Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Letters To The Editor

চিকিৎসা করাতে গিয়ে ভিন্ রাজ্যে আটকে, বাড়ি ফেরানোর আর্তি এঁদের সকলেরই

এই লকডাউন পরিস্থিতিতে পাঠকদের থেকে তাঁদের অবস্থার কথা, তাঁদের চারপাশের অবস্থার কথা জানতে চাইছি আমরা। সেই সূত্রেই নানান ধরনের সমস্যা পাঠকরা লিখে জানাচ্ছেন। পাঠাচ্ছেন অন্যান্য খবরাখবরও। সমস্যায় পড়া মানুষদের কথা সরকার, প্রশাসন, এবং অবশ্যই আমাদের সব পাঠকের সামনে তুলে ধরতে আমরা ম‌‌নোনীত লেখাগুলি প্রকাশ করছি।এই লকডাউন পরিস্থিতিতে পাঠকদের থেকে তাঁদের অবস্থার কথা, তাঁদের চারপাশের অবস্থার কথা জানতে চাইছি আমরা। সেই সূত্রেই নানান ধরনের সমস্যা পাঠকরা লিখে জানাচ্ছেন। পাঠাচ্ছেন অন্যান্য খবরাখবরও। সমস্যায় পড়া মানুষদের কথা সরকার, প্রশাসন, এবং অবশ্যই আমাদের সব পাঠকের সামনে তুলে ধরতে আমরা ম‌‌নোনীত লেখাগুলি প্রকাশ করছি।

ছবি: পিটিআই।

ছবি: পিটিআই।

শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২০ ১৬:৩৩
Share: Save:

চিঠি এক) কিডনির রোগে ভুগছি, গাড়ি ভাড়া করে ডায়ালিসিস করাতে যেতে হচ্ছে

গত দু’বছর ধরে কিডনির রোগে ভুগছি, আমাকে সপ্তাহে তিন তিনটে ডায়ালিসিস নিতে হয়। লকডাউন থাকায় গণপরিবহণ বন্ধ। তাই আমি বিডিও, থানা এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। কিন্তু কোনও রকমের সাহায্য পাইনি। আমার আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। তবুও নিরুপায় হয়ে প্রাইভেট গাড়ি করে হাসপাতালে যেতে হছে। প্রশাসন যদি আমার মতো রোগীকে কিছু সাহায্য করে খুব উপকার হয়।

অয়ন কুন্ডু, মোহন বাটী, জঙ্গিপাড়া, হুগলি, ইমেল: ayankundu2016@gmail.com

চিঠি দুই) আমি ভেলোরে, বয়স্ক মা-বাবা ছেলের সঙ্গে হলদিয়ায়, সাহায্য করুন

পরিবারের দুই সদস্যের সঙ্গে চিকিৎসা করাতে গত ১৮ মার্চ ভেলোরের সিএমসি-তে এসেছি। লকডাউন ঘোষণা করায় হলদিয়ায় নিজের বাড়িতে ফিরতে পারিনি। গত ২৬ মার্চ থেকে খুব দৈন্যদশায় দিন কাটছে। আমার মা-বাবা অসুস্থ। তাঁদের বয়স পঁচাশির কাছাকাছি। হলদিয়ার বাড়িতে আমার সতেরো বছরের ছেলের সঙ্গে রয়েছেন তাঁরা। তাঁদের সাহায্য দরকার। দয়া করে হলদিয়ার বাড়িতে ফেরানোর ব্যবস্থা করুন।

গৌতম রায়, হলদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর

চিঠি তিন) অস্ত্রোপচারের জন্য বেঙ্গালুরুতে, টাকাও প্রায় শেষ

হাঁটুর লিগামেন্টে অস্ত্রোপচারের জন্য গত ৯ মার্চ পরিবারের সঙ্গে বেঙ্গালুরুর মণিপাল হাসপাতালে এসেছিলাম। ১১ মার্চ আমার অস্ত্রোপচার হয়। ২৫ মার্চে ফেরার ট্রেনের টিকিট কাটা ছিল। সেটা বাতিল হাওয়ার পর এবং লকডাউন হওয়ার আগে ৩১ মার্চ আবার টিকিট কাটি। কিন্তু সেটাও বাতিল হয়ে যায়। কবে বাড়ি ফিরব, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায়। ১৬ এপ্রিল বিমানে ফেরার টিকিট পেয়েছি। কিন্তু চরম ধোঁয়াশায় রয়েছি যে তা আদৌ চলবে কি না। সঙ্গের ৯০ শতাংশ টাকা শেষ। এখনও রেলের তরফ থেকে টাকা ফেরত পাইনি। দুশ্চিন্তায় আমার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কী করব, কিছুই বুঝতে পারছি না। কেন্দ্রীয় সরকার, একটু তাকান আমাদের দিকে!

অভিষেক দাস, মঙ্গলপুর, বালুরঘাট

চিঠি চার) ভেলোরে এসে হোটেলবন্দি, টাকাও শেষ, বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করে দিন

১২ মার্চ আমার ছেলেকে ভেলোরের এক ডাক্তার দেখাতে নিয়ে এসেছিলাম। ফেরার টিকিট ছিল ২৪ মার্চ। লকডাউনের জন্য টিকিট বাতিল হয়ে গিয়েছে। আমরা পাঁচ জন একটা হোটেলে রয়েছি। আমাদের কাছে টাকাপয়সা নেই। খুব অসুবিধা হচ্ছে । দয়া করে বাড়ি ফেরার বন্দোবস্ত করে দিন।

সৌমিত্র সামন্ত। কাঁথি, পূর্ব মেদিনীপুর মোবাইল নম্বর: ৯৯৩৩৯৭৩৭১৬

চিঠি পাঁচ) মুম্বইতে এসে আটকে, বাড়িতে মা একা, ফেরার বন্দোবস্ত করে দিন

মুম্বইয়ের অন্ধেরীতে ডাক্তার দেখাতে এসে আটকে পড়েছি। আমার নার্ভের সমস্যা। দুর্ঘটনায় নার্ভের শিরা শুকিয়ে গিয়েছে। তাই কথা শুনতে সমস্যা হয়। এখানকার নার্ভ স্পেশালিস্টকে দেখাতে এসেছিলাম। বাবা দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন। বাড়িতে মা ছাড়া কেউ নেই। আর মায়েরও খুব শরীর খারাপ। দেখাশোনার কেউ নেই। ১৫ এপ্রিলের টিকিট করা আছে। বাড়ি ফিরতে না পারলে আমার কোন থাকার জায়গা থাকবে না, খাবার টাকাও শেষের দিকে। এখানে কোন রকমে একটা থাকার জায়গা পেয়েছি। বুঝতে পারছি না, কী করব। আমার বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করে দিন দয়া করে।

অনামিকা বিশ্বাস, কলকাতা, মোবাইল নম্বর: ৯৮৩২০২৭৮৪৪, ইমেল: biswasarshi@gmail.com

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Letters To The Editor Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE