Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Ghiya River

সম্পাদক সমীপেষু: ঘিয়া নদীর দূষণ

দাদপুর, মাকালপুর ও বাবনান অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় পরিবেশের ভারসাম্য হারিয়ে যাচ্ছে।

শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২০ ০০:৪৩
Share: Save:

বিডিও অফিসের উদ্যোগে মাটি খোঁড়ার যন্ত্র দিয়ে বেশ কয়েক জায়গায় মাটি কেটে ঘিয়া নদীর সংস্কারের পর সে তার পুরনো স্রোত আবার ফিরে পেয়েছে। কিন্তু ঘিয়ের মতো পবিত্র জল বহনের জন্য তার যে সুনাম ও ঐতিহ্য, তা সে ফিরে পায়নি। সাত-আট মাস আগে থেকে দেখা যাচ্ছে কখনও লাল জল, কখনও কালো জল বয়ে চলেছে নদী দিয়ে। আগে মাসে দু’এক বার বিষাক্ত কালো জল প্রবাহিত হত। এখন অনবরত তা প্রবাহিত হচ্ছে। আশপাশের গ্রামের মানুষের কাছে শুনছি, বেশ কিছু চালকল এবং বিয়ারের কারখানার বর্জ্য নদীর জলে মেশার জন্যই নাকি এই দূষণ। এর ফলে দাদপুর, মাকালপুর ও বাবনান অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় পরিবেশের ভারসাম্য হারিয়ে যাচ্ছে।

এই জল শুধু মানুষের ব্যবহারের অযোগ্যই নয়, চাষের জমিতেও দেওয়া যাচ্ছে না। অথচ এই এলাকার চাষিরা বোরো চাষে সেচের জন্য এই নদীর উপরেই নির্ভরশীল। স্নানের জলের জন্যও অনেকে এই নদীর জল ব্যবহার করতেন। শুধু তা-ই নয়, এই নোংরা জল বহন করে এনেছে ভয়ঙ্কর জোঁক। ঘিয়ার দুই তীরে এখন নতুন করে জোঁকের উপদ্রব দেখা দিয়েছে। দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন এবং পরিবেশ দফতরের কাছে স্থানীয় লোকজনের তরফ থেকে আবেদন, এই বিষাক্ত জলের উৎস নির্ধারণ করা হোক, ও নমুনা পরীক্ষা করে নদীটিকে দূষণ ও দুর্গতিমুক্ত করা হোক।

লক্ষ্মণ সাঁতরা

দাদপুর, হুগলি

স্বপ্নের দেশ

সেমন্তী ঘোষের ‘একেই তবে বলে গণতন্ত্র’ (৬-১১) প্রসঙ্গে এই চিঠি। আমরা এই শুনেই বড় হয়েছি যে, ‘অমুক দাদা বা দিদি আমেরিকায় থাকে,’ ‘আমার ছেলে তো আমেরিকায় সেটেল‌্‌ড, বড় হলে তুমিও যাবে।’ কিন্তু আমরা হয়তো নিজের সন্তানদের আমেরিকাকে আর ‘স্বপ্নের দেশ’ হিসেবে দেখতে শেখাব না। বরং সে দেশেও মানুষের মনে যে বর্ণবিদ্বেষ আর অভিবাসী বিদ্বেষ রয়েছে, এবং এই মনোভাব যে অনৈতিক, তা নিশ্চয়ই বুঝতে শেখাব। আমাদের দেশেও বিভিন্ন কারণে বিদ্বেষ বেড়ে চলেছে। আমেরিকার ভোট বিদ্বেষের ভিত্তিতে রাজনীতির বিপদের বিষয়ে চোখ খুলে দেবে, সে আশা রাখি। গণতন্ত্রকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ভেদাভেদের রাজনীতির প্রতিবাদ আমরা অবশ্যই করতে পারব। পরবর্তী প্রজন্ম ‘স্বপ্নের আমেরিকা’-র থেকে বেশি আমাদের দেশ ও আমাদের উদারতার কথা শুনে বড় হবে।

সুমন চক্রবর্তী

কলকাতা-৬৫

শুধুই কলকাতা

দুর্গাপুর ব্যারাজের লক-গেট বিপর্যয়ের কারণে এই অঞ্চলে জল সঙ্কট এবং বণ্টনের ঘাটতি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে বলতে শোনা গেল, দুর্গাপুরের চেয়ারম্যান যদি কাজ না করে, তা হলে তাঁকে সরিয়ে দিতে। পরে অবশ্য তিনি পুরসভার বোর্ড মিটিং ডাকার পরামর্শ দিলেন। এ-ও শোনা গেল, অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অন্যান্য কারণে বহু অভিযোগের খবর আছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে। তা হলে আগেই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা করা হল না কেন? কলকাতায় কোনও বিপর্যয় হলে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় তার মোকাবিলা। শহরতলিতে বা অন্য জেলায় এমন একাগ্রতা এবং উৎসাহ চোখে পড়ে না। রাজ্যের পুর এলাকায় খোঁজ নিলে দেখা যাবে, অনেক অলিখিত দলীয় ফড়ের পদ রয়েছে, যাঁদের কাজ এলাকায় বেআইনি বহুতল বাড়ি নির্মাণ, সাবমার্সিবল/ জেট পাম্প বসানো এবং নানাবিধ কাজের মৌখিক ভাবে অনুমতি দেওয়া।

জেলা এবং জেলা-শহরগুলিতে কোনও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের জমায়েত ছাড়া সাংসদ, বিধায়কদের দেখা পাওয়া ভার। পুরসভার ওয়ার্ডগুলিতে বছরে এক দিনও এলাকার মানুষদের নিয়ে সভা করতে দেখা যায় না। ঠিকাদার এবং ফড়ে পরিবেষ্টিত চেয়ারম্যান সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলেও তা অমীমাংসিত রেখে দেন। এই সমস্ত কার্যকলাপ মুখ্যমন্ত্রী বা তাঁর দফতরের অজানা নয়, শুধুমাত্র সংবাদ শিরোনামে এলেই ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়।

পিনাকী রুদ্র

কলকাতা-১২৪

প্রদীপের তলায়

দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের ‘শরীরের কষ্ট কখনও ক্লান্ত করেনি তাঁকে’ (রবিবাসরীয়, ১-১১) পড়ে যুগপৎ বিস্মিত ও দুঃখিত হলাম। মানসিক ভাবে অসুস্থ বীরেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে প্রফুল্লময়ীর বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কেউ কেন এই অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করেননি, ভাবতে অবাক লাগে। আসলে সমাজে প্রতিপত্তি আছে, এমন পরিবারের বিরুদ্ধে কেউ যেতে পারেননি। আবার বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর মারা যাওয়ার পর তাঁর মা এবং স্ত্রীকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। এই অন্যায়ের প্রতিবাদ ওই বিখ্যাত পরিবারের কেউ করেননি, এটাও খুব দুঃখের।

যখন সাহানাদেবীর পুনর্বিবাহের ব্যবস্থা করা হচ্ছিল, তখন নিজেদের পারিবারিক স্বার্থ ও সম্মান বজায় রাখতে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পিতৃদেবের নির্দেশে বিবাহ বন্ধ করতে যান। অসহায় মেয়েটির ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়। এত বিখ্যাত, সংস্কৃতিমান পরিবারের এই আচরণ মানা যায় না। প্রসঙ্গত আর এক জনের কথা না উল্লেখ করে পারছি না। তিনি হলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, যিনি নিজের ছেলের বিবাহ দিয়েছিলেন এক বিধবার সঙ্গে।

সর্বানী গুপ্ত

বড়জোড়া, বাঁকুড়া

কুমিরের কান্না

ফের পেঁয়াজ আমদানি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। গত বছরও অক্টোবর-নভেম্বর মাসে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি রুখতে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির পরিকল্পনা করেছিল সরকার। সেই পেঁয়াজ যখন বাজারে এল, তখন এ দেশের চাষিদের উৎপাদিত পেঁয়াজও বাজারে আসতে শুরু করেছে। ফলে দাম পড়ল অনেকটা। সরকারের লোকসান, চাষিদেরও। পেঁয়াজ আমদানি করে সরকারের রাজকোষের ঘাটতি বাড়ল, যা পরোক্ষে দেশের অর্থনীতিকে দুর্বল করে দিল। অন্য দিকে হতভাগ্য চাষিরা ঋণ নিয়ে চাষ করে পরিশোধ করতে না পেরে আত্মহত্যা করলেন। নেতা-নেত্রীরা তাঁদের জন্য কুমিরের কান্না শুরু করে দিলেন। এই অতিমারির বছরেও সেই একই গল্প।

শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা-১৪১

ফি ফেরত

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় অতিমারির আগে। তখন অনেক ছাত্র-ছাত্রী নির্ধারিত মূল্য দিয়ে আবেদন করেন। পরে অতিমারির জন্য পরীক্ষা বাতিল হয়। কিন্তু ফি ফেরত দেওয়ার কথা জানাচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। বার বার মেল করলেও উত্তর আসেনি। ছাত্রছাত্রীদের আৰ্থিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে ফি ফেরত দেওয়া হোক।

সোহম সাউ

ধাড়সা পাল পাড়া, হাওড়া

শ্রদ্ধা

২৬তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব পিছিয়ে গেল জানুয়ারি ২০২১-এ। এই উপলক্ষে একটি প্রস্তাব আছে। অতিমারির সঙ্গে সংগ্রামরত ডাক্তার এবং নার্সদের শ্রদ্ধা জানাতে তাঁদের কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া কয়েকটি বিখ্যাত বাংলা ও হিন্দি ছবিকে এই উৎসবে অন্তর্ভুক্ত করা হোক। যেমন অগ্নীশ্বর, কাচের স্বর্গ, হাটে বাজারে, ডাক্তার, দীপ জ্বেলে যাই, গণশত্রু, ডা. কোটনিস কি অমর কহানি। নিশ্চয়ই এমন আরও কিছু ছবি পাওয়া যাবে।

সোমনাথ রায়

কলিকাতা-১৫

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,

কলকাতা-৭০০০০১।

ইমেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE