Advertisement
E-Paper

যুদ্ধের বিরোধিতাও যেন দেশদ্রোহিতার নামান্তর!

চারিদিকে এখন যুদ্ধের জিগির। ভাবখানা এই, পাকিস্তানকে আক্রমণ করাটাই এখন আশু এবং একমাত্র কর্তব্য। যাবতীয় দেশপ্রেমের পরিচয় এখন শুধুমাত্র পাকিস্তানের উদ্দেশে চূড়ান্ত ঘৃণার উদ্গীরণ ছাড়া আর কিছু নয়।

অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:০৩
এবং স্বস্তির বিষয়, যুদ্ধের হুঙ্কার অন্তত সরকারি স্তরে কোথাও নেই। ছবি: পিটিআই।

এবং স্বস্তির বিষয়, যুদ্ধের হুঙ্কার অন্তত সরকারি স্তরে কোথাও নেই। ছবি: পিটিআই।

চারিদিকে এখন যুদ্ধের জিগির। ভাবখানা এই, পাকিস্তানকে আক্রমণ করাটাই এখন আশু এবং একমাত্র কর্তব্য। যাবতীয় দেশপ্রেমের পরিচয় এখন শুধুমাত্র পাকিস্তানের উদ্দেশে চূড়ান্ত ঘৃণার উদ্গীরণ ছাড়া আর কিছু নয়। এবং এই সময় যুক্তি ও বুদ্ধির কথা বলা যেন দেশপ্রেমের বিপ্রতীপে অবস্থান করে।

এ এক চূড়ান্ত অস্থির উদ্বেগজনক সময়। যখন সাধারণ মানুষের দেশকে ঘিরে যে আবেগ, তাকে নিয়েও খেলার চেষ্টা হয়। এবং ওই আবেগকে হাতিয়ার করেই। মেরুকরণের একটা প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। যুদ্ধ এবং যুদ্ধ ছাড়া কিছু নয়, এই মতের বিরোধিতা যেন দেশদ্রোহিতার নামান্তর। অন্তত সামাজিক ভাবে এই প্রচারের ব্যবস্থাকে পাকাপোক্ত করে নেওয়া হয়েছে।

স্বস্তির কথা একটাই, নরেন্দ্র মোদীরা বিরোধী অবস্থানে যাই বলে থাকুন না কেন, শাসকের কুর্সিতে বসে এ দায়িত্ব এবং দায় সম্পর্কে সম্যক ওয়াকিবহাল। এবং স্বস্তির বিষয়, যুদ্ধের হুঙ্কার অন্তত সরকারি স্তরে কোথাও নেই।

শুন্ডি এবং হাল্লার যুগ থেকে বহু সময় পেরিয়ে এসেছি আমরা। এখনও কি বোঝার সময় আসেনি? যুদ্ধ যুদ্ধ হুঙ্কারে ব্যক্তিগত ‘পুরুষকার’ স্ফীত হতে পারে, দেশের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল থাকে।

Anjan Bandyopadhyay India Pak Relation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy