হয় না অভিযোগ’ (১৫-৬) শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘সিংহভাগ ঘটনার কোনও রিপোর্ট হয় না।’’ কথাটা ঠিক। আবার এক-দু’টি রিপোর্ট হলেও প্রশাসন নাকে কাঠি দিয়েও হাঁচে না। প্রতিকার তো দূরের কথা, সত্যাসত্য নির্ধারণের জন্য খোঁজও করে না। আমি নিজে ভুক্তভোগী। আমি এখনও পর্যন্ত চার বার পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্যের দ্বারা তাদের পুত্রকন্যাদের সামনে অতি জঘন্য ভাষা ও আচরণ-সহ নির্যাতিত হয়েছি। তিন বার লজ্জায় প্রশাসনকে বলিনি। চতুর্থ বার ৩-৯-২০১৭ তারিখে প্রগতি ময়দান থানাতে এবং সদস্য হিসাবে ‘প্রণাম’ সংগঠনকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু কেউ কিছু জানতেই এল না। তাই বোধ হয় অভিযোগ কেউ করেন না। তা ছাড়া, নির্যাতিত হওয়ার হতাশাও কাজ করে। বৃদ্ধদের এটাই ভবিতব্য। এঁদের নির্যাতনে পরিবারের অন্য লোকজন, পাড়ার লোকজন, ক্লাবের লোকজন, জনপ্রতিনিধি— কেউ কিছুই বলেন না। আর পুলিশের কাছে তো এই সমস্যা সমাধানের রাস্তাই অজ্ঞাত। অতএব বৃদ্ধরা নির্যাতিত হতেই থাকুন। এই কি আমাদের নিয়তি?

চিত্তরঞ্জন দাস

কলকাতা-১০৫

সাপের কামড়

প্রতি বছর সাপের কামড়ে এ দেশে হাজার হাজার লোকের মৃত্যু হয়। বেশির ভাগই গ্রামের মানুষ। অথচ তাঁকে নিয়ে ছুটতে হয় ৩০-৪০ কিলোমিটার দূরে শহরের হাসপাতালে। পৌঁছতে পৌঁছতে অতি মূল্যবান কয়েক ঘণ্টা নষ্ট হয়ে যায়। এমন কোনও ব্যবস্থা কি সরকার করতে পারে না, যাতে নিজের গ্রামে থেকে কয়েক মিনিটের মধ্যে চিকিৎসা শুরু করা যায়? কিছু নির্বাচিত গ্রামীণ চিকিৎসককে প্রশিক্ষিত করে সাপে কাটা রোগীকে অ্যান্টি-ভেনাম সিরাম দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায় না?

মিজানুর রহমান

পঞ্চাননতলা, মুর্শিদাবাদ

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ইমেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।

ভ্রম সংশোধন

•‘ইস্ট-ওয়েস্টের স্ক্রিন গেট চিন থেকে এল শহরে’ (কলকাতা, পৃ ১৪, ৩০-৭) শীর্ষক খবরে কেএমআরসিএল-এর অধিকর্তা অনুপকুমার কুণ্ডুর বক্তব্যে লেখা হয়েছে, দেশের মধ্যে এখানেই প্রথম প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন গেট ব্যবহার করা হবে। আসলে এটি ভারতীয় রেলওয়ে প্রকল্পের ক্ষেত্রে প্রথম, কিন্তু দেশের মধ্যে নয়।

•‘‘শর্ট স্ট্রিট-কাণ্ডে ‘অনুপ্রবেশের’ মামলা খারিজ’’ (কলকাতা, পৃ ১২, ২-৮) শীর্ষক খবরে কল্পনা মজুমদারকে অভিযুক্ত পরাগ মজুমদারের স্ত্রী লেখা হয়েছে। তিনি মামলার অংশীদার হলেও পরাগের স্ত্রী নন। তাঁর সঙ্গে পরাগের সম্পত্তিগত বিবাদের মিটমাট হয়েছে। শর্ট স্ট্রিট-কাণ্ডে কল্পনাদেবীর কোনও যোগ নেই।

অনিচ্ছাকৃত এই ভুলগুলির জন্য আমরা দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।

Comparison Kishore Kumar Narendra Modi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy