Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

সম্পাদক সমীপেষু: ছবির দরদ কাজে কই

ভারতের মতো দেশে এক জন দলিত মানুষেরও নির্যাতন হবে না, এমন প্রতিশ্রুতি দেওয়ার মতো কঠিন কাজ করার চেয়ে, মিডিয়ার সামনে দু’চার জন দলিত মানুষের পা ধুইয়ে দেওয়ার মতো অনেক সহজ কাজ করে ভোটের রাজনীতি করলেন মোদী। কিন্তু তেমন উন্নততর মহানুভবতার নজির স্থাপন করতে পারলেন না।

শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৯ ০০:০০
Share: Save:

২৫ ফেব্রুয়ারি আনন্দবাজার পত্রিকার প্রথম পাতায় প্রকাশিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দলিত মানুষদের পা ধুইয়ে দেওয়ার ছবিটাতে আবারও প্রমাণিত হল, কোনও মানুষ সাধারণ ভাবে সহজ কাজের দিকেই ঝোঁকেন। আশ্চর্য হলাম, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীজিও যাবতীয় ক্ষমতার অধিকারী হয়েও এর ব্যতিক্রমী হতে পারলেন না।

ভারতের মতো দেশে এক জন দলিত মানুষেরও নির্যাতন হবে না, এমন প্রতিশ্রুতি দেওয়ার মতো কঠিন কাজ করার চেয়ে, মিডিয়ার সামনে দু’চার জন দলিত মানুষের পা ধুইয়ে দেওয়ার মতো অনেক সহজ কাজ করে ভোটের রাজনীতি করলেন মোদী। কিন্তু তেমন উন্নততর মহানুভবতার নজির স্থাপন করতে পারলেন না।

কারণ দলিতদের প্রতি দরদ সরকারের কাজে বোঝা যায়, দরদের বিজ্ঞাপনধর্মী ছবিতে নয়। রোহিত ভেমুলার আত্মা নিশ্চয়ই হাসছেন!

কৃষ্ণ ঘোষ

সুভাষপল্লি, খড়্গপুর

নন্দনের পুকুর

নন্দন-রবীন্দ্রসদন চত্বর আগের তুলনায় এখন অনেক আলোকজ্জ্বল, সবুজ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। প্রচুর বসার জায়গাও বানানো হয়েছে। কিন্তু নন্দনের পাশে, অর্থাৎ কলকাতা তথ্য কেন্দ্র বা গগনেন্দ্র প্রদর্শশালার ঠিক পিছন দিককার পুকুরটার বেহাল দশা। চার পাশে রেলিং দেওয়া পুকুরটা আস্তে আস্তে হয়ে উঠছে ডাস্টবিন। থার্মোকলের প্লেট থেকে শুরু করে, প্লাস্টিকের জলের বোতল, চায়ের কাপ, কাগজের ঠোঙা, আরও কত কিছু পড়ে আছে। এমন নয় যে নন্দন চত্বরে ময়লা ফেলার কোনও পাত্র নেই। আগের তুলনায় তার সংখ্যা বরং বৃদ্ধিও পেয়েছে, কিন্তু মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব।

সুদীপ্ত রায়

কলকাতা-১৫৪

পিজি সম্পর্কে

খবরে পড়লাম, পিজি হাসপাতালের বহির্বিভাগ বা ওপিডি টিকিট কাটা এ বার অনলাইনে সম্ভব হবে। অনেকে আশ্বস্ত হবেন। দূরের রোগীদের কাছে পিজিতে লাইন দিয়ে টিকিট কাটা এক বিভীষিকা আজ। ক’দিন আগে চিকিৎসার কারণে পাঁচ দিন কাটালাম পিজিতে। দেখলাম, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় অনেক বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। বেড়েছে বসবার বা বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা। তবুও ঠাঁই-নাই অবস্থা। গ্রাম থেকে জেলা স্তরে চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও উন্নত ও বিশ্বাসযোগ্য না হলে কলকাতার সরকারি হাসপাতালের ঢল রোখা সম্ভব নয়। চেষ্টা যে চলছে না তা নয়, তবে আরও ডাক্তার ও প্যারামেডিক্যাল স্টাফ প্রয়োজন। পিজি বা সরকারি হাসপাতালে সবার চিকিৎসা বিনামূল্যে না করে, গরিব বাদ দিয়ে সক্ষম পরিবারের রোগীদের কাছ থেকে একটি ন্যূনতম ফি নেওয়া হলে এবং সেই টাকা হাসপাতাল পরিকাঠামো বৃদ্ধিতে কাজে লাগানো হলে, ভাল হবে মনে হয়।

সুদর্শন নন্দী

রাঙামাটি, মেদিনীপুর শহর

হঠাৎ বাতিল

এক দিন আগে দুর্গাপুর যাওয়ার জন্য শিয়ালদহ আসানসোল ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে টিকিট কাটার পর, নির্ধারিত দিনে (২২ ফেব্রুয়ারি) ট্রেন ছাড়ার আধ ঘণ্টা আগে ব্যারাকপুর স্টেশনে পৌঁছে শোনা গেল, ট্রেনটির যাত্রাপথ পরিবর্তন করা হয়েছে এবং নির্ধারিত রুট ব্যারাকপুর-নৈহাটি না হয়ে ট্রেনটি দক্ষিণেশ্বর-ডানকুনি হয়ে যাবে। খুব ভাল কথা! এ বার আমরা কোথায় যাই? আগে থেকে কিছু জানানো নয়, অনলাইনে টিকিট কাটা সত্ত্বেও কোনও মেসেজ পাঠানো নয়, হঠাৎই বলে দেওয়া হল রুট বদলের কথা। এখানেই শেষ নয়, টিকিট রিফান্ড হল অর্ধেকের বেশি পয়সা কেটে। খুব সুন্দর ব্যবস্থা!

অশোক চক্রবর্তী

কলকাতা-১১৪

ইছামতী

‘পড়শি দেশের অংশে ইছামতী সংস্কারের দাবি’ (২৩-২) প্রতিবেদনের জন্য ধন্যবাদ। আমরা যাঁরা নিজেদের ইছামতীর সন্তান বলে মনে করি, দীর্ঘ দিন ধরে নদী সংস্কারের দাবি করে আসছি। উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়ার বিভিন্ন ক্লাব সংগঠন সভা পদযাত্রা স্মারকলিপি প্রদান ইত্যাদির মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের দরজায় কড়া নেড়ে চলেছেন। কিছু কাজ যে হয়েছে তা প্রতিবেদনে উল্লিখিত হয়েছে। কিন্তু যে কাজটা বেশি জরুরি তা আজও করে ওঠা গেল না— উৎসমুখের সংস্কার।

গত বছর আমরা কয়েক জন পাবাখালিতে উৎসমুখ পরিদর্শনে যাই। মাথাভাঙা যে অংশ থেকে চুর্ণি ও ইছামতীতে ভাগ হল, সেখান থেকে আনুমানিক ১০০ মিটার দূরে দাঁড়িয়ে আছে রেলব্রিজ। এই অংশ থেকে ব্রিজ পর্যন্ত জমিটা ধাপে ধাপে উঁচু হয়ে গিয়েছে এবং ব্রিজের নীচে এটা কম করে ১০-১২ ফুট উঁচু। এই পাহাড়প্রমাণ উচ্চতা ঠেলে মাথাভাঙার এক ফোঁটা জলও ইছামতীতে আসতে পারে না। একমাত্র ভরা বর্ষার পরে সেটা সম্ভব হতে পারে।

শুনেছি ব্রিজের নীচে সংস্কারে রেল কর্তৃপক্ষের নাকি আপত্তি আছে। তবে যে সময়ে দাঁড়িয়ে নদীর নীচ দিয়ে আস্ত ট্রেন চালিয়ে নিয়ে যেতে পারি, সেখানে ব্রিজের নীচে সংস্কার কখনই বড় বাধা হওয়ার কথা নয়। উৎসমুখ থেকে ফতেপুর পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার অংশে সংস্কারের কাজ সবার আগে শুরু করা জরুরি। পাশাপাশি আমাদের সরকার কথা বলুক পড়শি দেশের সঙ্গে।

শুভঙ্কর সাহা

সিন্দ্রানী, উত্তর ২৪ পরগনা

রাস্তা খারাপ

গড়িয়া মেন রোডের হিন্দুস্থান মোড় থেকে গড়িয়া স্টেশন রোডে যাওয়ার রাস্তা ফরতাবাদ পর্যন্ত রাস্তার মেরামতির খুব দরকার। গুরুত্বপূর্ণ সংযোগকারী রাস্তা গড়িয়া গার্ডেনে প্রায় বছরখানেক আগে জলের পাইপ বসানো হয়েছে। কিন্তু সেই রাস্তা এখনও মেরামত না করায় রাজপুর-সোনারপুর মিউনিসিপ্যালিটির এই অঞ্চলের জনগণের অশেষ দুর্ভোগ।

নির্মল মৌলিক

কলকাতা-৮৪

রাস্তা মেরামত

মুর্শিদাবাদ জেলার হরিহরপাড়া থানার অন্তর্গত রাজনগর, গোবিন্দপুর, গুরুদাসপুর, বিহারিয়া এবং নওদা থানার অন্তর্গত আলমপুর, আলিনগর, বুন্দাইনগর প্রভৃতি গ্রামের মানুষের কাছে বেলডাঙা-রাধানগরঘাট রাজ্য সড়ক সংযোগকারী একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে সব্দরনগর-আলমপুর রাস্তাটি। এটি ১৯৮১ সালে তৎকালীন বিধায়কের উদ্যোগে পশ্চিমবঙ্গ কৃষি দফতরের আর্থিক সহায়তায় পাকা রাস্তায় উন্নীত হয়েছিল, দীর্ঘ প্রায় ২৫-৩০ বছর পর আবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি বিপণন দফতরের আর্থিক সহায়তায় সংস্কার করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় গ্রামের সঙ্গে শহর, বাজারের সংযোগকারী রাস্তাগুলো পাকা রাস্তায় পরিণত হয়েছে, কিন্তু এই রাস্তাটির অবস্থা খুবই খারাপ। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা পিচ রাস্তার উপর প্রযোজ্য নয় এবং এই কারণে এই একদা পিচ রাস্তাটি এই যোজনায় করা যাবে না, কিন্তু গ্রামগুলির বাসিন্দাদের কাছে এই রাস্তাটির গুরুত্ব অপরিসীম।

কৈলাস পতি মণ্ডল

সব্দরনগর, মুর্শিদাবাদ

সেতু ভাঙা

দামোদর নদীর একটি শাখা, কানা দামোদর নামে পরিচিত। পোশাকি নাম কৌশিকী। নদীটির উপর রামপুর ও শঙ্করহাটি গ্রামের সংযোগকারী একটি সেতু আছে। গ্রামবাসীরা ট্রেন ও বাস ধরার জন্য, বাজার যাওয়ার জন্য সেতুটি ব্যবহার করেন। কিন্তু দীর্ঘ দিন সেতুর দু’পাশের রেলিং ভাঙা অবস্থায় আছে। প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটে।

নন্দিতা তমসা হালদার

পাঁতিহাল, হাওড়া

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ইমেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Narendra Modi Cleaner Dalit Kumbh Mela
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE