Advertisement
E-Paper

সম্পাদক সমীপেষু: লঙ্কা ও রাবণ

যদি লঙ্কেশ্বরের রাজসিংহাসনের কথাও ধরা হয়, তা হলেও কিন্তু বলা যায়; রাবণের মৃত্যুর পর রাম বিভীষণকে লঙ্কায় রাজা করেছিলেন।

শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০০:০০

‘রাবণতর’ (১৬-২) শীর্ষক সম্পাদকীয় অনুযায়ী ‘বহু দিনের পুরাতন এক প্রবচন রহিয়াছে, যে যায় লঙ্কায় সে-ই হয় রাবণ।’ জানতে চাই, প্রবচনটির উৎস কী? আমার প্রশ্ন প্রবচনটির যৌক্তিকতা নিয়েও। লঙ্কায় রাম, লক্ষ্মণ অনেকেই গিয়েছিলেন। তাঁরা কেউ চেহারা বা প্রকৃতিতে রাবণ হননি। যদি লঙ্কেশ্বরের রাজসিংহাসনের কথাও ধরা হয়, তা হলেও কিন্তু বলা যায়; রাবণের মৃত্যুর পর রাম বিভীষণকে লঙ্কায় রাজা করেছিলেন। ন্যায়পরায়ণ বিভীষণও সম্ভবত রাবণের মতো কোনও দুরাচার করেননি, উদ্ধত হয়ে যাননি। দূরদর্শী শ্রীরামচন্দ্র নিশ্চয়ই তাকে লঙ্কার রাজা করতেন না।

সামিম আখতার বানু রায়গঞ্জ, উত্তর দিনাজপুর

নরক হয়ে আছে

পড়লাম ‘সৌন্দর্যায়নের সঙ্গে মিলছে না গণ শৌচালয়ের হাল’ (২৯-১)। সত্যি, এক বার দেখে যান ডানলপ ব্রিজ থেকে দক্ষিণেশ্বর— চারিদিকের কী করুণ অবস্থা। হাজার হাজার লরি পার্কিং করা আছে। তাদের খালাসি এবং ড্রাইভাররা খোলা আকাশের নীচে, রাস্তার ধারে, মাঠে প্রাকৃতিক কর্ম সারছে। চারিদিক অসম্ভব নোংরা, পূতিগন্ধময়। রাজাবাগান বস্তির সামনে নরক। ডানলপ ব্রিজের মোড়ে খোলা শৌচালয়, ভাঙা, ভীষণ নোংরা। বিনা পয়সার ইউরিনাল তো। যে-দিন তৈরি হয়েছে, তার পর আর পরিষ্কার হয়নি। ডানলপ মোড়ে কয়েকশো টন ধুলো, প্লাস্টিক এ-দিক ও-দিক ছড়িয়ে আছে। সত্যি বলতে কী, ডানলপ থেকে দক্ষিণেশ্বর রাস্তার দু’ধারে পুরোটাই ধুলোর পাহাড়, পুরোটাই প্রস্রাবের স্থান। অথচ কাছেই তীর্থস্থান। এ ছাড়া হোমিয়ো হসপিটাল, মহামিলন মঠ মন্দির, স্যাম্পেল সার্ভে অফিস, বৈদিক বিদ্যালয়, ডিপিএস স্কুল।

শচীন দাস বরানগর

ট্র্যাক্টরে বালি

মেদিনীপুর শহরে সকাল ৯টার পর থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মালবাহী ট্রাক চলাচল নিষিদ্ধ বলেই জানি। কিন্তু উদ্বেগের বিষয়, সারা দিন ট্র্যাক্টরের ট্রেলারে চলছে বালির কারবার। আইনের ফাঁক দিয়ে ট্রেলার গোটা শহর বালি বহন করে চলছে। ট্র্যাক্টরের ট্রেলারের পিছনের দিকে নজর দেওয়ার মতো ড্রাইভারের লুকিং গ্লাসের কোনও বন্দোবস্ত নেই, যার ফলে পথচারী বা মোটর সাইকেল বা সাইকেল আরোহীদের খুব অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। অন্তত বিদ্যালয় যাতায়াতের সময় এই যান নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।

অনিলবরণ রায় নজরগঞ্জ, মেদিনীপুর

রাস্তা দখল

দখল হয়ে গেল যাদবপুর স্টেশন রোডের তিন রাস্তার সংযোগস্থল। সরকারি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার ৩/৪ অংশ দখল করে, বিশেষ রাজনৈতিক দলের মদতে পুষ্ট কিছু ব্যক্তি ফাইবার শিট দিয়ে পাকাপোক্ত দোকান করে ফেলল। কাউন্সিলর, এমএলএ, নগরোন্নয়ন দফতর, কর্পোরেশন, পুলিশ প্রভৃতি যাঁরা নাগরিক পরিষেবা দেওয়ার জন্য দায়বদ্ধ, তাঁরা বিশেষ কারণে আজ অন্ধ। কিছু দিন আগেও ওই তেমাথায় ৯ নম্বর ডাবল ডেকার বাস ঘুরিয়ে ওখান থেকে যাত্রী পরিষেবা দেওয়া হত। এখন ছোট গাড়ি ঘোরাবারও জায়গা নেই, পুরোটাই দখল।

সব্যসাচী বারিক ঝিল রোড, যাদবপুর

টিকিটে পক্ষপাত

আমি হলদিয়া সরকারি মহাবিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। ট্রেনে কলেজ যাই। ‘স্টুডেন্ট কনসেশন’-এ মান্থলি কাটার সময় জানতে পারি, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত ছাত্র ও ছাত্রী সমান ছাড় পেলেও, স্নাতক স্তরে ছাত্রদের ৫০% ছাড় ও ছাত্রীদের ১০০% ছাড়। আমাদের দেশে নাকি নারী ও পুরুষের সমান অধিকার। তবে এমন পক্ষপাতমূলক ব্যবস্থা কেন? এ কি লিঙ্গবৈষম্য নয়?

সুবর্ণ সামন্ত তমলুক, পূর্ব মেদিনীপুর

অণ্ডাল-সাঁইথিয়া

অণ্ডাল-সাঁইথিয়া রেল লাইন, দেশের উত্তর-পূর্ব অংশের সঙ্গে দক্ষিণ ভারত ও দক্ষিণ-পূর্ব ভারতের যোগাযোগের একটি সহজ রুট। অনেকগুলো ট্রেন আসানসোল-দুর্গাপুর-অণ্ডাল-সিউড়ি-রামপুরহাট হয়ে উত্তরবঙ্গে তথা উত্তর-পূর্ব ভারতে চলে যায়। যাত্রী ও রেলের এতে সাশ্রয় ও সুবিধা হয়েছে, কিন্তু এই রেল লাইনের দু’পাশের মানুষদের কি সুবিধা হয়েছে ততখানি? সারা দিনে তিনখানি অণ্ডাল-সাঁইথিয়া, ও একখানি অণ্ডাল-রামপুরহাট লোকাল ট্রেন চলে মাত্র। এখন বোলপুর-রামপুরহাট লাইনে এক্সপ্রেস ও লোকাল মিলে অনেক ট্রেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বোলপুর-রামপুরহাট লাইনের প্রভূত উন্নতি করেছেন, পরবর্তী কালেও বীরভূমের রেল উন্নতি বলতে ওই একটি লাইনের উপর হয়েছে। কিন্তু আরও একটি প্রাচীন রেল লাইন (অণ্ডাল-সাঁইথিয়া) আছে তা বোধহয় সবাই ভুলে গেছেন, মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য রেলমন্ত্রী থাকাকালীন হুল এক্সপ্রেস ট্রেনটি দিয়েছিলেন, কিন্তু তার পর থেকে কারও কোনও নজর পড়েনি এই লাইনটির উপর। শুধু কয়েকটি এক্সপ্রেস ট্রেনের সিউড়িতে স্টপেজ দেওয়া ছাড়া। এখন এ লাইনটি শুধুমাত্র একটি করিডর। এ অঞ্চলের মানুষদের অনেকগুলো দাবি আছে দীর্ঘ দিনের। যেমন, ১) অণ্ডাল-সাঁইথিয়া ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো, ২) অণ্ডাল-আজিমগঞ্জ ট্রেন আবার চালু করা (আগে চলত), ৩) সাঁইথিয়া-সিউড়ি-অণ্ডাল-বর্ধমান ট্রেন চালু করা, ৪) সাঁইথিয়া-সিউড়ি-অণ্ডাল-আসানসোল ট্রেন চালু করা, ৫) ময়ূরাক্ষীর আগে সকালে সাঁইথিয়া বা সিউড়ি থেকে হাওড়া একটি ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালু করা, যাতে হাওড়া পৌঁছনো যায় সকাল ১০টার মধ্যে।

হেমন্ত গরাই দুবরাজপুর, বীরভূম

জাতীয় ব্যাংক

হাওড়া জেলার ১৭৭ উলুবেড়িয়া উত্তর বিধানসভার অন্তর্গত ফতেপুর (থানা, আমতা) এবং তুলসীবেড়িয়া (থানা, উলুবেড়িয়া) এলাকায় কোন ন্যাশনাল ব্যাংক নেই। ফলে এই এলাকার লোকজনকে ব্যাংকের কাজে ৮-১০ কিমি দূরে আমতা, বাগনান বা কুলগাছিয়ায় যেতে হয়।

নির্মাল্য রায় আমতা, হাওড়া

টাওয়ার বিকল

মুর্শিদাবাদ কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (এম সি ই টি), বহরমপুরে অবস্থিত বিএসএনএল-এর টাওয়ারটি গত ডিসেম্বর ২০১৭ থেকে বিকল হয়ে আছে। এর ফলে ইন্টারনেট তো দূর অস্ত, ফোন করাই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বহু অভিযোগের পরেও সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি।

পরিতোষ চট্টোপাধ্যায় কেশবনগর, মুর্শিদাবাদ

গাছ বিপন্ন

বেশ কয়েক দিন থেকে দেখছি কলকাতা সিআইটি রোডে ডিভাইডার ঢালাই-এর কাজ চলছে। এখানে ডিভাইডারে অনেক গাছ আছে। দেখা যাচ্ছে, গাছের গোড়াগুলো পর্যন্ত ঢালাই করে দেওয়া হচ্ছে। কিছুটা ঢালাই করে, তার ওপর আবার গাছ লাগানোর জন্য জায়গা রাখা হচ্ছে। কিন্তু এখন যে গাছগুলো আছে, সেগুলোর গোড়া ওই ভাবে ঢালাই করা হচ্ছে কেন? যদি গাছগুলো কেটে ফেলা হয়, তা হলে ঢালাইয়ের আগেই তো কাটা উচিত ছিল। আর যদি না কাটা হয়, তা হলে ঢালাই করার সময় গোড়ার চার পাশে কিছুটা জায়গা ফাঁকা রাখা যেত না? গাছগুলোকে কি ঢালাই ফাটিয়ে বড় হতে হবে? না কি ঠিকাদার বা পুরসভা, এদের কারও এই সব ভাবার দরকার নেই?

উত্তমকুমার দে মাজিদা, পূর্ব বর্ধমান

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ই-মেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়

Rationality adage Ravana
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy