Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপালের পত্রযুদ্ধের ব্যাপারে সংবিধান কী বলছে?

রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে দু’দিনে যে তিনটে চিঠি চালাচালি হল, সেই তিন চিঠি থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবিধানের অংশবিশেষকে সামনে রেখে রাজ্যপালের উদ্দেশে চিঠি লিখেছেন।

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

বিশ্বনাথ চক্রবর্তী
শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২০ ২১:৫৮
Share: Save:

বিশ্বব্যাপী করোনা অতিমারির প্রেক্ষাপটে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের পত্রযুদ্ধ শুরু হল। সে যুদ্ধ কিন্তু রাজ্য তথা দেশের মানুষকে বিস্মিত করে তুলেছে। এই বিপর্যয়ের মাঝে এই রকম তিক্ত রাজনৈতিক লড়াই কি কাম্য? সবার মনেই এই প্রশ্ন। করোনা বিপর্যয় থেকে হয়তো এক দিন আমরা উঠে আসব, কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের এই লড়াইয়ের কথা ইতিহাসে লেখা থাকবে। আজকের পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের এই লড়াই মানুষের যে একেবারেই পছন্দ হচ্ছে না, তা হলফ করে বলা যায়।

করোনা মোকাবিলায় রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা সম্পর্কে বিরোধী দলগুলির এবং রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের বেশ কিছু প্রশ্ন ছিল। সাংবিধানিক প্রধান অর্থাৎ রাজ্যপাল বার বার সেই প্রশ্নগুলো তুলছিলেন, কখনও টুইটে, কখনও সংবাদমাধ্যমে, কখনও রাজ্য সরকারকে চিঠি পাঠিয়ে। ২২ এপ্রিল সকালে মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি বেশ কড়া একটি এসএমএস পাঠান। ২৩ এপ্রিল বিকেলে তার উত্তর দেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপালের পাঠানো চিঠি, তার উত্তরে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের লেখা চিঠি এবং তার উত্তরে রাজ্যপালের পাঠানো এসএমএস— সব কিছু সেই চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী তুলে ধরেন এবং রাজ্যপালকে তা পাঠানোর পরে চিঠিটি জনসমক্ষেও তুলে ধরেন। সে চিঠির ছত্রে ছত্রে রাজ্যপালের সাংবিধানিক অবস্থান বর্ণনার পাশাপাশি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর মুখ্যমন্ত্রীর সেই পাঁচ পাতার চিঠি পাওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে রাজ্যপালও পাঁচ পাতার প্রত্যুত্তর মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠান। তাতে মুখ্যমন্ত্রীর সাংবিধানিক দায়িত্ব এবং বার বার তা না পালন করার অভিযোগ তোলেন। পাশাপাশি ২৪ এপ্রিলের ওই চিঠির পরবর্তী অংশ বিস্তারিত ভাবে জনসমক্ষে আনবেন বলেও রাজ্যপাল জানান।

২৪ এপ্রিল পঞ্চায়েত দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পঞ্চায়েত প্রধানদের সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠক করেন। সেই বৈঠকের অব্যবহিত পরেই জগদীপ ধনখড় ১৪ পৃষ্ঠার একটি চিঠি প্রকাশ করেন, যা তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠিয়েছেন। সেই চিঠিতে সাংবিধানিক এক্তিয়ারের কথা মনে করানোর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরাসরি একগুচ্ছ অভিযোগ তোলেন রাজ্যপাল। এর মধ্যে বিস্ফোরক অভিযোগ হল, করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে নজর ঘোরানোর জন্যই মুখ্যমন্ত্রী সচেতন ভাবে রাজ্যপালের উদ্দেশে ২৩ এপ্রিল পাঠানো চিঠি জনসমক্ষে এনেছেন। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যপাল কাঠগড়ায় দাঁড় করান রেশন ব্যবস্থা থেকে শুরু করে মরকজ নিজামউদ্দিন সংক্রান্ত প্রশ্নেও। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগেকার সময় হলে এত ক্ষণে হয়তো রাজ্যপালের এই চিঠির বিরুদ্ধে বৃহত্তম প্রতিরোধ গড়ে তুলতেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এখনকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তেমন কিছু করলেন না। রাজ্যপালের দ্বিতীয় চিঠি প্রকাশ্যে চলে আসার বেশ কয়েক ঘণ্টা পরেও মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেল না। মুখ্যমন্ত্রীর এই সংযম প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে কি না, বলা কঠিন। ঝড়ের আগের শান্ত ভাব কি না, তা-ও বোঝা শক্ত। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়ার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু এখন দেখা যাক, গত দু’দিন ধরে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের তিনটি চিঠির সাংবিধানিক মূল্য কোথায় দাঁড়িয়ে।

আরও পড়ুন: বীরেন শাহ থেকে গোপালকৃষ্ণ, এমনকি তথাগত রায়ও জানতেন রাজ্যপালের এক্তিয়ার কতটুকু

আরও পড়ুন: বিশ্রী ব্যর্থতা ঢাকার জন্যই আপনার এত কৌশল: ফের তীব্র আক্রমণে ধনখড়

মুখ্যমন্ত্রীর চিঠিতে সংবিধানের ১৬৩ নম্বর অনুচ্ছেদের উপরে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে তিনি বার বার রাজ্যপালকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন যে, তিনি একটি নির্বাচিত সরকারের প্রধান এবং সংবিধান সমস্ত ক্ষমতা তাঁর হাতেই দিয়েছে। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী তুলে ধরেছেন রাজ্যপাল পদ সম্পর্কে সংবিধান প্রণেতা বিআর অম্বেডকরের ভাবনাও। সংবিধানসভায় রাজ্যপাল পদ নিয়ে আলোচনা হওয়ার সময়ে অম্বেডকর কী বক্তব্য পেশ করেছিলেন, সে কথা নিজের চিঠিতে তুলে ধরে রাজ্যপালের সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতার দিকে ইঙ্গিত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সারকারিয়া কমিশনের সুপারিশের কথাও তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে। ভারতীয় সংবিধান অনুসারে রাজ্যপাল হলেন রাজ্যের নিয়মতান্ত্রিক প্রধান। সংবিধানের ১৬৩ অনুচ্ছেদ অনুসারে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রী পরিষদ রাজ্যপালকে যে ভাবে পরামর্শ দেবে, রাজ্যপাল সেই অনুসারে কাজ করবেন। সংবিধানের ১৬৬ অনুচ্ছেদে রাজ্যপালের নামে রাজ্য প্রশাসন চললেও আসলে তা মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রী পরিষদই চালায়।

অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী যা লিখেছেন, রাজ্যপালের সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে যে ইঙ্গিত করেছেন, তা ভুল নয়। তিনি ঠিকই লিখেছেন। কিন্তু সংবিধানসভায় আলোচনা চলাকালীন বিআর অম্বেডকর কী বলেছিলেন বা সারকারিয়া কমিশন কী সুপারিশ করেছিল, আইনের চোখে তার কোনও মূল্য নেই। সংবিধান প্রণেতারা বা তাঁদের কেউ কেউ বা তাঁদের অনেকে রাজ্যপাল পদটাকে কী চোখে দেখেছিলেন, তার আঁচ পাওয়া যায় সংবিধানসভায় অম্বেডকরের বক্তব্য থেকে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ওই বক্তব্য কিন্তু সংবিধানের অন্তর্গত বিষয় নয়। আলোচনা চলাকালীন অনেকেই অনেক কথা বলতে পারেন, তা রেকর্ডে থাকতে পারে। কিন্তু আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত কী হল, আইনের চোখে পবিত্র একমাত্র সেটাই। একই ভাবে সারকারিয়া কমিশনের সুপারিশেরও কোনও আইনি প্রতিষ্ঠা নেই। সমসাময়িক রাজনীতিতে রাজ্যপালের ভূমিকা সংক্রান্ত ভাবনা কেমন ছিল, সারকারিয়া কমিশনের সুপারিশ থেকে সে কথা বোঝা যেতে পারে। কিন্তু ওই সুপারিশেরও কোনও আইনি ভিত্তি নেই। সংবিধান সংক্রান্ত অনেক কমিটি-কমিশন এখনও পর্যন্ত তৈরি হয়েছে। এক একটি কমিটি-কমিশন এক এক ভাবে রাজ্যপালের ভূমিকাকে দেখেছে। যত ক্ষণ না কমিশনের সেই সুপারিশকে সরকার আইনে পরিণত করছে, তত ক্ষণ পর্যন্ত ওই সব সুপারিশের রাজনৈতিক গুরুত্ব থাকলেও কোনও সাংবিধানিক গুরুত্ব নেই।

এ বার আসা যাক রাজ্যপালের চিঠির প্রসঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির প্রত্যুত্তরে যে চিঠি রাজ্যপাল দিয়েছেন, তাতে আবার ছত্রে ছত্রে সংবিধানের ১৬৭ অনুচ্ছেদের প্রতিফলন লক্ষ করা যাচ্ছে। এই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাজ্যপাল শুধুমাত্র রাজ্যের নিয়মতান্ত্রিক প্রধান হতে পারেন, কিন্তু সরকারের কাজকর্ম সম্পর্কে তাঁকে অবগত করা মুখ্যমন্ত্রীর সাংবিধানিক কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। রাজ্যপালের অভিযোগ হল, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সেই সাংবিধানিক কর্তব্য বা দায়িত্ব পালন করছেন না। সরকারের কাছে কোনও তথ্য চাইলে তিনি পাচ্ছেন না, চিঠি লিখলে মুখ্যমন্ত্রী উত্তর দিচ্ছেন না, অন্য মন্ত্রীরাও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন না, এমনকি আমলারা পর্যন্ত যোগাযোগ করতে পারেন না— অভিযোগ রাজ্যপালের।

রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে আদর্শ আদান-প্রদান কেমন হওয়া উচিত, তার পূর্ণ চিত্রটা যে রাজ্যপালের চিঠিতে তুলে ধরা হয়েছে, এ কথাও কিন্তু বলা যাচ্ছে না। ভারতীয় সংবিধান অনুসারে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রী পরিষদই যে রাজ্যের প্রকৃত শাসক, সে কথা কিন্তু রাজ্যপালের চিঠিতে সে ভাবে গুরুত্ব দিয়ে বলা হচ্ছে না। রাজ্যপালের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর কী ধরনের দায়বদ্ধতা রয়েছে, শুধু সেইটুকুই তুলে ধরা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে যে মন্ত্রী পরিষদ রাজ্যের প্রশাসন চালায়, তার প্রধান দায়বদ্ধতা কিন্তু রাজ্যপালের কাছে নয়। মুখ্যমন্ত্রী তথা মন্ত্রিসভা সর্বাগ্রে দায়বদ্ধ রাজ্যের বিধানসভার কাছে। সরকারের কাজ সম্পর্কে তথ্যাদি রাজ্যপালকে জানাতে মুখ্যমন্ত্রী বাধ্য ঠিকই, কিন্তু প্রশাসন তিনি কী ভাবে চালাবেন, সে বিষয়ের জবাবদিহি রাজ্যপালের কাছে করতে মুখ্যমন্ত্রী বাধ্য নন। সেই দায়বদ্ধতা মুখ্যমন্ত্রীর রয়েছে শুধুমাত্র বিধানসভার প্রতি।

সংবিধান যখন লেখা হয়, তখন অনেক কিছুই সংসদীয় প্রথার উপরে ভরসা রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। সংবিধানের কোথাও লিপিবদ্ধ নেই যে, রাজ্যপাল সরাসরি জনসমক্ষে সরকারের সমালোচনা করতে পারেন কি না। ব্রিটেন থেকে আসা সংসদীয় রীতি অনুসারে সাংবিধানিক প্রধানরা সরাসরি জনসমক্ষে তাঁর সরকারের সমালোচনা করবেন না, এটাই ছিল প্রথা। সেই প্রথা যে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালরা বার বার ভাঙেন, সে-ও প্রায় প্রথার মতোই হয়ে গিয়েছে। বেশি পিছনে না গিয়ে যদি শুধু গত ১০-১৫ বছরের ঘটনাপ্রবাহে চোখ রাখা যায়, তা হলেও আমরা দেখতে পাব গোপালকৃষ্ণ গাঁধী থেকে জগদীপ ধনখড় পর্যন্ত প্রায় প্রত্যেকেই জনসমক্ষে তাঁদের সরকারের সমালোচনা করেছেন। সে দিক থেকে দেখতে গেলে আবার এই সঙ্ঘাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।

রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে দু’দিনে যে তিনটে চিঠি চালাচালি হল, সেই তিন চিঠি থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবিধানের অংশবিশেষকে সামনে রেখে রাজ্যপালের উদ্দেশে চিঠি লিখেছেন। অন্য দিকে রাজ্যপালও সংবিধানের আর একটি অংশকে সামনে রেখে মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির প্রত্যুত্তর দিয়েছেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ১৬৩ অনুচ্ছেদের উপরে জোর দিয়েছেন, তা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই রাজ্যপালের ভরসা হয়ে ওঠা ১৬৭ অনুচ্ছেদও জরুরি। অংশকে বাদ দিয়ে যেমন সমগ্র হয় না, তেমনই সংসদীয় ব্যবস্থা পূর্ণতা পায় ওই দু’টি অনুচ্ছেদের সুষম প্রয়োগে। অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রী পরিষদই যেমন রাজ্যে চূড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী, তেমনই সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপালকে সরকারের কাজকর্ম সম্পর্কে অবগত করার সাংবিধানিক দায়িত্বও মখ্যমন্ত্রীর রয়েছে। কোনও এক জন যদি একটি অনুচ্ছেদকে গুরুত্ব দিয়ে আর একটি বাদ দেন, তা হলে সংবিধানের গতি স্তব্ধ হতে বাধ্য।

(লেখক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক এবং নির্বাচন বিশেষজ্ঞ)

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE