Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Shaheen Bagh Protest

সম্পাদক সমীপেষু: আমাদেরই মধ্যে

লড়াইটা কার বিরুদ্ধে, কিছুটা বোঝা যাচ্ছে, সবটা না। লড়াইটা যাঁদের বিরুদ্ধে তাঁদের কিছু অংশকে আমরা চোখে দেখতে পাচ্ছি। আর বিপুল অংশ মিশে আছেন আমাদেরই মধ্যে। আলাদা করে চিনতে পারছি না।

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২০ ০০:২৬
Share: Save:

জহর সরকারের ‘ব্যক্তি প্রস্তুত, চেতনা জাগ্রত’ (৪-৩) শীর্ষক নিবন্ধে লিখেছেন, “আজ যখন সেই ‘দাঙ্গা’ সফল ভাবে কার্যকর করা হচ্ছে, প্রাণহানিও হচ্ছে, তখন খুব গভীর ভাবে বোঝা প্রয়োজন যে, আমাদের লড়াইটা আসলে কার বিরুদ্ধে।”

লড়াইটা কার বিরুদ্ধে, কিছুটা বোঝা যাচ্ছে, সবটা না। লড়াইটা যাঁদের বিরুদ্ধে তাঁদের কিছু অংশকে আমরা চোখে দেখতে পাচ্ছি। আর বিপুল অংশ মিশে আছেন আমাদেরই মধ্যে। আলাদা করে চিনতে পারছি না। ‘গদ্দারোঁ কো গোলি মারো’ বলে যে লোকটি মিছিলে হাঁটছে, তাকে দেখতে পাচ্ছি। সুসজ্জিত মঞ্চে দাঁড়িয়ে এই জিগির তুলছেন যে মন্ত্রী, তাঁকে টিভিতে দেখছি। আর তাঁরও পিছনে থেকে যে নেতা-মন্ত্রীরা কলকাঠি নাড়ছেন তাঁরা কারা তা-ও অনুমান করতে পারছি। এঁদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আন্দোলন চলছে।

এর বাইরেও যে বিপুল সংখ্যক মানুষ এই হাঁক শুনে মনে মনে তারিফ করছেন, তাঁদের নিয়ে কী করব? এঁরা আমাদের অপরিচিত নয়। আমাদেরই আত্মীয়, বন্ধুবান্ধব, প্রতিবেশী। কিছু দিন আগে, শাহিন বাগের আন্দোলন তুঙ্গে। এক দিন রাস্তায় বেরিয়ে এক জনের কণ্ঠে আক্ষেপ শুনি: দেখেছেন, ‘অমুক’গুলো নিজেরা না পেরে এখন বাড়ির মা-বৌ-ঝিদের রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছে! ‘অমুক’-এর বদলে তিনি কী কুৎসিত শব্দ বলেছিলেন, আন্দাজ করে নিন। আমি ভাবলাম, মনের গভীরে কী পরিমাণ বিদ্বেষ জমা হয়ে থাকলে এক জন মানুষ এমন জঘন্য উক্তি করতে পারেন! অথচ নিপাট ‘ভালমানুষ’ ইনি। চাকুরিজীবি। সচ্ছল। থাকেন অতি আধুনিক একটি শহরে। রোজ বাড়ি ফিরে শিশুকন্যার গলা জড়িয়ে ধরে আদর করেন, স্ত্রীকে ভালবাসেন, মা-কে ভক্তি করেন, বাড়িতে পুজো-আচ্চা হয়। ফুরসত পেলেই মন্দিরে দেবতা দর্শনে যান।

কী ধরনের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এঁদের হৃদয়ের কাছে পৌঁছনো যাবে, জানি না।

রবিন চক্রবর্তী

কলকাতা-৯১

মদ্যপ যাত্রীরা

২৩-২ তারিখে, বোলপুর থেকে ব্যান্ডেল ফিরছিলাম। গণদেবতা এক্সপ্রেসে উঠে, ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। একটি সংরক্ষিত কামরায় থিকথিকে ভিড়। বেশির ভাগ যাত্রীই তারাপীঠ থেকে পুজো দিয়ে ফিরছেন। আট-দশ জনের একটি দল, কপালে সিঁদুরের তিলক এঁকে মদ্যপ হয়ে ট্রেনের কামরাকে নেশার ডেরায় পরিণত করেছেন। কেউ সিটে বসে ধূমপান করছেন, কেউ গালাগালির বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন। কেউ আবার বাথরুমে ঢুকে মদ্যপান করছেন। এক জন তো নেশার ঘোরে পাশের মহিলার গায়ে গড়িয়েই পড়লেন। আমি দলটির খুব কাছে দাঁড়িয়ে থাকায় লুকিয়ে ‘জিআরপি’-কে ফোনও করতে পারিনি। মদ্যপদের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার ভয়ে চুপ থাকতে হয়েছিল। এই সব ট্রেনের কামরায় যদি সিসিটিভি-র থাকত, তা হলে এমন অসভ্যতা সহজেই রুখে দেওয়া যেত। এক রাত্রি হাজতবাস ও মোটা টাকা জরিমানার ব্যবস্থা করা কি খুব কঠিন? প্রসঙ্গত বলি, এক্সপ্রেসের টিকিট থাকা সত্ত্বেও সে দিন একটু শান্তিতে ট্রেনযাত্রা করার জন্য বর্ধমানে নেমে, লোকাল ট্রেনে বাড়ি ফিরি।

শিপ্রা ভৌমিক

চন্দননগর, হুগলি

পাশেই নালা

মাঝেরহাট স্টেশনের ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে অত্যন্ত দুর্গন্ধযুক্ত নালা। শুয়োরের দল জটলা করে ওই নালার মধ্যে। নালার চার পাশও খুব অপরিচ্ছন্ন।

শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

মহেশতলা

সমান জরিমানা

খবরে প্রকাশ, যত্রতত্র বাস থামিয়ে যাত্রী তোলা হলে, বাসের ড্রাইভারকে জরিমানা করা হবে। ভাল কথা। তবে এই ক্ষেত্রে, চালক ও যাত্রী উভয়েরই জরিমানা হওয়া উচিত। এবং সমপরিমাণ জরিমানা।

সোমনাথ বিশ্বাস

কলকাতা-৭৫

শৌচালয় বন্ধ

দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-আমতা শাখার মুন্সিরহাট স্টেশনে পুরুষ-মহিলা দু’টি শৌচালয়ই অনির্দেশ্য কারণে দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ থাকায় যাত্রীদের খুব অসুবিধে।

দেবাশিস মিত্র

ব্রাহ্মণপাড়া, হাওড়া

কেন এই কার্ড

সম্প্রতি আমার শ্বশুর শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্থানীয় ডাক্তার কোনও হাসপাতালে ভর্তি করতে বলেন। আমার স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ওঁর কভারেজ ছিল। কিন্তু লিস্টে থাকা ছ’টি বেসরকারি হাসপাতালে যোগাযোগ করা হলে, তারা কোনও না কোনও কারণে রোগী ভর্তি করতে তাদের অপারগতার কথা জানায়। কেউ বলে, বেড খালি নেই। কেউ বলে, ওদের ডাক্তার যদি ভর্তি করতে বলেন তবেই ভর্তি নেওয়া হবে। কেউ সরাসরি বলে দেয়, এই রোগের কভারেজ এই কার্ডে পাওয়া যাবে না। এখানে জানানো দরকার, আমরা স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবা বিনামূল্যে পাই না, আমাদের (শিক্ষক) মেডিক্যাল অ্যালাউয়্যান্স বন্ধ করে এই কার্ড প্রদান করা হয়েছে। যদি প্রয়োজনে পরিষেবাই না পাই, তা হলে কেন আমাদের স্বাস্থ্যসাথী স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করা হল? পরিশেষে জানিয়ে রাখি, এই রকম অভিজ্ঞতা আগেও হয়েছে, আমার মায়ের অসুস্থতার সময়।

মানস ঘোষ

কোন্নগর, হুগলি

শুধু মৌখিক

হোমিয়োপ্যাথিক ডাক্তার (এমও) মেডিক্যাল অফিসার পদে নিয়োগ করার জন্য, ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের (ডব্লিউবিএইচআরবি) মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয় ২০-১২-২০১৯ তারিখে। বিজ্ঞাপন প্রকাশের সময় জানানো হয়, সংখ্যায় বেশি পদপ্রার্থী থাকলে লিখিত ও মৌখিক উভয় পরীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্ত প্রার্থী নির্বাচন করা হবে। সে কারণে অ্যাডেনডাম নোটিস প্রকাশিত হয় কী ভাবে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে— I. Scheme of the Test, II. Syllabus of the Test. কিন্তু গত ২০-২-২০২০ তারিখে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় যে কোরিজেনডাম নোটিস: এমও প্রার্থী নির্বাচনে লিখিত পরীক্ষা হবে না। কেবল মাত্র মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে প্রার্থী নির্বাচন চূড়ান্ত হবে। বর্তমান যুগে লিখিত পরীক্ষা ছাড়া কেবল মাত্র মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে প্রার্থী নির্বাচন যথাযথ বা স্বচ্ছ ভাবে হবে কি? আরও একটা বিষয় জানাতে চাই: এক মাত্র ডব্লিউবিএইচআরবি-র বিভিন্ন পরীক্ষা সম্পর্কে এত সংশোধনী বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়, সব সময় আমাদের পক্ষে লক্ষ রাখাও সম্ভব হয় না, কারণ ইন্টারনেটের সমস্যা থাকে।

সমীর ভট্টাচার্য

কলকাতা-৩০

কোনও ঠিক নেই

হোমিয়োপ্যাথিক মেডিক্যাল অফিসার নিয়োগ প্রক্রিয়ায়, কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে প্রথম বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আবেদন করার তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ থেকে ৭ জানুয়ারি, ২০২০ ঠিক করা হল। বিজ্ঞপ্তিতে বিএইচএমএস-এর প্রাপ্তাঙ্কের (শতকরা ভাগ) সঙ্গে ০.৬ গুণ করে নেট অঙ্ক হিসেব করা হয়েছিল। পরবর্তী ২৭-১২-২০১৯ তারিখে বিজ্ঞপ্তিটি পাল্টে দেওয়া হল, যাতে বিএইচএমএস-এর প্রাপ্তাঙ্কের (শতকরা ভাগ) গ্রুপ অনুযায়ী ভাগ করে দেওয়া হল। নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ফর্ম ফিল-আপের তারিখ অপরিবর্তিত রাখা হল। তার পর আবার ১৪-২-২০২০ তারিখে কর্তৃপক্ষ জানালেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একটি লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। আবার ২০-২-২০২০ তারিখে জানালেন, কোনও লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে না।

সৌমিত্র দাস

সিঙ্গুর, হুগলি

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল:
letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE