Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

সম্পাদক সমীপেষু: হুমকির রাজা

ট্রাম্পের আরও হুমকি ভারত সরকারের বিরুদ্ধে।

শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২০ ০০:৫২
Share: Save:

বর্তমান বিশ্বের দোর্দণ্ডপ্রতাপ ব্যক্তি হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের পরিচিতি সর্বজনবিদিত। তিনি সরাসরি চিনকে করোনাভাইরাসের জনক বলে, দেখে নেওয়ার প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে বসে আছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকেও বলেছেন, চিন-কেন্দ্রিক। যার জন্য এই সংস্থাকে পরবর্তী কালে আমেরিকা বিপুল অর্থসাহায্য না-ই করতে পারে, এই হুমকিও তাঁর বক্তৃতায় বোঝা যায়। ট্রাম্পের আরও হুমকি ভারত সরকারের বিরুদ্ধে। একটি নির্দিষ্ট ওষুধ ভারত থেকে সরবরাহ না করা হলে, এই দেশকে দেখে নেওয়ার হুমকি। ধনী আর শক্তিশালী দেশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই বিশ্বের প্রায় সমস্ত দেশকেই হুমকি দিয়ে তটস্থ রেখে নিজের স্বার্থসিদ্ধি করে। তবে অনেক তো হুমকি হল, এ বার ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনাভাইরাস-কে হুমকি দিয়ে বিশ্বছাড়া করতে পারবেন কি?

উজ্জ্বল গুপ্ত

কলকাতা-১৫৭

পোষ্যটির দশা

গৃহবন্দি থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে উঠেছেন তো? কখনও ভেবে দেখেছেন, তবে আপনার পোষ্যটি বা পোষ্যগুলি থাকে কী করে, দিনের পর দিন, রাতের পর রাত? আপনি হয়তো ভাবছেন, আমার পোষ্য কুকুরছানাটি কি গৃহবন্দি? তাকে খুব ভাল ভাবে রেখেছি, যত্নের এতটুকু খামতি নেই, ও যা যা খেতে ভালবাসে সব এনে দিচ্ছি, নিয়মিত ঘোরাতে নিয়ে যাচ্ছি। একটু ভেবে দেখুন তো, গলায় বকলশ পরিয়ে দিয়ে তাকে আপনি আপনার মতো চালাচ্ছেন না তো!
প্রথমত, ও সঙ্গীহারা-স্বজনহারা। দ্বিতীয়ত, ওর যখন ইচ্ছে হবে মোটেই বেরোতে পারবে না। আর্তনাদ করলেও আপনি শুনবেন না, উল্টে ধমকে চুপ করিয়ে দেবেন। আপনি ওকে আপনার সময়মতোই বেড়াতে নিয়ে যাবেন। আপনিও লকডাউনে ভালমন্দ সব খেতে পাচ্ছেন, অর্ডার করলেই আপনার পছন্দসই খাবার হাজির। কিন্তু ইচ্ছে করলেই আপনি বাড়ির বাইরে যেতে পারছেন না। মনে হচ্ছে, কী করে এই বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাবেন, টুক করে যদি পুলিশের নজর এড়িয়ে এক বার বেরিয়ে পড়া যায়। আর হয়তো কর্মসূত্রে পরিবারের থেকে দূরে আছেন, ফোনের এ-প্রান্ত থেকে মনে হচ্ছে, ছুটে চলে যাই। কিন্তু যাওয়ার জো নেই। ভেবে দেখুন, আপনার পোষ্যটিরও ঠিক ওই অনুভূতিগুলোই হয়।

চুমকি সরকার
কলকাতা-১০৯

বিদ্যুৎ বিল

‘বিদ্যুৎ বিল’ (২-৪) শীর্ষক সংবাদটির পরিপ্রেক্ষিতে এই চিঠি। ধন্যবাদ জানাই রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রীকে। তিনি এই অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে ঘোষণা করেছেন, লকডাউন চলাকালীন বিদ্যুতের টাকা মেটাতে না পারলে, কাউকে বাড়তি টাকা দিতে হবে না। বিদ্যুতের বিল মেটানোর সময়সীমা বৃদ্ধি করার কথাও বলেছেন। কিন্তু তার পরেই একটা খটকা লাগে। সংবাদে প্রকাশ, ‘‘গ্রাহকের বাড়ি তালাবন্ধ থাকলে, আগের বছর ওই মাসে তাঁর যে বিল হয়েছিল, সে অনুযায়ী খরচ হিসেব করে দফতর। এপ্রিল মাসের বিল বানানোর ক্ষেত্রে সে পদ্ধতিই মানা হবে।’’ প্রশ্নটা এখানেই, এই লকডাউন পরিস্থিতিতে তো ছোটখাটো বহু অফিস, কারখানা, দোকান প্রভৃতি টানা তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই আলো পাখা এসি চলছে না। সুতরাং বিদ্যুতের ব্যবহারও নেই। তাদের ক্ষেত্রে গত বছরের এই সময়ের বিল অনুসারে বিল তৈরি করাটা কি যুক্তিসঙ্গত হবে? স্বাভাবিক সময় আর এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি এক করে দেখলে চলবে না।

চন্দন দাশ
কলকাতা-২৬

সমবায়িকা

রাজ্য সরকার অত্যাবশক পণ্যের দোকান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিলেও, সরকারের অধীন ‘সমবায়িকা’ খোলা নেই আমাদের এলাকায়। সেখানে আমরা অনেকেই নিত্যদিনের ব্যবহার্য জিনিসপত্র কিনে থাকি। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে গত ২৩ মার্চ থেকে সম্পূর্ণ বন্ধ। ফোনে যোগাযোগ করলে বলা হচ্ছে, যাঁর কাছে চাবি তিনি যে হেতু অনেকটা দূরে থাকেন, তাই খোলা যাচ্ছে না। খুললে, আমরা একটু ভিড় এড়িয়ে (যেটা এই সময় খুবই জরুরি) নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কিনতে পারি।

রামকৃষ্ণ ঘোষ
কলকাতা-৫৪

বেশি পড়াশোনা

লকডাউন খুলে গেলে স্কুল-কলেজ সহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা শুরু হোক নির্দিষ্ট সময়ের ৩০ মিনিট আগে। শেষ হোক ৩০ মিনিট পরে। পঠন-পাঠনের সময় বাড়ানো হোক। শনিবার অর্ধদিবস আর ছুটি নয়,পূর্ণদিবস পঠন-পাঠন হোক। গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল করা হোক। পূজাবকাশ কমানো হোক। অতিরিক্ত ছুটিও আর নয়।

গোপীকান্ত মেথুর
কৃষ্ণনন্দপুর, হাওড়া

সাহায্য?

‘রতনকে অর্থ সাহায্য বাদশার’ (আনন্দ প্লাস, ৭-৪) শিরোনামটি বিস্ময়ের উদ্রেক করল। এটা শিল্পী রতন কাহারের ‘প্রাপ্য’। সাহায্য আর প্রাপ্য কথা দুটির অর্থ এক হল কি? সাহায্য কথাটির সঙ্গে একটা দয়ার ভাব আছে, আর প্রাপ্য মানে, যোগ্য হিসেবে পাওনা। বাদশা তো রতনবাবুকে দান করেননি, তাঁর গান ব্যবহার করে তার মূল্য দিয়েছেন।

শুভাশিস সেন
রাজবাটী, পূর্ব বর্ধমান

অশুদ্ধ হয়

দেবাশিস ভট্টাচার্য ‘আঁধার ঘুচল কি’ (৯-৪) শীর্ষক নিবন্ধে লিখেছেন, ‘‘এই রাজ্যে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু তিন বা ছয়-সাত, যেটাই সাব্যস্ত হোক, তাতে মহাভারত অশুদ্ধ হয় না।” বাস্তবটা হল, এই অতিমারি জনিত মৃত্যু সাধারণ মৃত্যু নয়, এতটাই ভয়ঙ্কর যে, মৃতদেহ পরিজনের হাতে না দিয়ে, শ্মশানে নয়, সৎকার করা হয় ধাপার মাঠে। তাই করোনা-মৃতের পরিসংখ্যানের গরমিলে বিপর্যয়ের সম্ভাবনা বহুমুখী। তাই মহাভারত অশুদ্ধ না হোক, সারা ভারতের মৃত্যুর পরিসংখ্যানে এ রাজ্যের সংখ্যাটা অশুদ্ধ থেকেই যায়।

দেবব্রত সেনগুপ্ত
কোন্নগর, হুগলি

ভিডিয়ো রোগী

বর্তমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দৌলতে অনলাইন পঠন-পাঠন, রামি খেলা, প্রশাসনিক কাজকর্ম চালানো, বিচার বিভাগীয় কাজকর্ম চালানো ইত্যাদি চলতে পারে। কিন্তু অনলাইন চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া মোটেই বিজ্ঞানসম্মত ও যুক্তিযুক্ত নয়। রোগীকে ভাল ভাবে পরীক্ষা না করে, শুধু ভিডিয়ো ক্যামেরার সামনে এক দিকে ডাক্তার ও অপর দিকে রোগীকে দাঁড় করিয়ে কখনওই সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যায় না। ভুল হওয়ার আশঙ্কা খুব বেশি।

প্রদীপ কুমার দাস
শ্রীরামপুর, হুগলি

অনুশোচনা

ঘরবন্দি হয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রতিনিয়ত দেখছি, অসংখ্য ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, কী ভাবে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন করোনাভাইরাসের দানবের বিরুদ্ধে। একাকী বসে অনুশোচনায় দগ্ধ হচ্ছি এই ভেবে যে, এই কিছু দিন আগেও বিনা কারণে, বা অত্যন্ত তুচ্ছ কারণে অর্বাচীনের মত এঁদেরই আমরা চোখ রাঙিয়েছি তর্জনী তুলে। এমনকি বহু ক্ষেত্রে শরীরিক নিগ্রহ করতেও কসুর করিনি। আজ এই মুহূর্তে বহু ধর্মস্থানে ‘ঈশ্বর’ রীতিমতো তালাবন্দি। এঁরাই একমাত্র সহায়। এঁদের হাতেই পৃথিবীর ভবিষ্যৎ।

সোমনাথ চৌধুরী
সুকান্তপল্লি, বীরভুম

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE