Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

সম্পাদক সমীপেষু: ক্ষোভ ও মশকরা

রীতি অনুযায়ী, মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে পূর্বতন বেতনক্রম বাতিল হলে কেন্দ্রীয় সরকার বেতন কমিশন গঠন করেন।

শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৯ ০০:৫৪
Share: Save:

‘কেন্দ্রীয় হারে টাকা চাইলে কেন্দ্রে যাও’ ২১ জুলাই সভামঞ্চ থেকে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের এ হেন বিবৃতি রাজ্য সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষক মহলে ব্যাপক বিভ্রান্তি ও সংশয়ের জন্ম দিয়েছে। প্রথমত, একটি রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে শিক্ষক, কর্মচারীদের বেতন ভাতা নিয়ে তিনি এমন একটা উক্তি করলেন কেন? দ্বিতীয়ত, রাজ্য সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষকদের নিয়োগকর্তা রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় সরকার নয়। তবে কোন দুঃখে নয়া বেতন পেতে তাঁরা কেন্দ্রের কাছে হাত পাততে যাবেন?

রীতি অনুযায়ী, মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে পূর্বতন বেতনক্রম বাতিল হলে কেন্দ্রীয় সরকার বেতন কমিশন গঠন করেন। সাধারণত সেই কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হওয়ার পর বিভিন্ন রাজ্য পে কমিটি বা পে কমিশন গঠন করে, নিজ নিজ কর্মচারী শিক্ষক, বোর্ড, কর্পোরেশন ইত্যাদির শ্রমিক কর্মচারীর বেতন পুনর্বিন্যাস করে। ব্যতিক্রম কেরল, কর্নাটক, তেলঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশের মতো গুটিকয় রাজ্য। এরা তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত ও সময়কাল অনুসারে বেতন পুনর্বিন্যাসে ব্রতী হয় (যেমন কেরলের সরকার প্রতি পাঁচ বছর অন্তর বেতন স্কেল রিভিশন করে)। এ বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের কোনও সম্পর্কই নেই।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এ রাজ্যের কর্মচারীদের বেতন পুনর্বিন্যাসের জন্য ষষ্ঠ বেতন কমিশন গঠিত হয়েছিল ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে। সময়সীমা ধার্য হয়েছিল ৬ মাস। কমিশন চলছে প্রায় ৪ বছর। কবে সুপারিশ পেশ হবে? দেবা না জানন্তি! সম্প্রতি কেন্দ্রের সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হওয়ার পর দেশের প্রায় সব রাজ্য সরকার কর্মচারী শিক্ষকদের বেতন নবীকরণ করেছে। এই ‘শ্রী’ সেই ‘শ্রী’-তে এই রাজ্য দেশে ফার্স্ট হলেও, প্রদত্ত বেতনের ক্ষেত্রে ২৯তম, অর্থাৎ লাস্ট।

বর্তমানে কর্মচারীরা ১৩ বছর আগের মূল্যসূচক (২০০৬) অনুসারে নির্ধারিত বেতনক্রমের বোঝা বইছেন। উপরন্তু ২৯% মহার্ঘ ভাতা বকেয়া। তবে কি মুখ্যমন্ত্রী ন্যায্য বেতন প্রাপ্তির জন্য শিক্ষক, কর্মচারীদের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলকে রাজ্যের ক্ষমতায় আনার পরামর্শ দিচ্ছেন? কেন্দ্রের কাছে কর্মচারীর যাওয়ার তো কোনও উপায় নেই। তবে কেন্দ্রই কর্মচারীর কাছে আসুক!

অনেকে মশকরা করছেন: শিক্ষক কর্মচারীকে যদি ন্যায্য বেতন ভাতার জন্য কেন্দ্রের শরণাপন্ন হতে হয়, তবে মাননীয়াকে কি নির্বাচনে ব্যালট পুনঃপ্রবর্তনের আশায় ইউরোপ, আমেরিকা পাড়ি দিতে হবে?

অর্জুন সেনগুপ্ত, যুগ্ম সম্পাদক, ওয়েস্ট বেঙ্গল গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ় ইউনিয়ন (নবপর্যায়)

বিদ্যুৎ নেই

আমি এক সাধারণ ছোট দোকানদার। প্রায় ২৪ বছর ধরে খড়্গপুরের রেলওয়ে মার্কেট গোলবাজারে একটা ছোট্ট দোকানে ব্যবসা চালাচ্ছি। আমার এই দোকানে কোনও বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। জেনারেটরের সাহায্যে বাঁধাধরা সময়ের মধ্যে দোকান চালাতে হয়। এতে অনেক বেশি টাকা খরচ হয়, যা আমার মতো ছোট দোকানদারের পক্ষে কষ্টসাধ্য। তাই ১৪ বছর আগে (২০০৫ সালে) স্থানীয় রেলওয়ে প্রশাসনের কাছে বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদন করেছিলাম। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, আমি নিয়মিত রেলের ভাড়া মিটিয়ে দিলেও, আজ পর্যন্ত আমার দোকানে বিদ্যুৎ সংযোগ পেলাম না। এই সমস্যা আমার একার নয়। সাউথ ইস্টার্ন রেলওয়ে পরিচালিত গোলবাজারে প্রায় আনুমানিক চার হাজার বৈধ দোকান আছে। তার মধ্যে প্রায় তিন হাজার দোকানেই বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। অধিকাংশ দোকান জেনারেটরের সাহায্যে চলে। তাই পরিবেশ দূষণের মাত্রাও এখানে অনেক বেশি। খড়্গপুরে প্রচুর উন্নয়ন হচ্ছে, কিন্তু এই ব্যাপারে কারও মাথাব্যথা নেই।

কৃষ্ণ ঘোষ, গোলবাজার, পশ্চিম মেদিনীপুর

ভুল ঠিকানা

আমার ভোটার কার্ডে ঠিকানা ভুল আছে। ঠিক করার জন্য ৯-৯-১৮ তারিখে ফর্ম নং ৮-এর মাধ্যমে বুথে বিএলও-র কাছে আবেদন করি। ঠিকানা আবার ভুল আসে। শ্রীরামপুর এসডিও অফিসে ৪-২-১৯ তারিখে ফর্ম নং ৮ সহযোগে আবেদন করি। আবার ঠিকানা ভুল আসে। এখন পাসপোর্ট করাতে পারছি না, ভোটার কার্ডের ঠিকানার জন্য আটকে যাচ্ছে।

রিয়াংকা সরকার, কোন্নগর, হুগলি

ট্রাক দাঁড়িয়ে

বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দুটো কমিশনারেটের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। একটি ব্যারাকপুর, অন্যটি বিধাননগর। এই পথে সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ট্রাক চলাচল নিষিদ্ধ। ফলে এই ১৪ ঘণ্টা বহু ট্রাক এই রাস্তার ধারে লাইন করে দাঁড়িয়ে থাকে। কখনও কখনও ডবল লাইন করেও দাঁড়ায়। সম্প্রতি ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এলাকায় কড়াকড়ি একটু বেশি হওয়ায়, প্রচুর ট্রাক বিধাননগরের এলাকায় ঢুকে সারা দিন দাঁড়িয়ে থাকছে। পাশেই কিছু আবাসন আছে। বহু মানুষের বাস সেগুলিতে। দিনভর এই ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকার জন্য এলাকার মানুষের চলাফেরায় খুব অসুবিধা হয়। আবাসন থেকে বেরোবার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। সবচেয়ে অসুবিধা হয় সকালে, যখন স্কুলের বাচ্চারা ট্রাকের জন্য বেরোতে পারে না এবং অফিসযাত্রীরাও আটকে পড়েন। একটি বাসস্টপ আছে, এয়ারপোর্ট সিটি বাসস্টপ, সেটিও আড়াল হয়ে যায় ট্রাকের জন্য। পাশেই পুলিশ চৌকি, কিন্তু পুলিশ অসহায় ভাবে বলেন, আমাদের লোকবল খুব কম, তাই কিছু করা যাচ্ছে না।

সমীর বরণ সাহা, কলকাতা-৮১

শিশুর যত্ন

মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর অনেক জনহিতকর কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘চাইল্ড কেয়ার লিভ’ চালু করা। কিন্তু দুর্ভাগ্য, পার্শ্বশিক্ষিকারা এই ছুটি পান না। অথচ তাঁদের শিশুরাও তো মায়ের যত্ন আশা করে, অসুস্থতার সময় মাতৃস্নেহ চায়, পরীক্ষার আগে মায়ের দেখভালের প্রয়োজন অনুভব করে।

সুদীপ্তা মণ্ডল, মসিনাপুর, বাঁকুড়া

সাইকেল পাইনি

আমি ২০১৫ সালে, মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি ব্লকের বাঘডাঙা রামেন্দ্রসুন্দর স্মৃতি বিদ্যাপীঠের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলাম। সে বছর সবুজসাথী প্রকল্পের সাইকেলের জন্য আমাদের স্কুলে মোট ১৪৩ জন ছাত্রছাত্রীর সরকারি এনরোলমেন্ট হয়। কিন্তু আজ অবধি এক জনও সাইকেল পাইনি। স্থানীয় ব্লক অফিসে খোঁজ করে জেনেছি, ওই বছর কান্দি ব্লকে নাকি প্রায় ৩০০০ ছাত্রছাত্রীকে অর্থাভাবে সাইকেল দেওয়া যায়নি। কবে সাইকেল পাওয়া যাবে, কেউই বলতে পারছেন না। ২০১৫ সালে দশম শ্রেণির পড়ুয়া অনেকেই পাশ করে অন্যত্র চলে গিয়েছে। আমিও মাধ্যমিক পাশ করে কান্দির অন্য একটি স্কুলে পাঠরত।

সুহৃৎ ভট্টাচার্য, কান্দি, মুর্শিদাবাদ

ট্রেনিং পাচ্ছি না

আমি গভঃ স্পনসর্ড এক বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক বিভাগের সহকারী শিক্ষক। দশ বছরের বেশি কাজ করছি। স্নাতক বা স্নাতকোত্তর স্তরে ৫০% নম্বর না থাকায়, এনসিটিই অনুমোদিত কোনও বিএড ট্রেনিং সংস্থা থেকে বিএড ট্রেনিং সম্ভব হচ্ছে না। তাই ইনক্রিমেন্ট থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। প্রাথমিক শিক্ষকদের যে রকম ওডিএল মোডে ডিএলএড ট্রেনিং এবং উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০% পাওয়ার লক্ষ্যে আবার ওই পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের ক্ষেত্রে সে রকম ব্যবস্থা করা যায় না?

প্রকাশ চন্দ্র সাহা, নলহাটি, বীরভূম

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mamata Banerjee TMC Primary Teacher
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE