Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Ponds

সম্পাদক সমীপেষু: জলাশয় ভরাট

জয়নগর মজিলপুর পুরসভার অর্ন্তগত ১১ নম্বর ওয়ার্ডে শ্মশানের কাছে চৌধুরীদের বাগান ছিল। আর বাগানের মধ্যে ছিল প্রায় ছ’বিঘার একটা জলাশয়।

শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২২ ০৪:৫২
Share: Save:

জয়নগর মজিলপুর পুরসভার অর্ন্তগত ১১ নম্বর ওয়ার্ডে শ্মশানের কাছে চৌধুরীদের বাগান ছিল। আর বাগানের মধ্যে ছিল প্রায় ছ’বিঘার একটা জলাশয়। বেশ কিছু দিন আগে জায়গাটার মালিকানা বদল হয়। গত এক সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের নাকের ডগায় ওই বৃহৎ জলাশয়টি ভরাট করে দেওয়া হয়েছে মাটি দিয়ে। স্থানীয় মানুষের কাছ থেকে আপত্তির প্রবল সম্ভাবনা থাকায় দিনের বেলায় এই ভরাটের কাজ করা হয়নি। যাঁরা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা এখন বলছেন যে, ভূমিরাজস্ব ও অন্যান্য দফতরের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি পাওয়ার পরই এই জলাশয় ভরাট করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে একাধিক বার প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য জলাশয় বোজানোর বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেছেন এবং এই ধরনের কাজের জন্য প্রশাসনকে সতর্ক করে প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন, সেখানে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলি এমন অনুমতি দেয় কী করে? আশা করব, প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগ এই বিষয়ে অবিলম্বে পদক্ষেপ করবে।

বিশ্বম্ভর চট্টোপাধ্যায়
জয়নগর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা

বাস পরিষেবা
হাবড়া থেকে নৈহাটি যাওয়ার বাসরুট হল অশোকনগর, ঈশ্বরীগাছা, আওয়ালসিদ্ধি, আদহাটা, দারিয়াপুর, সাহেব কলোনি হয়ে। এই বাসরাস্তা তৈরি হয়েছিল প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে। মূল রাস্তাটি নির্মিত হয় তারও আগে। এই রাস্তায় বহু বাস চলাচল করে। কিন্তু পাশাপাশি আর একটি রাস্তা, যা হাবড়া-নুরপুর-রাজবেরিয়া-মরিচা হয়ে নৈহাটি যায়, সেটি প্রায় চল্লিশ বছর আগে তৈরি হলেও সেখানে এখনও পর্যন্ত কোনও বাস চলাচল করে না।

হাবড়া থেকে হাসনাবাদ-ব্যান্ডেল পর্যন্ত একটি বাসরুট আছে, যা করোনাকালীন সময় থেকেই অনিয়মিত হয়ে গিয়েছে। সারা দিনে মাত্র দু’-একটি বাস চলে। অবশ্য ওই বাস রাজবেরিয়া থেকে নৈহাটি যায় না। সেটি নদিয়া জেলায় প্রবেশ করে বড়জাগুলি, কল্যাণী অভিমুখে যায়। মূল সমস্যা হল, হাবড়া থেকে রাজবেরিয়া হয়ে নৈহাটি যাওয়া। রাজবেরিয়া থেকে প্রায় চোদ্দো কিলোমিটার দীর্ঘ এই রাস্তায় বহু লোকের বসবাস। রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রাথমিক, উচ্চ বিদ্যালয় ও অঙ্গনওয়ারি স্কুল। সরকারি দফতরে যাঁরা এখানে কাজকর্ম করেন, তাঁরাও সে রকম যানবাহন না পেয়ে যথেষ্ট অসুবিধার মধ্যে পড়েন। কয়েকটি মাত্র টোটো রয়েছে। কাছাকাছি গ্রাম যেমন— মদনপুর, মরিচা, মাঝিপাড়া, সাঁওড়াগাছি প্রভৃতির অভ্যন্তরে রাস্তাঘাটের হাল খুব খারাপ। এ সব জায়গায় সরকারি হাসপাতালের সুবিধা পেতে গাদামারাহাট, বড়জাগুলি, কাঁচরাপাড়া যেতে হয়, যা বেশ কিছুটা দূরে। স্কুল-কলেজে যাতায়াতও কষ্টসাধ্য। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন, হাবড়া-কচুয়া-সেনডাঙা-নুরপুর-রাজবেরিয়া-মরিচা-নৈহাটি রুটে অবিলম্বে বাস চলাচলের ব্যবস্থা করা হোক।

বাসুদেব সেন
বাণীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা

রেলে ছাড়
‘ছাড় ফিরুক রেলে’ (সম্পাদক সমীপেষু, ১৪-৪) শীর্ষক চিঠির লেখকের অভিমতের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত পোষণ করি। সরকারের মতে, প্রবীণ নাগরিকদের এই ছাড় তুলে দেওয়ার কারণ অতিমারি কালে রেল-শুল্ক বাবদ আয় হ্রাস। সেই একই কারণ প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। অবসর জীবনে আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা আর কোথায়? সেখানে এই ছাড় তাঁদের অনেকটাই সহায়ক হয় অল্পবিস্তর রেল ভ্ৰমণ করার ক্ষেত্রে। আশা করি, মাননীয় রেলমন্ত্রী প্রবীণ নাগরিকদের কথাটি সহানুভূতির সঙ্গে ভাববেন।

শান্তনু সেনগুপ্ত
কলকাতা-৮৪

বেশি ভাড়া
গত ১২ এপ্রিল আমার ছেলে বেঙ্গালুরু থেকে বিমানে চেপে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছয় রাত সাড়ে আটটা নাগাদ। তার পর বাড়ি ফেরার ক্যাব বুক করতে গেলে ভাড়া দেখায় ৩০০-৪০০ টাকা! অথচ, এয়ার পোর্ট থেকে আমাদের বাড়ির দূরত্ব দু’কিলোমিটার মাত্র। কয়েক দিন আগেও বাড়ি থেকে এয়ার পোর্ট যেতে ১২০-১৩০ টাকা আর এয়ার পোর্ট থেকে বাড়ি ফিরতে ২০০ টাকার মধ্যে ভাড়া ছিল। সে দিন এয়ার পোর্ট থেকে ক্যাব বুক করার সময় ‘অত্যধিক চাহিদার জন্য স্বাভাবিকের তুলনায় ভাড়া বেশি’— এমন কারণ দেখিয়ে বেশি ভাড়া দাবি করা হয়।
প্রশ্ন হচ্ছে, যখন চাহিদা বেশি থাকে, তখন তো ক্যাবগুলোর আয়ও বেশি হয়। তবে বেশি ভাড়ার দাবি কেন? বেশ অনেক দিন থেকেই রাজ্য সরকারের পরিবহণ দফতরে অ্যাপ ক্যাব বিষয়ে বিভিন্ন স্তর থেকে অজস্র অভিযোগ জানানো হলেও সরকারি তরফে এখনও ব্যবস্থা করার বিষয়ে তেমন কোনও আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। তবে কি রাজ্য সরকারের থেকে সবুজ সঙ্কেত পেয়েই এই অ্যাপ ক্যাবগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করে রমরমিয়ে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে? জনস্বার্থেই এই বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার অনুরোধ জানাই সরকারকে।

উজ্জ্বল গুপ্ত
কলকাতা-১৫৭

আবাসনের জঙ্গল
পশ্চিম মেদিনীপুর কালেক্টরেটের অধীন ‘বার্জটাউন ক্রীড়া-সাংস্কৃতিক উন্নয়ন সমিতি’-র পার্কটি শহরবাসীর গর্ব। চার দিকে মনোরম পাঁচিল-ঘেরা পরিবেশ। ভিতরে বসার বেঞ্চ ও সুসজ্জিত একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান-মঞ্চ পার্কটির সৌন্দর্য বাড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা তো বটেই,অন্য জেলা থেকে আসা লোকেদের কাছেও পার্কটির গুরুত্ব অপরিসীম। এঁদের অনেকেই এই পার্কে সকালে ও সন্ধ্যায় ভ্রমণে অভ্যস্ত। কিন্তু, চার পাশে নিত্যনতুন গজিয়ে ওঠা বহুতল ও আবাসনের কারণে হারিয়ে যাচ্ছে ‘বার্জটাউন’-এর ঐতিহাসিক গুরুত্বটি। তাই, বাড়ি তৈরির ছাড়পত্র দেওয়ার আগে পুর কর্তৃপক্ষ ও ‘মেদিনীপুর খড়্গপুর ডেভলপমেন্ট অথরিটি’-কে বিষয়টি নিয়ে ভেবে দেখার অনুরোধ জানাই।

তা ছাড়া, সবুজায়নের স্বার্থে পার্কের চার ধারে আরও গাছ লাগানো দরকার। পার্কের ভিতর একটি শৌচালয়, পানীয় জল এবং রাত্রিকালীন যথাযথ আলোর ব্যবস্থার পাশাপাশি অনুপ্রবেশ ও যথেচ্ছ ভাবে পার্ক ব্যবহার বন্ধ করতে সেখানে ঢোকার সময়সূচি প্রকাশ্যে টাঙিয়ে দেওয়া দরকার।

অমরেশ পাল
খড়্গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর

নির্মাণ যন্ত্রণা
গত এক মাস যাবৎ সিসি-২০ ব্লকে নির্মাণকাজ চলছে। এর কারণে শব্দ ও বায়ুদূষণ— দুই-ই প্রবল হচ্ছে এই এলাকায়। আমাদের মতো বৃদ্ধ-বৃদ্ধা এবং ছাত্রছাত্রীরা খুব কষ্টে আছে। নিউটাউন কলকাতা ডেভলপমেন্ট অথরিটি-র কাছে অনেক বার নালিশ জানিয়েও এর কোনও সুরাহা হয়নি। প্রশাসনের কাছে তাই বিনীত আবেদন জানাচ্ছি, এ বিষয়ে তাড়াতাড়ি উপযুক্ত ব্যবস্থা করা হোক, যাতে এখানকার আবাসিকরা শান্তিতে বসবাস করতে পারেন।

বিনয় কুমার বসু
ইমেল মারফত

নজরদারি চাই
রাজ্য সরকারের পরিবহণ দফতর যানবাহন চলাচলে গতি নিয়ন্ত্রণ ও দুর্ঘটনা রোধ করতে বিভিন্ন জরিমানা চালু করেছে। শহরের মধ্যে কিছুটা নিয়ম মেনে চললেও অন্য জায়গায় বাসগুলো কোনও নিয়ম মানে না। কখনও যাত্রী পাওয়ার আশায় দীর্ঘ সময় বাসস্টপে দাঁড়িয়ে থাকে, আবার কখনও রাস্তায় দু’-তিনটে বাস বিপজ্জনক ভাবে প্রতিযোগিতা করে। শহরের বাইরেও গতি নিয়ন্ত্রণ করতে সাদা পোশাকের পুলিশ দিয়ে নজরদারি করা হোক।

অতীশ মণ্ডল
ডায়মন্ড হারবার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Ponds Illegal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE