মাধ্যমিকের দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষায় অঘটন। কড়া নজরদারির মাঝেই মোবাইল নিয়ে ধরা পড়ল ছ’জন পরীক্ষার্থী। এদের মধ্যে তিন জন একই কোচিং সেন্টারের পড়ুয়া। পর্ষদ সূত্রে খবর, উত্তর দিনাজপুরের নন্দঝোর আদিবাসী তপসিলি হাই স্কুল পরীক্ষাকেন্দ্রে মোট চার জনের কাছ থেকে মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। ওই চার জন গোয়ালপোখর লোধান হাই স্কুলের ছাত্র।
জানা গিয়েছে, পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে দু’জন পরীক্ষার্থী হোয়াট্সঅ্যাপ মারফত নিজেদের শিক্ষক বা শিক্ষিকাদের কাছে প্রশ্নের ছবি পাঠিয়েছিল। অপর জন ‘ক্লাস ১০ বেঙ্গল’ নামের কোচিং সেন্টারের একটি গ্রুপে প্রশ্ন পাঠায়। এর পর কোচিং সেন্টারের শিক্ষক-শিক্ষিকারা দ্রুত উত্তর লিখে পাঠাতে শুরু করেন। পরীক্ষা শেষের মুখে ওই পরীক্ষার্থীদের মোবাইল সমেত ধরেন ইনভিজ়িলেটররাই।
ইতিমধ্যেই নন্দঝোর আদিবাসী তপসিলি হাই স্কুলের তরফে পরীক্ষার্থীদের নথি, হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপের ছবি এবং তথ্য-সহ আনুষঙ্গিক নথি নিয়েই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি, এই বিষয়ে পর্ষদকেও জানিয়েছে ওই স্কুল। বর্তমানে পুলিশ এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে এবং প্রয়োজনে পর্ষদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নেবে।
আরও পড়ুন:
২০২৪ মাধ্যমিকের সময় পরীক্ষা চলাকালীন ৪৫টি মোবাইল উদ্ধার হয়েছিল। সে বারও কোচিং সেন্টারের হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপের হদিস পায় পর্ষদ। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্রে এ বছরও ব্যবহার করা হচ্ছে কিউআর কোড। পাশাপাশি, প্রশ্নপত্রে উল্লম্ব ভাবে সিরিয়াল নম্বর-সহ ‘ওয়াটার মার্ক’ও রাখা হয়েছে। এর ফলে কেউ কিউআর কোড ঢেকে ছবি তোলার চেষ্টা করলেও ‘ওয়াটার মার্ক’-এর সাহায্যে সহজেই চিহ্নিত করা সম্ভব কোন জায়গা থেকে প্রশ্ন ফাঁস করা হয়েছে।
উত্তর দিনাজপুর ছাড়াও উত্তর চব্বিশ পরগনার ভাটপাড়া হাই স্কুল এবং পশ্চিম বর্ধমানের বেনাচিতি নেতাজি বিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষার্থীদের মোবাইল সমেত ধরা হয়। তারা যথাক্রমে হাজিনগর আদৰ্শ হিন্দি বিদ্যালয় এবং ভারতীয় হিন্দি হাই স্কুলের ছাত্র। প্রসঙ্গত, দু’দিন মিলিয়ে মোট সাত জন পরীক্ষার্থীর থেকে মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়াও পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, মাধ্যমিকের দ্বিতীয় দিনে অসুস্থতা এবং অন্যান্য কারণবশত ৫০ জন পরীক্ষার্থী হাসপাতাল থেকে পরীক্ষা দিয়েছে।