Advertisement
E-Paper

অঙ্কে আতঙ্ক

অঙ্ক পরীক্ষার আগের দিন গোটা পরিবারের রাতের ঘুম সাবাড়! যুক্তিবোধ তো দূরের কথা, নানা কুসংস্কার সংক্রামিত হতে থাকে শিক্ষার্থীটির মনে!

শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৯ ০০:৩৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

জ্ঞাতে বা অজ্ঞাতে জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপেই আমরা অঙ্কের নানা রকম ফর্মুলা মেনে চলি। একটি শিশু অনায়াসেই বুঝে নেয়, পছন্দের খাবারটি তার চেয়ে বোন বা ভাইকে বেশি না কম দেওয়া হল, অথবা তার পাতে পড়া রসগোল্লাটি তুলনায় বড় না ছোট। বাজারের অল্পশিক্ষিত মাছওয়ালা বা পাড়ার মুদি মুখে মুখে কত জটিল যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগ করতে পারেন। অথচ, যেই আপনি গণিতকে একটা ‘বিষয়’ হিসেবে সিলেবাসে যুক্ত করলেন; অমনি শুরু হয়ে গেল নানা গন্ডগোল। অঙ্ক পরীক্ষার আগের দিন গোটা পরিবারের রাতের ঘুম সাবাড়! যুক্তিবোধ তো দূরের কথা, নানা কুসংস্কার সংক্রামিত হতে থাকে শিক্ষার্থীটির মনে! কোথায় অঙ্কের আপাত-কঠিন আবরণটি ভেঙে পথ খোঁজার আনন্দে মেতে উঠবে ওরা, তা নয়, বরং সেই কাল্পনিক বাঁদরের মতো প্রশ্নমালা-উত্তরমালার তৈলাক্ত বাঁশে ওঠা-নামা করতে করতে ছাত্রছাত্রীদের কাছে গণিত ক্রমেই এক বিভীষিকায় পরিণত হয়।

অঙ্কের প্রতি ছাত্রছাত্রীদের এই ভয় কাটানোর লক্ষে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে গবেষণা করে চলেছে প্রতীচী ও প্রাথমিক শিক্ষকদের যৌথ মঞ্চ ‘শিক্ষা আলোচনা’। ২০১৭ সালের মে মাস নাগাদ ‘শিক্ষা আলোচনা’র কলকাতা জেলার সদস্যরা ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে আয়োজন করেছিল এক ‘গণিত মেলা’-র। তিন দিনের সেই অনুষ্ঠানে শিশুরাই নিজের নিজের শ্রেণির উপযোগী অঙ্কগুলি শেখানোর নানা মডেল তৈরি করে এবং সেই বিষয়ে প্র্যাক্টিক্যাল ডেমনস্ট্রেশন দিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল।

সেই সাফল্য থেকে উৎসাহ পেয়ে সম্প্রতি ‘শিক্ষা আলোচনা’র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা টিম এবং ভগবতী দেবী শিক্ষক শিক্ষণ কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে আরও বড় আকারের এক গণিত উৎসব হয়ে গেল। যোগ দিয়েছিল ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের ৩০টি প্রাথমিক স্কুলের প্রায় ৮০ জন শিক্ষার্থী। বিরাট বিরাট হলঘরে বিভিন্ন ক্লাসের অজস্র স্টল। স্টলে দাঁড়িয়ে খেলার ছলে অঙ্ক করার ‘ডেমনস্ট্রেশন’ দিচ্ছে প্রাথমিক স্তরের পড়ুয়া ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চা।

অঙ্কের ভয় আমাদের সমাজে ভূতের ভয়ের থেকেও প্রবল ও সংক্রামক। তা নির্মূল করতে জেলায় জেলায়, সম্ভব হলে প্রতিটি ব্লকে এই রকম গণিত উৎসব হওয়া উচিত।

অম্লান বিষ্ণু

ইমেল মারফত

ছানার জল

ডাউন ৫৩০০৮ কাটোয়া-রামপুরহাট প্যাসেঞ্জার এবং ডাউন ৫৩০১৬ কাটোয়া-আজিমগঞ্জ প্যাসেঞ্জার লোকালে রোজ বেশির ভাগ কামরায় ছানার ট্রে তোলা থাকে। ওই কামরাগুলির প্রতিটি সিটের তলা এবং চ্যানেলগুলিতে ছানার জলে ভর্তি থাকে। ফলে ওই ট্রেনগুলো যখন আপ ৫৩০১৩ এবং আপ ৫৩০১৫ কাটোয়া আজিমগঞ্জ লোকাল হয়ে ফেরে, তখনও গোটা কামরা নোংরা হয়ে থাকে। রোজ ভীষণ দুর্গন্ধময় অবস্থায় আমাদের যাতায়াত করতে হয়। নিত্যযাত্রীদের প্যান্ট-শাড়ি ভিজে যায় এবং তার থেকে বাজে গন্ধ বার হয়।

সম্পর্ক মণ্ডল

কাটোয়া, পূর্ব বর্ধমান

স্টপ নেই

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রায় তিন হাজার মানুষ কর্মরত। নিকটবর্তী রেল স্টেশন মালদহ আজিমগঞ্জ বিভাগের মণিগ্রাম স্টেশন। এই বিভাগে কলকাতা যাওয়ার যে ট্রেনগুলি চলে, তার মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় হল মালদহ টাউন-হাওড়া (ভায়া আজিমগঞ্জ) ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস। কিন্তু ট্রেনটির মণিগ্রাম স্টেশনে স্টপ নেই। ফলে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মচারী এবং তাঁদের পরিবার ও আশেপাশের মানুষদের, গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনটির পরিষেবা নিতে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরের জঙ্গিপুর স্টেশনে যেতে হয়।

কমলাচরণ ঘোষাল

মুর্শিদাবাদ

খোলা ভ্যাট

আমরা বিধাননগর কর্পোরেশনের ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। আমাদের এলাকার প্রধান জনবহুল এলাকা স্থান হল গাঁতি বাজার। এই বাজারের পাশেই প্রধান রাস্তার উপরে খোলা জায়গায় এলাকার সর্ববৃহৎ ভ্যাট রয়েছে। প্রায়শ নোংরা আবর্জনা গড়িয়ে রাস্তার উপরে চলে আসে। অসংখ্য স্কুলযাত্রী, পথচলতি মানুষের পায়ে লেগে যায়। নাকে রুমাল চাপা দিয়ে চলাফেরা করতে হয়। বর্ষার সময় সমস্ত জায়গাটা এক বিভীষিকার আকার ধারণ করে। আপনার সংবাদপত্রের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট বিনীত আবেদন, তাঁরা যেন অতিসত্বর একটি উন্নত আধুনিক ভ্যাটের ব্যবস্থা করেন, যাতে নাগরিকরা এই খোলা ভ্যাটের দূষণ থেকে মুক্তি পান।

সুবীর পাল

কলকাতা-১৩২

কৃত্রিম ফুল

এখন কৃত্রিম ফুলের মালা বেরিয়ে যাওয়ার কারণে কাঁচা ফুলের মালা আর তত বিক্রি হয় না। প্রায় সব ফুলেরই নকল মালা বেরিয়ে গিয়েছে। একটি কাঁচা ফুলের মালা এই মরসুমে প্রায় ৫০ টাকা। কিন্তু প্লাস্টিকের মালার দাম বড়জোর ১৫-২০ টাকা। এর ফলে অনেকেই কৃত্রিম ফুলের মালাই কিনছেন, আর ফুুলচাষিরা মারাত্মক মার খাচ্ছেন। গত বিশ্বকর্মা পুজোয় প্রায় ২৫টি গ্যারাজে দেখেছি ৯৮% গাড়ি প্লাস্টিকের মালায় সাজানো। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সবচেয়ে বড় ফুলের বাজার দেউলিয়াতে দেখেছি, বারোটার পর সব গাঁথা ফুলের মালা হাইরোডের পাশে ফেলে দেওয়া হল। কারণ জিজ্ঞেস করতে উত্তর পেলাম, বাসি মালা বিক্রি হয় না। তা ছাড়া আমাদের তো বড় ফ্রিজ নেই। আমরা এসেছি অনেক দূর থেকে গাড়িভাড়া করে। এ বার যদি ওই মালা আবার ফিরিয়ে নিতে হয়, তা হলে আবার ভাড়া লাগবে।

সুজিত কুমার ভৌমিক

চণ্ডীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর

ঘুড়ির সুতো

বহু বার ঘুড়ির চিনা মাঞ্জা সুতোয় ‘মা’ উড়ালপুলে বাইক-আরোহীর গুরুতর আহত হওয়ার খবর পড়েছি, এমনকি কয়েক বছর আগে বারুইপুর বাইপাসে বাইক আরোহীর মৃত্যুর কথাও অনেকের মনে আছে। শুনেছি, পুলিশরা পুলে উঠে টহল দিচ্ছেন, পুলের মাথায় জাল লাগাচ্ছেন, গ্রেফতার করছেন। দীর্ঘদিন এই এলাকা দিয়ে যাতায়াতের অভিজ্ঞতায় জানাই, পার্ক সার্কাস ময়দানের ফাঁকা মাঠ অংশটাতে (ডন বস্কো স্কুলের উল্টো দিক) কিছু মানুষ ঘুড়ি ওড়ান। এই ময়দান থেকে ঘুড়ি ওড়ালে স্বাভাবিক ভাবেই ঘুড়ির সুতো পাশে থাকা উড়াল পুলের উঁচুতে থাকা যাত্রীদের আহত করে। বিশেষ করে ছুটির দিনে সকাল ১০টা থেকে এবং অন্যান্য দিন বিকেল ২ /২:৩০-র পর থেকে ঘুড়ি ওড়ানো হয়। যাতায়াতের পথে এই সুতোয় অনেকের হাত পা কেটে, ছড়ে যেতে দেখেছি (নিজেও ভুক্তভোগী), প্রতিবাদ করলে সমবেত অশ্রাব্য গালাগাল ও রক্তচক্ষুর সামনে মাথা নিচু করে চলে যেতে হয়।

আলি হোসেন খান

পশ্চিম সালেপুর, বারুইপুর

উল্টো দিকেই

এনআরএস হাসপাতালে গেটের (এজেসি বসু রোডের দিকে) বাঁ দিকে হাসপাতালের শৌচাগার। প্রচুর মানুষ সেটি ব্যবহার করেন। দুর্গন্ধে পথ চলা দায়। রোগজীবাণু ছড়াচ্ছে চার দিকে। আশ্চর্যের বিষয়, শৌচাগারের উল্টো দিকেই বেশ কয়েকটি খাবারের দোকান। ভাত, লুচি, ঘুগনি, মাছ, সবজি, চা, বিস্কুট দেদার বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা তোয়াক্কা করছেন না। শৌচাগারের পাশে খাবারের দোকান খুবই অস্বাস্থ্যকর।

অতীশচন্দ্র ভাওয়াল

কোন্নগর, হুগলি

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।

Education Arithmophobia Mathematics Festival
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy