তুতানখামেনের নতুন ঠিকানা এখন লন্ডন
মিশরের ফারাও তুতানখামেনের নাম ইতিহাস ভুলতে বসেছিল। ভুলেই যেত, যদি না ইংরেজ মিশরবিদ হাওয়ার্ড কার্টার তাঁর সমাধি আবিষ্কার করতেন, তাঁকে বিখ্যাত করে না তুলতেন। হাওয়ার্ডের কাজে টাকা জুগিয়েছিলেন বাকিংহামশায়ারের হাইক্লেরে কাসল-এর মালিক লর্ড কারনারভন। কার্টার নিশ্চিত ছিলেন, লাক্সরের বালিতে তুতানখামেনের অবশেষ চাপা পড়ে আছে। ১৯২২-এর ৪ নভেম্বর যখন তিনি কাজ করছেন, হুসেন আবদুল রসুল নামে অল্পবয়সি এক ছেলে দৌড়ে আসে তাঁর কাছে। ছেলেটি রোজ গাধার পিঠে জলপাত্র চাপিয়ে নিয়ে যেত। মাটিতে পাত্র বসানোর জন্য গর্ত খুঁড়তে গিয়ে একটা পাথরে ধাক্কা লাগে। পরে দেখা যায়, সেটা কতকগুলো সিঁড়ির উপরের দিক। কার্টার তক্ষুনি কারনারভনকে জানান, দুর্দান্ত একটা জিনিস আবিষ্কার করেছি! খোঁড়াখুঁড়িতে বেরোয় একটা করিডর, দ্বিতীয় একটা বন্ধ দরজা। ২৬ নভেম্বর কার্টার উঁকি দেন সেখানে, আবিষ্কৃত হয় বিখ্যাত স্যাক্রোফেগাস আর মমি, তিন হাজার বছর ধরে শয়ান। কার্টার ৫৩৬৬টি প্রত্নবস্তু সংগ্রহ ও তালিকাভুক্ত করে কায়রো নিয়ে আসেন মিউজ়িয়ামে রাখার জন্য। কার্টারের এই আবিষ্কার শতবর্ষের পথে, তুতানখামেনের সমাধির জিনিসগুলো নিয়ে লন্ডনের সাটচি গ্যালারি করছে একটি প্রদর্শনী। আছে সোনার হাত, রত্নখচিত স্বর্ণহার, অন্য অলঙ্কারও। আছে ঢাল, খাবারের পাত্র, নৌকার উপর হারপুন ছোড়া অবস্থায় তুতানখামেনের সোনালি মূর্তি।
রানির পোশাক
চল্লিশ বছরেরও বেশি সময় রানির ‘ড্রেসার’-এর কাজ করছেন এঞ্জেলা কেলি। তাঁর লেখা নতুন বই ‘দ্য আদার সাইড অব দ্য কয়েন: দ্য কুইন, দ্য ড্রেসার অ্যান্ড দ্য ওয়ার্ডরোব’-এ রানি সম্পর্কে নানান তথ্য প্রথম আলো দেখল। যেমন: রানি উজ্জ্বল রঙের পোশাক আর ম্যাচিং হ্যাট পরেন, লোকের ভিড়েও যাতে তাঁকে নজরে পড়ে, সেই কারণে। কেলিই একমাত্র কর্মী যিনি প্রাসাদে কর্মরত অবস্থায় রানিকে নিয়ে লেখার অনুমতি পেয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, রানির পোশাকে আলাদা ‘ওজন’ বোনা থাকে, যাতে হাওয়ায় পোশাক না ওড়ে। জানিয়েছেন, রানি এখন আর ফারের তৈরি পোশাক পরেন না, এ বছর থেকে তাঁর সব পোশাক ও টুপিতে নকল ফার ব্যবহার করা হচ্ছে। রানির সবচেয়ে পছন্দ পকেটে হাত ঢুকিয়ে হাঁটা, জনগণ যে ভঙ্গিতে তাঁকে খুব একটা দেখেন না। কেলির বই জানাচ্ছে, ২০১২’র অলিম্পিক গেমস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেখানো জেমস বন্ড-এর একটা দৃশ্যের জন্য পরিচালক ড্যানি বয়েল রানিকে অল্প সময়ের জন্য অংশ নিতে অনুরোধ করলে রানি শুধু তৎক্ষণাৎ রাজিই হননি, বলেছিলেন, ‘আমি কিছু বলবও। হাজার হোক, বন্ড তো আমাকে উদ্ধার করতে আসছে!’ সেই দৃশ্যে রানির পরা গোলাপি পোশাকটি কেলিরই তৈরি।
ফেরা
জনপ্রিয় টিভি-ড্রামা ‘দ্য ক্রাউন’ ফিরছে নেটফ্লিক্সে, তৃতীয় মরসুম নিয়ে। এ বার পুরো পাল্টে গিয়েছে অভিনেতা-অভিনেত্রীও। মধ্যবয়সি রানির চরিত্রে এ বার অস্কারজয়ী অভিনেত্রী অলিভিয়া কোলম্যান। তৃতীয়-চতুর্থ মরসুমে দেখানো হবে ১৯৬৪-৭৭ সময়কাল; রানি ও প্রিন্স ফিলিপের সম্পর্ক এখন আর মূল বিষয়বস্তু নয়, সে সম্পর্ক এত দিনে পাকাপোক্ত। এ বারে কাহিনির কেন্দ্রে রাজকুমারী মার্গারেট ও লর্ড স্নোডন-এর বিয়ে ভেঙে যাওয়া। মার্গারেটের চরিত্রে হেলেনা বনহ্যাম কার্টার, যিনি এর আগে পিটার মর্গানেরই পরিচালনায় ‘দ্য কুইন’ ছবিতে ‘কুইন মাদার’ হয়েছিলেন। এ বার কেন্দ্রে থাকবে চার্লস ও ক্যামিলার রোম্যান্সও। ছবিতে দেখানো হয়েছিল চার্লস সব সময়েই ক্যামিলাকে ভালবাসতেন, কিন্তু ডায়ানাকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিলেন। ১৭ নভেম্বর শুরু হচ্ছে ‘দ্য ক্রাউন’।
পুষ্যি
হাউস অব কমন্স-এর নতুন স্পিকার স্যর লিন্ডসে হয়েল-এর একটা শখ হল রাজনীতিবিদদের নামে নিজের পোষ্যদের নাম দেওয়া। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউনের নামে তাঁর পোষা কুকুরের নাম গর্ডন, মার্গারেট থ্যাচারের স্মরণে কচ্ছপ ‘ম্যাগি’, লেবার পার্টির এমপি ডেনিস স্কিনারের নামে বেড়াল ডেনিস, আর খুব কথা-বলা এক টিয়াপাখির নাম বরিস। টিয়াটা নাকি এরই মধ্যে ‘অর্ডার! অর্ডার’ বলা শিখে গিয়েছে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy