ভারতে করা এক অনলাইন সমীক্ষা বলছে, ২৬২টি জেলা থেকে সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ২৫ হাজার জনের ৬০ শতাংশের মধ্যে ভ্যাকসিন নেওয়ায় অনীহা রয়েছে। অন্য দিকে ল্যানসেট পত্রিকায় প্রকাশিত এক সমীক্ষা অনুযায়ী ৬৭ শতাংশ আমেরিকানই কোভিড ভ্যাকসিন নিতে চান। কিন্তু সেখানেও ভৌগোলিক ভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ভ্যাকসিন সম্পর্কে অবিশ্বাস রয়েছে। এই অবিশ্বাস বেশি দেখা যায় প্রান্তিক মানুষ, জনজাতি ও গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারীদের মধ্যে। তাই ভ্যাকসিন প্রয়োগের সিদ্ধান্ত যাঁদের হাতে, তাঁদের কাজটা সহজ নয়। সেই সমস্ত মানুষের কাছেও ভ্যাকসিন পৌঁছে দিতে হবে, যাঁদের মধ্যে ভ্যাকসিনেশন নিয়ে রয়েছে সন্দেহ, কুসংস্কার।
সমাজের বিভিন্ন স্তরে ভ্যাকসিনের প্রতি মুখ ঘুরিয়ে নেওয়ার কারণ একাধিক। কোনও জনগোষ্ঠী বা সমাজের একটা স্তরের মানুষজন আগে প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবৈষম্য, জাতিবৈষম্য বা অন্য কোনও বৈষম্যের শিকার হয়েছেন কি না, হলে তা গোষ্ঠীর সঙ্ঘবদ্ধ স্মৃতিকে কতটা প্রভাবিত করেছে, কোনও ভাবে হিংসার শিকার তাঁরা হয়েছেন কি না, এই সব কিছুই অবিশ্বাসের জন্ম দেয়।
এই অবিশ্বাসের আবহাওয়া বদলাতে প্রয়োজন সংক্রমণ থেকে বাঁচার শিক্ষার প্রচার এবং ভ্যাকসিন সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক তথ্যের প্রচার। যদিও এ কাজে প্রধান চ্যালেঞ্জ, একটি সামাজিক স্তরের জনমানস সর্বত্র সমান হয় না। তাই সচেতনতা গড়ে তোলার কাজটা করতে হবে ছোট ছোট ভিন্ন মত পোষণকারী গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে আলাদা করে গুরুত্ব দিয়ে। অর্থাৎ কাজ করতে হবে ‘সাব-পপুলেশন’ পর্যায়ে। এ ব্যাপারে অব্যর্থ কর্মপদ্ধতি এখনও নির্দিষ্ট নয়।