Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Editorial News

স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, এবার জবাবদিহিটাও করুন

সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি বা সিএমআইই-এর সমীক্ষা নরেন্দ্র মোদীদের অস্বস্তি বাড়িয়েছে ভোটের আগে। কর্মসংস্থান বৃদ্ধি তো দূরের কথা, মোদী জমানা বেকারত্বের হার বাড়িয়ে দিয়েছে বলে ওই সমীক্ষা জানাচ্ছে।

—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি।

অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৯ ০০:২৮
Share: Save:

স্বপ্ন ফেরি করা হয়েছিল বছর পাঁচেক আগে। ‘অচ্ছে দিন’-এর প্রতিশ্রুতি বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রকে দেওয়া হয়েছিল। তার পরে ঐতিহাসিক জয়ে ভর করে পাঁচ বছর ভারত শাসন করল বিজেপি। কিন্তু কোন কোন সূচকে ধরা দিল ‘অচ্ছে দিন’, সে প্রশ্নের জবাব এখনও অমিল।

নির্বাচন যত কাছে আসছে, সংবাদমাধ্যমে ততই বাড়ছে রাজনৈতিক প্রচারের রমরমা। কোন দলের সরকার কেমন কাজ করেছে, কোন দলের আসন বাড়তে পারে, কোন দল আগের চেয়ে পিছিয়ে পড়তে পারে— ট্রেনে-বাসে, রাস্তাঘাটে, অফিস-কাছারিতে আলোচনা এখন এ সব নিয়েই জোরদার। প্রশ্ন সব দলকে নিয়ে উঠছে সাধারণ জনপরিসরের এই চর্চায়। কিন্তু এ বারের নির্বাচনে জনসাধারণকে জবাবদিহি করার সবচেয়ে বড় দায়টা যে নরেন্দ্র মোদীদের, তাই নিয়ে কোনও সংশয় নেই।

‘অচ্ছে দিন’-এর স্বপ্ন দেখিয়েছিল বিজেপি। শিক্ষা-স্বাস্থ্য-কৃষি-কর্মসংস্থান-দুর্নীতি দমন-নাগরিকের আয় বৃদ্ধি— এমন নানা ক্ষেত্রে ‘অচ্ছে দিন’ এনে দেবেন বলে ভারতের এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্ত পর্যন্ত ঘুরে ঘুরে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেরিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। বছরে দু’কোটি কর্মসংস্থান করার চমকপ্রদ আশ্বাস ছিল। পাঁচ বছর কাটিয়ে বাস্তবতাটা কিন্তু ভিন্ন। কর্মসংস্থানের প্রশ্নে যে প্রতিশ্রুতি মোদী দিয়েছেন, তার সরকারের ‘সাফল্য’ সেই প্রতিশ্রুতির ঠিক বিপরীত মেরুতে দাঁড়িয়ে রয়েছে।

সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি বা সিএমআইই-এর সমীক্ষা নরেন্দ্র মোদীদের অস্বস্তি বাড়িয়েছে ভোটের আগে। কর্মসংস্থান বৃদ্ধি তো দূরের কথা, মোদী জমানা বেকারত্বের হার বাড়িয়ে দিয়েছে বলে ওই সমীক্ষা জানাচ্ছে। ২০১৮ সালে ঠিক এই সময়ে দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৫.৯ শতাংশ। এক বছরে সেই হার পৌঁছে গিয়েছে ৭.২ শতাংশে। মাত্র এক বছরে কর্মসংস্থানহীনতা এতখানি বাড়তে পারা কিন্তু আঁতকে ওঠার মতো ঘটনা।

সম্পাদক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা আপনার ইনবক্সে পেতে চান? সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

দেশে কেন বাড়ল কর্মসংস্থানহীনতার হার, দেশে কেন কমে গেল চাকুরিরত নাগরিকের সংখ্যা— এই প্রশ্নের জবাব দেওয়ার দায় কিন্তু নরেন্দ্র মোদীকে দিতে হবে। স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন এক রকম। পাঁচ বছর পরে মনে হচ্ছে, ঘটেছে প্রতিশ্রুতির ঠিক উল্টো। নির্বাচনী জনসভার মঞ্চ থেকে মোদী কি ব্যাখ্যা দেবেন, কেন এমনটা হল? নাগরিকদের সমাবেশের সামনে দাঁড়িয়ে মোদী কি স্বীকার করতে পারবেন, তার প্রতিশ্রুতি আর বাস্তব এখন ভিন্ন মেরুর বাসিন্দা? সত্যের মুখোমুখি দাঁড়াতে কি পারবেন নরেন্দ্র মোদী? যদি না পারেন, তা হলে ছাতির মাপটার প্রমাণ দেওয়া আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।

আরও পড়ুন: এক বছরে বেকারত্ব বেড়ে ৭.২%, বলছে সমীক্ষা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE