Advertisement
E-Paper

সম্পাদক সমীপেষু: রাসবিহারীর সমাধি

জাপানের বিখ্যাত ঐতিহাসিক ব্যক্তিদের সমাধিক্ষেত্র এটি, ১ লক্ষ ২৮০ হাজার ২৩৭ স্কোয়ার মিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। রাসবিহারী বসুর নাম বলতেই, গাইড গাছগাছালির মধ্যে অবস্থিত নিস্তব্ধ নির্জন এক সমাধির সামনে এনে আমাদের উপস্থিত করলেন।

শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৯ ০০:০১

রাসবিহারী বসুকে কে না শ্রদ্ধা করে? আনন্দবাজার পত্রিকায় তাঁর সম্পর্কে প্রবন্ধ ও চিঠিগুলি পড়ে তাঁর সম্পর্কে আরও অনেক কিছু জানতে পেরেছি। তিনি যে জাপানে গিয়ে ওখানকার মহিলাকে বিয়ে করে আমৃত্যু ওখানে কাটান, আগে জানতাম না। গত এপ্রিলেই জাপান যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। টোকিয়ো পৌঁছে, পরের দিনই, গাইড-সহ আমরা রাজধানী থেকে কিছুটা দূরে ‘টামা’ সমাধিক্ষেত্র দেখতে যাই। জাপানের বিখ্যাত ঐতিহাসিক ব্যক্তিদের সমাধিক্ষেত্র এটি, ১ লক্ষ ২৮০ হাজার ২৩৭ স্কোয়ার মিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। রাসবিহারী বসুর নাম বলতেই, গাইড গাছগাছালির মধ্যে অবস্থিত নিস্তব্ধ নির্জন এক সমাধির সামনে এনে আমাদের উপস্থিত করলেন। দু’পাশে রঙিন বিচিত্র ফুলগাছের মধ্যে ওই স্মৃতিসৌধটি দেখে আমাদের মনে বিচিত্র এক অনুভূতির সৃষ্টি হল। সামনে এগিয়ে গিয়ে লক্ষ করলাম, সমাধিক্ষেত্রের পাথরের গায়ে ‘বসু’ শব্দটি বাংলা অক্ষরে খোদাই করা রয়েছে। আমি দু’হাত জোড় করে দাঁড়িয়ে ছিলাম।

বীথিকা চক্রবর্তী

কলকাতা-৭৪

জল দাঁড়াচ্ছে

কিছু দিন হল বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে সৌন্দর্যায়নের কাজ হয়েছে। কিন্তু এক পশলা বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জল দাড়িয়ে যাচ্ছে। আগে এটা হত না। সম্ভবত ড্রেনগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছে রাস্তার কাজের সময়।

সমীর বরণ সাহা

কলকাতা-৮১

চাষিরা অসহায়

ভবানীপুর মৌজার অন্তর্ভুক্ত নন্দকুমার মহাবিদ্যালয় ও কল্যাণচক পঞ্চমী স্মৃতিকন্যা বিদ্যাপীঠ সংলগ্ন প্রায় ২০০ বিঘা কৃষিজমিতে হাঁটু সমান জল। আগে উক্ত ক্ষেত্রের জল বেরিয়ে যাওয়ার জন্য প্রায় ৭০০ মিটার দীর্ঘ একটি নিকাশি খাল ছিল।

চাষিরা আমন ও বোরো ধান চাষ করে নিজ নিজ জীবন ও জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। এখন ১১৬বি রাস্তা সম্প্রসারণের সময় ওই খাল ভরাট করে (চাষিদের শত বাধা অগ্রাহ্য করে) ওর উপরে একটি অগভীর কংক্রিটের ড্রেন করা হয়েছে। ফলে ওই কৃষিক্ষেত্রের জল আবদ্ধ থাকার কারণে, পাকা আমন ধান ঘরে তোলা যায়নি। চোখের সামনে মাঠের ধান মাঠেই নষ্ট হয়েছে। পরে বোরো চাষও সম্ভব হয়নি। রাস্তা সম্প্রসারণ হোক চাষিরাও চান, কিন্তু তাঁদের বক্তব্য, একেবারে শেষ প্রান্তে থাকায় নিকাশি নলাটি বাঁচিয়েও তো কাজটি করা যেত।

সুকুমার মাইতি

ভবানীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর

জলকষ্ট

আমার বয়স প্রায় ৮০ বৎসর। বিগত ৩৫ বছর ধরে আমি কলকাতা কর্পোরেশনের ওয়ার্ড নং-১২৭’এর অন্তর্গত সরসুনা স্যাটেলাইট টাউনশিপে থাকি। কিছু দিন ধরে আমাদের এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ অত্যন্ত কম। অবস্থা এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে যে বাড়ির জামাকাপড় ধোয়ার জন্য আমার প্রবীণা স্ত্রীকে কিছু দূরের প্রতিবেশীর বাড়িতে যেতে হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, আমাদের পানীয় জল বাজার থেকে কিনে খেতে হচ্ছে। বাথরুমের প্রয়োজনের জন্য আমাকে এই বয়সেও দূরের টিউবয়েল থেকে বালতি করে জল বয়ে আনতে হচ্ছে। অথচ আশ্চর্যের কথা হল, আমাদের টাউনশিপের অন্য কিছু এলাকায় কিন্তু জল সরবরাহের তেমন কোনও সমস্যাই নেই। এর সোজা অর্থ হল সামগ্রিক ভাবে জলের অপ্রতুলতা নেই, যেটা আছে বা হয়েছে সেটা হল সরবরাহের কোনও টেকনিকাল সমস্যা এবং এই সমস্যা শুধুমাত্র এক বা একাধিক ছোট ছোট এলাকায় কেন্দ্রীভূত।

আশিস কুমার দাস

কলকাতা-৬১

জংশন এলাকা

২৫ জুন ২০১৪ আলিপুরদুয়ার পশ্চিমবঙ্গের মানচিত্রে সগর্বে স্থান পায় আলিপুরদুয়ার জেলা রূপে। এর পরে আলিপুরদুয়ার শহরে তৈরি হয় ডুয়ার্সকন্যা, আলিপুরদুয়ারের রাস্তায় লাগানো হয় পথবাতি, মহকুমা হাসপাতাল রূপান্তরিত হয় জেলা হাসপাতালে, এ ছাড়াও আরও অনেক উন্নতি হয়। কিন্তু জেলা হওয়ার আগে থেকে এখন পর্যন্ত সর্বদাই বঞ্চিত রয়ে গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার শহরের মধ্যে অবস্থিত আলিপুরদুয়ার জংশন এলাকাটি। জংশন এলাকার বেশির ভাগ রাস্তার অবস্থা খুবই করুণ, অধিকাংশ রাস্তায় নেই কোনও পথবাতি, নেই কোনও ডাম্পিং গ্রাউন্ড। যে কোনও জায়গায় রাস্তার পাশে পড়ে থাকে আবর্জনার স্তূপ।

সায়ন কুমার দাস

আলিপুরদুয়ার জংশন

বিশ্রী রাস্তা

উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকার গাইঘাটা থানার সুটিয়া পঞ্চায়েতের অন্তর্গত একটি গ্রাম বেড়ি পাঁচপোতা। পাঁচপোতা বাজারের চৌমাথার কাছে, গোবরডাঙা ও বঁনগা রোডের সংযোগস্থল থেকে একটি রাস্তা ভারাডাঙা ও কেউটালি গ্রামের ভিতর দিয়ে গিয়ে স্বরূপনগর থানার অন্তর্গত চারঘাট বাজারে উঠেছে। রাস্তাটি এলাকার মানুষের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভারাডাঙা ও কেউটালি গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা পাঁচপোতা বাজারে আসার জন্য একমাত্র এই রাস্তার উপর নির্ভরশীল। রাস্তাটি এক সময় পিচের থাকলেও বেশ কয়েক বছর ধরে পিচ উঠে গিয়ে, পিচ ও ইটের সংমিশ্রণে এক বীভৎস রূপ ধারণ করেছে। বেশ কয়েক জায়গাতে ইট উঠে গিয়ে ছোট ছোট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই গর্তগুলিতে জল জমে একটা ছোটখাটো ডোবার চেহারা নেয়। এই রাস্তা দিয়ে পাঁচপোতা থেকে চারঘাট হয়ে মছলন্দপুর পর্যন্ত অটো-চলাচল করে। খারাপ রাস্তার কারণে প্রতিনিয়ত গাড়িগুলিকে যান্ত্রিক ক্ষতির সন্মুখীন হতে হয়।

জ্যোতি প্রকাশ ঘোষ

বেড়ি পাঁচপোতা, উত্তর ২৪ পরগনা

বিদ্যুৎ বিভ্রাট

নদিয়া জেলার ধানতলা থানার অন্তর্গত একটি গ্রাম শঙ্করপুর চড়কতলা, কয়েক বছর ধরে ভীষণ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শিকার। অত্যন্ত নিম্ন মানের পরিষেবা। কোনও অভিযোগ জানালে তার প্রতিকার করতে কখনও কখনও দুই থেকে তিন দিন লাগিয়ে দেওয়া হয়। সবচেয়ে বড় কথা, মাসে ১৫ থেকে ২০ বার খারাপ হয়ে যায়। স্থানীয় আড়ংঘাটা বিদ্যুৎ দফতরের অফিসে বার বার অভিযোগ জানাতে গেলে জোটে দুর্ব্যবহার, কিন্তু কোনও সুরাহা হয় না। মাসের পর মাস গুনতে হয় মোটা অঙ্কের বিদ্যুৎ বিল।

পূর্ণেন্দু চক্রবর্তী

ধানতলা, নদিয়া

জলের কল

সবং থানার বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে আজ থেকে বছর সাতেক আগে ‘সজল ধারা’ প্রকল্পের সূচনা হয়। ট্যাপ, ট্যাঙ্ক নির্মাণ ও অন্যান্য কাজ সম্পন্ন হয়েছে প্রায় পাঁচ বছর কিন্তু আজও চালু হয়নি জলের ট্যাপ।

শুভ দাস অধিকারী

সবং, পশ্চিম মেদিনীপুর

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ইমেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।

ভ্রম সংশোধন

‘বঙ্গে ধনকুবের সাংসদের সংখ্যা বেড়ে ৩১’ শীর্ষক সংবাদ প্রতিবেদনে (মোদীতন্ত্র, পৃ ৬, ২৭-৫) সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজু বিস্তা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্ষিক আয়ের বদলে সম্পদের পরিমাণ প্রকাশিত হয়েছে। কল্যাণবাবুর বার্ষিক আয় প্রায় ৩.৬৫ কোটি টাকা এবং বাকি দু’জনের বার্ষিক আয় বছরে প্রায় ২ কোটি টাকা। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy