Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
প্রবন্ধ ১

পশ্চিমবঙ্গের মুসলমান: ভুল ভাবে দেখব কেন

মাদ্রাসা। অনুপ্রবেশ। মুসলমান। শব্দগুলো হঠাৎই প্রবল ভাবে আছড়ে পড়ছে পশ্চিমবঙ্গের সামাজিক পরিসরে। ক্ষুদ্রস্বার্থের রাজনীতি তাদের ব্যবহার করতে চাইছে নিজের তাগিদে। ঢাকা পড়ে যাচ্ছে অনেক দরকারি কথা। প্রয়োজন সুস্থ আলাপের।প্রথম দিকে খবরের কাগজে পড়ছিলাম, পশ্চিমবঙ্গের কিছু ‘ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান’-এর সঙ্গে জঙ্গি কার্যকলাপের যোগ পাওয়া গিয়েছে। কয়েক দিন ধরে চলল এই পরোক্ষ ইঙ্গিত। হঠাৎ দেখলাম, মাদ্রাসা শব্দটা চলেই এল কাগজের বিবরণে। জানা গেল, এমন কিছু তথ্যপ্রমাণ মিলছে যে শব্দটাকে আর পাশ কাটানোর উপায় নেই। টিভি চ্যানেলে অবশ্য এখনও কুণ্ঠা। বিজেপি ছাড়া প্রায় সকলেই অত্যন্ত দ্বিধা ও অনিচ্ছার সঙ্গে মাদ্রাসা শব্দটি মুখে আনছেন।

বিকল্পের অধিকার। রাজ্যের একটি মাদ্রাসায় পরীক্ষা দিতে বসেছে ছাত্রীরা, ফেব্রুয়ারি ২০১২

বিকল্পের অধিকার। রাজ্যের একটি মাদ্রাসায় পরীক্ষা দিতে বসেছে ছাত্রীরা, ফেব্রুয়ারি ২০১২

সেমন্তী ঘোষ
শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৪ ০০:০১
Share: Save:

প্রথম দিকে খবরের কাগজে পড়ছিলাম, পশ্চিমবঙ্গের কিছু ‘ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান’-এর সঙ্গে জঙ্গি কার্যকলাপের যোগ পাওয়া গিয়েছে। কয়েক দিন ধরে চলল এই পরোক্ষ ইঙ্গিত। হঠাৎ দেখলাম, মাদ্রাসা শব্দটা চলেই এল কাগজের বিবরণে। জানা গেল, এমন কিছু তথ্যপ্রমাণ মিলছে যে শব্দটাকে আর পাশ কাটানোর উপায় নেই। টিভি চ্যানেলে অবশ্য এখনও কুণ্ঠা। বিজেপি ছাড়া প্রায় সকলেই অত্যন্ত দ্বিধা ও অনিচ্ছার সঙ্গে মাদ্রাসা শব্দটি মুখে আনছেন। বলে দিচ্ছেন, ব্যাপারটাকে ‘ও ভাবে’ দেখলে হবে না, মাদ্রাসা খুবই দরকারি প্রতিষ্ঠান, তাই বিষয়টা ‘ঠিকমতো’ বুঝতে হবে। কিন্তু ‘ঠিকমতো’টা কী রকম, তা পরিষ্কার হচ্ছে না, কেননা হয় তাঁরা মাদ্রাসা নিয়ে আলোচনায় মোটে রাজি নন, নয়তো তাতে স্বচ্ছন্দ নন।

দেখতে দেখতে দুশ্চিন্তা হয়। কেবল দুশ্চিন্তা নয়, ভয়। মাদ্রাসা কথাটা উচ্চারণ করতে বা লিখতে যেখানে এত অস্বস্তি, এবং উল্টো দিকে, মাদ্রাসা কথাটা উচ্চারণ করলেই যেখানে এত প্রতিক্রিয়া, সেখানে সত্যিকারের ভয়ের যে বিষয়, সেই আলোচনায় পৌছনো যাবে তো শেষ পর্যন্ত? একটি মাদ্রাসা মানেই তো সব মাদ্রাসা নয়, কিংবা মাদ্রাসা মানেই তো গোটা মুসলমান সমাজ নয়। তা হলে মাদ্রাসা কথাটা বলতে গিয়েই সমস্ত মুসলমান বাঙালিকে হারিয়ে ফেলার এই আশ্চর্য আতঙ্ক নিয়ে আমরা মূল সমস্যাগুলোর মোকাবিলা করব কী করে?

একই সমস্যা অনুপ্রবেশ নিয়েও। লক্ষণীয়, পশ্চিমবঙ্গের ভোটমঞ্চে বিজেপির আবির্ভাবের আগে অনুপ্রবেশ শব্দটা কেমন অচ্ছুত ছিল। যেন ও কথা মুখ দিয়ে বার করেছ মানেই তুমি মুসলিমদের গাল দিচ্ছ। বাম-কংগ্রেস-তৃণমূল’-এর সম্মিলিত এই ‘পলিটিক্যাল কারেক্টনেস’ সর্বৈব ভাবেই ‘পলিটিক্যাল’, রাজনৈতিক, রাজনীতির ক্ষুদ্রতর অর্থে। কোনও দলীয় রাজনীতির মুসলিম-মনস্কতার অন্দরেই আসলে সমব্যথা নেই, মুসলিম মানুষদের প্রতি সত্যিকারের সহমর্মিতা নেই, আছে কেবল তাঁদের সংখ্যাটা ভোটের চরকিতে হারিয়ে ফেলার হিলহিলে ভয়। এই ভয়ের পথ ধরেই এক দিকে জঙ্গিদের জন্য রাজ্যময় ‘সেফ করিডর’ তৈরি হয়, অন্য দিকে রাজ্যে হিন্দুত্বের রাজনীতি জমাট হয়ে বসব-বসব করে।

অনুপ্রবেশকারীরা সকলেই মুসলিম নন, সেটা হওয়ার কোনও কারণও নেই। কয়েক দশক জুড়ে দেখা গিয়েছে নানা ধর্মের, নানা জাতের অনুপ্রবেশকে কী ভাবে প্রশ্রয় দিয়ে এসেছে এ রাজ্যের রাজনীতি, রাজনীতির নিজেরই স্বার্থে। কিন্তু এই মুহূর্তে পরিস্থিতি অন্য রকম। হঠাৎই অনুপ্রবেশ কথাটাকে টেনে এনেছে বিজেপি। তাদের সদর্প ঘোষণা, ও পার থেকে যে হিন্দুরা আসছেন তাঁরা শরণার্থী, আর মুসলিমরা, অনুপ্রবেশকারী! তেমন প্রতিবাদও হচ্ছে না কথাটার। অ-বিজেপিরা ধরেই নিয়েছেন, অনুপ্রবেশকারীরা একশো ভাগই মুসলিম, তাই অনুপ্রবেশ মানেই মুসলমান, মুসলমান মানেই অনুপ্রবেশ, এ নিয়ে একটি কথাও যেন মুখ ফসকে না বেরোয়! তাই অনুপ্রবেশ যে একটি জরুরি সমস্যা, এবং সেই সমস্যার যে একটা ঠিকঠাক সমাধান দরকার, তেমন কথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এখনও শোনা যায়নি।

ঠিক যেমন, বর্ধমানের জঙ্গি সংযোগ নিয়ে কিছুই শোনা যায়নি তাঁর মুখে। অথচ জঙ্গলমহলে গিয়ে কিন্তু তিনি বলেছেন, ‘দেখবেন, এখানে যেন আবার ও-সব না হয়।’ এই নীরবতা গুরুতর, কেননা ধরেই নেওয়া যায়, তিনি বা তাঁর দল যথেষ্ট চিন্তিত এ বিষয়ে। যদি সত্যিই প্রমাণ লোপাটের ব্যবস্থা হয়ে থাকে, যদি অপরাধীকে সত্যিই আড়াল করা হয়ে থাকে, তবে তার পিছনে সম্ভবত জঙ্গিপনার প্রতি সচেতন প্রশ্রয় নেই। আছে কেবল, মুসলিম সমর্থন হারিয়ে ফেলার ঘুম-কাড়া ভয়!

অথচ একটা অত্যন্ত সহজ ‘যুক্তি’ (‘লজিক্যাল প্রোপোজিশন’) হল, মুসলিমদের মধ্যে জঙ্গি আছে বলে সব মুসলিমই জঙ্গি নয়! জঙ্গিসংযুক্ত মাদ্রাসা নিয়ে কথা বললে এগুলোর সঙ্গে যুক্ত যাঁরা, তাঁরা চটতে পারেন, কিন্তু ‘সব মুসলিম’ চটবেন না, কেননা ‘সব মুসলিম’ জঙ্গিমনস্ক তো ননই, ‘সব মুসলিম’ মাদ্রাসাতেও যান না। এমনকী যাঁরা মাদ্রাসায় যান, তাঁরাও মাদ্রাসাটি জঙ্গিসংযুক্ত জেনে সেখানে যান না, আর মাদ্রাসাটিকে জঙ্গি-সংযুক্ত জানতে পারলে সেটা সমর্থনও করেন না। যদি সংখ্যার কথাই ধরা যায়, তবে এই মুসলিমরা জঙ্গিদের চেয়ে লক্ষগুণ বেশি। জঙ্গিপনাকে প্রশ্রয় দিয়ে এত লক্ষ মুসলিম ভোট পাওয়ার ভাবনা যদি কেউ ভাবেন, একেবারে ভুল ভাবছেন!

মুশকিল হল, খবরের দুনিয়ায় যেহেতু ভয়ঙ্কর খবর ছাড়া কিছুর জায়গা হয় না, ‘সেনসেশনাল’ ছাড়া অন্য কথা প্রচার-যোগ্যতা অর্জন করে উঠতে পারে না, তাই ভয়হীনতার স্বাভাবিক, দৈনন্দিন বিবরণগুলো ‘খবর’ হয়ে আত্মপ্রকাশ করে না। কোন মাদ্রাসায় জঙ্গিপনা চলছে, সেটা সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞাপিত ও বিজ্ঞাপিত হয়। আর কোন মাদ্রাসা দিনের পর দিন ছেলেমেয়েদের পড়িয়ে-শুনিয়ে চলেছে, সেটা খবরযোগ্যতার ধারেকাছেও আসে না। জঙ্গিপনায় যুক্ত মুসলিমদের হাল-হকিকত মুখে মুখে ফেরে, সর্বজনজ্ঞানে উন্নীত হয়। তাঁদের চেয়ে সংখ্যায় লক্ষ গুণ বেশি রাজ্যের যে মুসলিমদের হাজারো এটা-ওটা ভাবনার মধ্যে জঙ্গি শব্দটা জায়গাও পায় না মোটে, তাঁদের কথা আমরা কাগজে পড়ি না, তাই জানি না, শুনি না।

সমস্যাটা হল, এই দ্বিতীয় দলের কথা শুনি না বলে তাঁরা নেই, এটাই ধরে নিই। আর প্রথম দলের কথা শুনি বলে তাঁদের থাকাটা রমরম করে আমাদের চার পাশে বাজতে থাকে। এই ভাবে খবর হয়ে ওঠে অতি-খবর, বাস্তব হয়ে ওঠে অতি-বাস্তব। তার মধ্যেই দুটো-তিনটে কথা ছিটকে খবর হয়ে ওঠার হাঁচোড়পাচোড় চেষ্টা করে, তার পর ব্যর্থ হয়ে তলিয়ে যায়। এই রকম একটা-দুটো ছিটকানো কথাতেই আমরা জানতে পারি খাগড়াগড়ের সেই দুই মেয়ের ধর্মভীরু বাবার কথা, যিনি অভিযুক্ত মাদ্রাসাটিতে মেয়েদের পাঠিয়ে নিশ্চিন্ত ছিলেন তারা ধর্মশিক্ষা পাচ্ছে বলে, কিন্তু এখন সব দেখেশুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এ কোথায় তিনি কন্যাদের ঠেলে দিয়েছেন তাই অনুধাবন করে। কিংবা জানতে পারি, জঙ্গিপুর মুনিরিয়া হাই মাদ্রাসায় আয়োজিত ইমামদের সভার কথা, যেখানে উদ্বিগ্ন ইমামরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, শিশুদের শিক্ষাদানের সঙ্গে সঙ্গে গ্রামগুলির সম্প্রীতি রক্ষার কাজে তাঁদেরই এগিয়ে আসতে হবে, সন্ত্রাসের বীজ অঙ্কুরেই নষ্ট করতে হবে। জানতে পারি, কলকাতায় রবিবার অ্যাকাডেমি চত্বরে সভাটির কথা, যেখানে অন্য নানা কথার পাশাপাশি বিপথগামী মাদ্রাসাগুলিকে কী ভাবে বন্ধ করা যায়, সেই আলাপও চলছিল।

মাদ্রাসা শিক্ষার আদৌ প্রয়োজন আছে কি না, মাদ্রাসা চালু রাখার যুক্তি বা প্রতিযুক্তি ঠিক কী কী, কোনও মাদ্রাসার জঙ্গিসংযোগ তৈরি হলে কী করণীয়: মাদ্রাসা শুনলেই ক্ষেপে উঠে, কিংবা মাদ্রাসা শব্দটা না উচ্চারণ করে, কিংবা মাদ্রাসা শব্দ উচ্চারণ-মাত্রেই প্রবল রক্ষণাত্মক হয়ে গেলে কিন্তু এই অতি জরুরি আলোচনাগুলি শুরুই করা যাবে না। অথচ, যে ধর্মশিক্ষার জন্য মাদ্রাসার প্রয়োজন, সেই ধর্মশিক্ষার পথটাই যে খুঁজেপেতে ব্যবহার করে অনিষ্টকামীরা, এটা কেবল পশ্চিমবঙ্গে বা ভারতে বা আমেরিকায় সত্যি নয়, পাকিস্তানে, ইরাকে, সিরিয়াতেও সত্যি। পাকিস্তানের প্রবীণ গবেষক আকবর আহমদ একটি অসামান্য বই লিখেছিলেন (জার্নি ইনটু ইসলাম, ২০০৭) তাঁর বহু দেশের অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে, যাতে পড়েছিলাম কী ভাবে পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন মাদ্রাসাকে ব্যবহার করা হয় সন্ত্রাস ছড়ানোর কাজে কিন্তু সেই সন্ত্রাসের লক্ষ্য ভিন্ন ধর্ম বা ভিন্ন সংস্কৃতি নয়, বরং মুসলিমরাই। কখনও সেই সন্ত্রাসের লক্ষ্য শিয়ারা, কিংবা সুন্নিরা, কিংবা অন্য কোনও গোষ্ঠীর মুসলিমরা। অর্থাৎ মাদ্রাসা ক্ষেত্রবিশেষে অসহিষ্ণুতা ও জঙ্গিপনার কেন্দ্র হয়, আর ধর্মচর্চার আবরণটা সেই কার্যক্রমের উপযুক্ত আড়াল হয়ে ওঠে। আন্তর্জাতিক জাল ধরে জঙ্গি ইসলামি সংগঠনের টাকাপয়সা, লোকবল, অস্ত্রশস্ত্র পৌঁছয় সেখানে। সুতরাং ধর্মশিক্ষার প্রয়োজনেও এ রাজ্যে মাদ্রাসা সত্যিই কতটা দরকার, এবং মাদ্রাসা দরকারি ধরে নিলেও সেগুলিকে ঠিক পথে রাখার উপায় কী, এ সব কেবল অ-মুসলিম নয়, মুসলিমদেরও উদ্বিগ্ন হয়ে ভাবার বিষয়। তাঁরা তা ভাবছেনও।

তাঁরা যে ভাবছেন, তার প্রমাণ গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে। পাকিস্তান, ইরাক, ইরান, সিরিয়া, সর্বত্র। ঘরের কাছে বাংলাদেশ দেখিয়ে দিচ্ছে, কত প্রতিকূলতার মধ্যেও কতখানি করা সম্ভব। মৌলবাদী তাণ্ডব সেখানে প্রাত্যহিক। কিন্তু যত বেশি দুর্দশা ঘটাতে পারত সেই তাণ্ডব, সেটা হয়নি, হয় না, কেননা গোটা সমাজ বার বার হাত মিলিয়ে চেষ্টা করে জঙ্গিপনার টুঁটি টিপে ধরার। সীমান্তবর্তী জেলাগুলির গ্রামে গ্রামে প্রতি দিন চলে গ্রামবাসী বনাম মৌলবাদী সংঘর্ষ। এই গ্রামবাসীরা মুসলিম রাষ্ট্রের মুসলিম নাগরিক। তাঁদেরই অনেকে আবার মৌলবাদী বা সন্ত্রাসী না হয়েও দারিদ্র ও অশান্তির চোটে ভারতের দিকে যাত্রা করেন, অনুপ্রবেশকারীতে রূপান্তরিত হন। তাঁদের সঙ্গে মিশে যায় জঙ্গিরাও। জঙ্গিরা অনুপ্রবেশকারী বলে সব অনুপ্রবেশকারীরই জঙ্গি-যোগ থাকে না।

বাস্তব হলেও এই বিরাট-সংখ্যক অনুপ্রবেশ গ্রহণযোগ্য নয়। ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গের কি এত অতিরিক্ত মানুষকে নিজের দেশে আত্মস্থ করে নেওয়ার পরিস্থিতি আছে? নেই। সুতরাং এই মানুষগুলোর বিষয়ে একটা নীতি দরকার। কিন্তু এই নীতিটা কী জন্য দরকার? ‘মুসলিম’ সমস্যা নয়, ‘অনুপ্রবেশ’ সমস্যা সমাধানের জন্য। মুসলিম আর অনুপ্রবেশের মধ্যে, কিংবা মুসলিম আর মাদ্রাসার মধ্যে এ ভাবে সহজ সমার্থক চিহ্ন জুড়ে দেওয়া অঙ্কের ভয়ঙ্কর ভুল, অকারণ সংঘর্ষ ডেকে আনার ভুল। যে রাজ্যের এক-তৃতীয়াংশ মুসলিম, সেখানে এই ভুলের দাম প্রতিটি পরিবারকে চোকাতে হতে পারে।

বন্ধ হোক এই আগুনখেলা। হিন্দু সমস্যা বা মুসলিম সমস্যা নয়, পশ্চিমবঙ্গের সমস্যা যে আজ গুরুতর হয়েছে, সব পক্ষ সেটা স্বীকার করুক। একত্র আলোচনা করুক। যদি একত্র আলোচনায় রুচি না থাকে, তবে না-হয় নিজেদের সমাজের মধ্যেই আলোচনা চলুক। কিন্তু সমস্যাটা যে ধর্মের নয়, সমাজের, অর্থনীতির, রাজনীতির, প্রত্যেকের খেয়াল থাকুক। এবং সমস্যাটা যে সমগ্র রাজ্যের, প্রত্যেক রাজ্যবাসীর— সেটাও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

semanti ghosh west bengal muslims infiltration
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE