মোদী সমর্থকের সঙ্গে করমর্দন করছেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
একরাশ তাজা হাওয়ার মতো এলেন যেন প্রিয়াঙ্কা গাঁধী। তুমুল রাজনৈতিক অসৌজন্য, বাকসংঘর্ষ, কুকথার স্রোত যখন রাজনীতির রীতি হয়ে উঠেছে প্রায়, যখন বিরোধী কণ্ঠস্বর শুনলেই মেজাজ হারানোর ভয়, তখন অভূতপূর্ব রাজনৈতিক সৌজন্যের নজির রাখলেন তিনি।
প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর উপস্থিতিতে 'মোদী মোদী' স্লোগান এই প্রথম বার উঠল না, আগেও তোলা হয়েছে। এক বারের জন্যও মেজাজ হারাতে দেখা যায়নি তাঁকে। কিন্তু এ বার চমকে দিলেন। রাস্তায় চলতে চলতে 'মোদী মোদী' শুনেই কনভয় থামিয়ে দিলেন। গাড়ি থেকে নেমে মোদীভক্তদের দিকে এগিয়ে গিয়ে করমর্দন করলেন এবং শুভেচ্ছা জানালেন।
এই ছবি দেখার সঙ্গে সঙ্গে মনে পড়ে যায় এক তুলনীয় পরিস্থিতির কথা। 'জয় শ্রী রাম' স্লোগান শুনে ঘোর অসন্তুষ্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেমে পড়েছিলেন নিজের গাড়ি থেকে। স্পষ্ট উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। স্লোগান যাঁরা দিয়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশ পদক্ষেপ করেছিল। গোটা ঘটনা প্রায় সবার জানা। এমন না হয়ে একটা সৌজন্যের নজির সে দিনও তো তৈরি হওয়ার অবকাশ ছিল। কিন্তু হয়নি।
সম্পাদক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা আপনার ইনবক্সে পেতে চান? সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আরও পড়ুন: কনভয়ে ‘মোদী মোদী’ স্লোগান, গাড়ি থেকে নেমে ‘অল দ্য বেস্ট’ বলে হাত মেলালেন প্রিয়ঙ্কা
রাহুল গাঁধী বার বারই বলছেন ভালবাসা দিয়ে জয় করার কথা। কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদী আক্রোশের রাজনীতি করছেন, ঘৃণার রাজনীতি করছেন। এই ঘৃণাকেই তিনি ভালবাসা দিয়ে জয় করবেন বলে রাহুল বার বার জানাচ্ছেন। রাহুল গাঁধীর সেই কথাকে কাজে পরিণত করলেন তাঁর বোন। মোদীভক্তের প্রতিও ভালবাসাই দেখালেন, আক্রোশ নয়।
প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর এই অসামান্য কাজটা একটা কৌশল ঠিকই। কিন্তু আমাদের গণতন্ত্রে এই মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি স্বাগতযোগ্য কৌশল আর কী হতে পারে?
প্রিয়ঙ্কা কি পারবেন একটা মাইলফলক হয়ে উঠতে? তাঁকে দৃষ্টান্ত হিসেবে তুলে ধরে আবার কি সৌজন্যে ফিরতে পারবেন এ দেশের অন্য রাজনীতিকরা? যদি পারেন, ভারতীয় গণতন্ত্রের চেহারা বদলে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy