আপনি মোহনবাগান না ইস্টবেঙ্গল?
আপনি ঘটি না বাঙাল?
আপনি চন্দ্রবিন্দু না ভূমি?
আপনি সমুদ্র না পাহাড়?
প্রতি মুহূর্তে এই ভাবে আমরা বিভাজিকা রেখা তৈরি করে পারস্পরিক বিরোধের ক্ষেত্র রচনা করে চলেছি। হয় সাদা, না হয় কালো। শুধুই থিসিস আর অ্যান্টি-থিসিসের লড়াই। সিন্থেসিসের ধূসরতা কোথায়? হয় সমাজতন্ত্র আর না হলে পুঁজিবাদ। আপনি কোন দলে? আমরা না ওরা?
দ্বন্দ্ব সত্য। কিন্তু দ্বন্দ্ব থেকে মুক্তি ঐক্যের সাধনার। এই বহুত্ববাদী বহুসংস্কৃতি-ধন্য ভারতে মেলানোর চেষ্টা না করে শুধু শিরা ফুলিয়ে, আস্তিন গুটিয়ে, পেশি প্রদর্শন করে বাঙালি আজ বীররসগাথা রচনা করে চলেছে। জেলায় জেলায় রাজনৈতিক হিংসা। পশ্চিমবঙ্গ লাশকাটা ঘরে পরিণত। প্রশ্ন জাগে, এই বিরোধের বদলে মিলনের গান কি গাওয়া যেত না?
সক্রেটিস-প্লেটোরা বলেছিলেন, জ্ঞান হল সমগ্রতা। পুরুষ এবং প্রকৃতির বিরোধ ঘুচে যায় উপনিষদের ঐকতানে। সমাজবিকাশের ধারায় দেখা যায়, সামন্তবাদের সঙ্গে সংঘাত গিয়ে জন্ম নেয় পুঁজিবাদী গণতন্ত্র। সেই পুঁজিবাদকে চ্যালেঞ্জ করেই এসেছিল কমিউনিস্ট ইস্তেহার।
গত কয়েক দশক ধরেই পৃথিবীর ইতিহাসে আমরা দেখেছি পুঁজিবাদ আর সমাজতন্ত্রের লড়াই। পুঁজিবাদ বলেছে, ‘আমরা ব্যক্তি স্বাধীনতার খুচরো এবং পাইকারি বিক্রেতা। আমাদের কোনও শাখা নেই।’ আর সমাজতন্ত্র বলেছে, ‘আমাদের গণতন্ত্রই আসলে শ্রেণি বৈষম্য দূর করবে।’ সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন তাসের ঘরের মতো লুটিয়ে পড়ল। আবার বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দা আমেরিকা-ব্রিটেনের মতো শক্তিশালী পুঁজিবাদকে গভীর সঙ্কটে ফেলে দিল।
তা হলে আপনি কোন দিকে? হয় এ দিকে না হয় ও দিকে। হয় ইস্টবেঙ্গল নয় মোহনবাগান। হয় ইলিশ নয় চিংড়ি। হয় সিপিএম নয় তৃণমূল। হয় গাঁধী নয় নেতাজি। কী আশ্চর্য, বাস্তব পৃথিবীটা কিন্তু প্রকৃতির নিয়মে সমন্বয় সাধন করেই চলেছে। আদর্শ পুঁজিবাদ বলেও যেমন কিছু নেই, তেমনই আদর্শ সমাজতন্ত্রই বা কোথায়? আমেরিকায় সকলের জন্য স্বাস্থ্য স্লোগান তুলে, নিরস্ত্রীকরণের দাগ দিয়ে সকলের জন্য চাকরির কথা বলে পুঁজিবাদী সঙ্কটে ওবামা সমাজতন্ত্রী হতে চান। অন্য দিকে, চিন খোলাবাজারের অর্থনীতির ডাক দিয়ে, সমাজতান্ত্রিক বাজার অর্থনীতির ডাক দিয়ে আসলে পুঁজিবাদের প্রতিযোগিতার উপাদানকে গ্রহণ করে এ যাত্রায় নিজেদের রাজনৈতিক একদলীয় শাসনব্যবস্থা টিকিয়ে রেখেছে। যা ইয়েলৎসিনের রাশিয়া করে উঠতে পারেনি। চিন জীবনজুয়ায় জিতে গেলেও রাশিয়া বোকার হদ্দ হয়ে হেরে গেল। একে বলা যেতে পারে এক ধরনের রাজনৈতিক মিথোজীবিতা। সমাজতন্ত্র আর পুঁজিবাদ, এই দুই শিবিরের সংঘাতের কি কোনও প্রাসঙ্গিকতা আছে? ভাত আর রুটির মধ্যে ঝগড়া লাগাতেই হবে? ভাত বনাম রুটি না বলে আমরা কি ভাত এবং রুটিতে পৌঁছতে পারি না?
এই ২০১১ সালে জন স্টুয়ার্ট মিল থেকে অর্থনীতিবিদ লর্ড কেইন্স ঠিক ছিলেন না ভুল ছিলেন? মার্কস থেকে স্তালিন— তুমি কোন ছাতার তলায়, এই সব প্রশ্ন অবান্তর হয়ে গিয়েছে। সমাজের উন্নয়ন, শিল্পায়ন, সাংস্কৃতিক বিকাশ— এ সবই কোনও ব্যক্তির সুনির্দিষ্ট তত্ত্ব নয়। সকলেরই প্রতিপাদ্য বিষয় হল, সমাজ ও দেশের মানুষ এবং রাষ্ট্রের ভাল করা, যাকে বলা হয় জনকল্যাণ। সেটাই তো সকলের লক্ষ্য। গ্রামে বা শহরে রাস্তা, বিদ্যুৎ, জল সরবরাহ প্রয়োজন। চাই প্রাথমিক স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা। সমস্ত শ্রেণি-সংগ্রামের মাধ্যমে, ধনীকে হত্যা করলে সমস্যার সমাধান যে হয় না, তা বোঝা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, দারিদ্র দূরীকরণও তো রাষ্ট্রেরই দায়িত্ব।
একই ভাবে আর এক অবাস্তব বনামের রাজনীতি শুরু হয়েছে আমাদের গোটা দেশ জুড়ে। কৃষি না শিল্প? পশ্চিমবঙ্গে তো এই বিতর্ক আরও তীব্র। এই বিতর্ক নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক সমাজ দ্বিধাবিভক্ত। সিপিএম এবং তৃণমূলের এক ভয়ঙ্কর মেরুকরণ, ‘আমাকে স্পর্শ কোরো না’ মানসিকতা। অথচ কৃষি আর শিল্পে আদৌ কোনও বিরোধ নেই। কৃষি থেকেই শিল্পের বিকাশ হয়। ইতিহাস বলে, কৃষকই শ্রমিকে পরিণত হয়েছে। শিল্পায়ন মানে কৃষিকে অবলুপ্ত করে দেওয়া, এ কথা কে বলেছে? স্বাধীনতার পর পঞ্চম বার্ষিকী পরিকল্পনাতেও কখনও কৃষি, কখনও শিল্পে জোর দেওয়া হয়েছে। নেহরু থেকে প্রশান্ত মহালনবিশ— সকলেই বুঝেছিলেন কৃষি এবং শিল্প একে অন্যের পরিপূরক। কাজেই হাতের মুষ্টি পাকিয়ে বনামের রাজনীতি করলে টেলিভিশনের টিআরপি বাড়ে, এক গণউন্মাদনা তৈরি হয় ঠিকই, কিন্তু সেই পরাবাস্তবতা ভোটের রাজনীতিতে রাজনৈতিক দলগুলিকে লভ্যাংশ দিলেও আসলে সেটা মানবজমিন থেকে অনেক অনেক দূরে।
বরং আসুন, ‘আমরা এই পাড়ায় গেলে দেখে নেব’ মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসি। শুধু পশ্চিমবঙ্গকে দোষ দেব না। এই ‘বনাম’-এর প্রতিযোগিতা গোটা বিশ্ব জুড়ে। বুশ যখন সাদ্দামকে আক্রমণ করলেন, তখনও সেই ‘বনামের’ দর্শন ছিল। ঠাণ্ডা যুদ্ধ থেকে আজকের বহুকেন্দ্রিক পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ লড়াইয়ে এই বনামের দর্শন ছিল। ঠাণ্ডা যুদ্ধ থেকে আজকের বহুকেন্দ্রিক পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ লড়াইয়ে এই বনামের দর্শন কি নেই! আমেরিকা ভারতকে প্রশ্ন করছে, তুমি ইরানের সঙ্গে না আমার দিকে? মায়ানমারের জুন্টা সরকারকে ভারত সমর্থন করছে, তা-ও পছন্দ নয় ওবামার। বুশও তো বলেছিলেন, আপনি কোন দিকে? ভারতের রাজনীতিতেও সেই একই বিরোধের খেলা। যখন প্রয়োজন পুনর্মিলন, ঠিক তখন বিভেদ আর সংঘাতের দাপট ক্রমবর্ধমান। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি প্রবর্তিত সংবিধান ভারতকে ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করে। জওহরলাল নেহরুর সময় কোনও বাবরি মসজিদ ধূলিসাৎ হয়নি। ভিলাইয়ের চিত্তরঞ্জন আর ভাকরানাঙালকেই তিনি চেনাতে চেয়েছিলেন একালের মন্দির-মসজিদ বলে। কিন্তু ছ’দশক পরে ভারতের রাজনীতিতে জাতীয়তাবাদের নামে মেরুকরণের প্রয়াস স্পষ্ট। এ-ও বনামের মূল্যবোধ। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ আর মুসলিম লিগ মুদ্রার দু’টি পিঠ। সমস্যা হচ্ছে, আমাদের দেশের সামাজিক কাঠামো বহুসংস্কৃতি ধন্য হলেও ভোটে জেতার জন্য সবাই মিলে বনামের রাজনীতি করি, তা বোঝা যায় না। নতুন নতুন প্রজন্ম আসছে, জেনারেশন এক্স থেকে ওয়াই। তারা চাইছে উন্নয়ন, শিল্পায়ন, তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ, আরও পড়াশোনার সুযোগ, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, মূল্যবৃদ্ধির নিয়ন্ত্রণ আর নাগরিক অধিকারের নিঃশ্বাস ফেলার অবকাশ।
কিন্তু নতুন প্রজন্ম কি ‘বনামের’ মূল্যবোধের চক্রব্যূহ্যে বন্দি। নেহরু তাঁর ভারত সন্ধানে লিখেছিলেন, পুরাতন কালের সেই মোহচ্ছন্ন ভাবটা কেটে যাচ্ছে। ভারত যেন তার সুদীর্ঘ সুষুপ্তির শেষে জাগ্রত চৈতন্যে বর্তমানকে এক বার ভাল করে দেখে নিতে শিখেছে। নেহরু স্বপ্ন দেখেছিলেন, কিন্তু বাস্তব আজও বনামের আবর্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে আর খাচ্ছে। কলেজ জীবনে মার্কসবাদী হারবার্ট আফতেকারের পাঠ্যপুস্তকে মুখ ঢেকেছিলাম। তিনি বলেছিলেন, সব হিংসাই মন্দ নয়। লক্ষ্য যদি ন্যায় হয় তবে হিংসার উপায় অন্যায় নয়। গাঁধী অবশ্য ভিন্ন কথা বলেছিলেন। অন্যায় পথে ন্যায়ের লক্ষ্যে পৌঁছনো যায় না।
এত বছর পর ইতিহাসের পটে আজকের পৃথিবীটাকে বিচার করে দেখছি যে হিংসার পথে কোনও সমস্যারই স্থায়ী সমাধান হয় না। সক্রেটিস যে ডায়ালগের কথা বলেছিলেন সেই আলোচনার পথই একমাত্র পথ। বহুত্ববাদী বহুসংস্কৃতির সভ্যতায় অন্য মত, অন্য দল, অন্য রাষ্ট্র, অন্য সমাজের ভিন্নতাকে যদি মেনে নেওয়ার ক্ষমতা না থাকে, তা হলে সেই অসহিষ্ণুতা থেকেই হিংসার জন্ম নেয়। ‘আইডেন্টিটি অ্যান্ড ভায়োলেন্স’ গ্রন্থে অমর্ত্য সেনও বলেছেন, অনেক সময় হিংসা অবচেতনে সুপ্তসত্তা হয়ে থাকে। বহুত্ববাদকে, অন্য মতকে সহ্য করার ক্ষমতার স্থিতিস্থাপকতার সীমানা চূর্ণ হয়ে গেলে সুপ্ত হিংসা দাঙ্গায় পরিণত হয়।
বহুত্ববাদকে স্বীকার করে নিতে পারলে বনামের রাজনীতি থাকে না। কাণ্ড থেকে মানুষের অখণ্ডতা প্রাপ্তি হয় সংঘাতে নয়, ঐক্য ও সমন্বয়ের ভাবনায়। আর্নস্ট ফিশার (Ernst Fischer) ‘হাউ টু রিড কার্ল মার্কস’ গ্রন্থে বলেছিলেন, কার্ল মার্কসের সারাজীবনের কাজটার পিছনে একটাই প্রেরণা ছিল। সেটা এক পূর্ণ মানুষের স্বপ্ন (the dream of a whole man)। একটি শ্যুটিং-শার্টিং কোম্পানির কমপ্লিট ম্যান হওয়া নয়, মার্কসের সমগ্র মানুষ সে-ই, যে বিচ্ছিন্নতার শিকার নয়। উৎপাদন ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন, উৎপাদনের উপকরণ থেকে বিচ্ছিন্ন, শেষ পর্যন্ত মানুষ নিজের থেকে নিজেই বিচ্ছিন্ন। এই বিচ্ছিন্নতা থেকে মুক্তির সন্ধানই বনামের সংঘাত ঘোচাতে পারে। মার্কস থেকে মার্ক্যুস, সকলেই বিচ্ছিন্নতা থেকে মানুষকে মুক্ত করে, বনাম থেকে পূর্ণাঙ্গ মানবসভায় পৌঁছে দিতে চেয়েছিলেন। ১৯৬৫ সালে প্রকাশিত মার্ক্যুসের একমাত্রিক মানুষেও তো মার্কসের কণ্ঠস্বর নতুন সুরে ধ্বনিত হল।
এখানে অবশ্য পাঠক প্রশ্ন করতে পারেন, বনাম না থাকলে অগ্রগতি কী ভাবে হবে? বনাম-সংঘাত বলে যদি কিছুই না থাকে, তবে ভারসাম্য-এনট্রপি-ইকুলিব্রিয়াম-সংহতিকে চিনব কী করে? সংঘাতের মধ্য দিয়েই তো ঐক্য-সংহতির আগমন ঘটে। থিসিস আর অ্যান্টিথিসিসের সংঘাত আছে বলেই তো সিন্থেসিস। মার্কস যাকে অ্যান্টিথিসিস বলেছিলেন, মার্কস তো সেটাকেই নিশ্চিত নেতি বা ‘ডিটারমিনেট নিগেশন’ বলেছিলেন। এই নেতি-শক্তিও সভ্যতার সঙ্কটে পরিত্রাণের সহায়ক শক্তি। মার্কসের নেতিশক্তি শ্রেণিকেন্দ্রিক, মার্ক্যুস মার্কসের একশো বছর পর। তাই সভ্যতার বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় নেতিশক্তিকে শ্রমিক শ্রেণির সঙ্গে আবশ্যিক ভাবে যুক্ত করেননি।
বনামের, সংঘাতের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করার মানে তাই বহুত্ববাদের বিরোধিতা করা নয়। বরং নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধান, নানা সত্তার বৈচিত্র্যকে স্বীকার করে নেওয়া। কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ভাষায়, “বরং আস্থা রাখো দ্বিতীয় সত্তায়।”
সর্বত্রই আছে নানা মত। নানান স্কুল অফ থট। সাহিত্যিক ওরহান পামুক যেমন ফ্রেডরিচ শিলারের তত্ত্ব স্মরণ করে আলোচনা করেছেন যে, তিনি ‘নেইভ’ নয়, সেন্টিমেন্ট্রাল সাহিত্যিক। একই ভাবে ক্লাসিকাল আর পোস্টমর্ডানিজমের মধ্যেও আছে মতপার্থক্য। কিন্তু এই দু’টি ভিন্ন স্কুল অফ থট-এর মতপার্থক্যটা মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গলের মতো বাদবিবাদে নিয়ে গিয়ে যুক্তিহীন হিংসার সংঘাতে পৌঁছে দেওয়াটা কাম্য নয়। ১৯১৭ সালে বলশেভিক বিপ্লবের পর রাষ্ট্র যখন নিজেকে নাস্তিক বলে ঘোষণা করল, তখনও এসেছিল বনামের দর্শন। সংবিধানে বলা হল, রাষ্ট্র নাস্তিকতা প্রচার করবে। অথচ, আজও সে দেশের মানুষকে নাস্তিক করে তোলা গেল না। উল্টে পোল্যান্ডের চার্চের যে বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল, আজ তা প্রতিষ্ঠিত সত্য। উল্টে বনামের দর্শন থেকে সরে এসে সমাজতন্ত্রী চিন নিজেই মসজিদ, গির্জা গড়ে তুলেছে। বৌদ্ধ প্যাগোডা তো চারিদিকে। তা হলে বনামের দর্শনের জয় হল কোথায়? সক্রেটিস যে ডায়ালগ নামক প্রক্রিয়াটির জন্ম দিয়েছিলেন, সেটাই তো আজও শেষ সমাধান। ভারত-পাক সংঘাতই হোক আর ব্যক্তি-পরিবার সমাজই হোক, সর্বত্রই তো মুক্তির পথ একটা। বনামের পথ ছেড়ে আলোচনার পথে আসা। প্রোটন আর ইলেকট্রন, শুক্রাণু আর ডিম্বাণু, ইতি আর নেতির এই দ্বন্দ্ব তো থাকবেই। কিন্তু সেই বনামের সংস্কৃতি থেকে আমরা-ওরা-র বিভাজন ভুলে সংহতিতে পৌঁছনোই ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎয়ের জয়যাত্রা।
অলঙ্করণ: সুমন চৌধুরী
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy