দীর্ঘ ১১ বছর ধরে রাজ্যের সরকারি স্কুলের গ্রন্থাগারগুলিতে গ্রন্থাগারিক নিয়োগ নেই। তার ফলে গ্রন্থাগারগুলি দেখভাল নিয়ে তৈরি হয়েছে সমস্যা। সরকারি নির্দেশে এ বার এক জন গ্রন্থাগারিক সামলাবেন দু’টি স্কুলের গ্রন্থাগার।
গ্রন্থাগারগুলির দেখাশোনার সমস্যা সমাধান করতে এ বার হিন্দু স্কুলের গ্রন্থাগারিককে সপ্তাহে তিন দিন বালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট স্কুলে গিয়ে গ্রন্থাগার পরিচালনা করতে হবে। এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছে স্কুল শিক্ষা দফতর।
আরও পড়ুন:
কলকাতার হিন্দু স্কুলের গ্রন্থাগারিক জিষ্ণু ভট্টাচার্যকে বালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট স্কুলের গ্রন্থাগারের দায়িত্বও সামলাতে হবে। সরকারের দেওয়া এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জিষ্ণু সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবার হিন্দু স্কুলের গ্রন্থাগার দেখভাল করবেন। বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার তিনি বালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট স্কুলের গ্রন্থাগার সামলাবেন।
এক জন গ্রন্থাগারিককে দু’টি স্কুলের গ্রন্থাগারের দায়িত্ব দেওয়ায় জোর জল্পনা শুরু হয়েছে শিক্ষকমহলে। যদিও এক জন গ্রন্থাগারিককে দু’টি স্কুলের দায়িত্ব দেওয়ায় আইনত কোনও বাধা নেই। কিন্তু শিক্ষকমহলের আশঙ্কা, একজনের হাতে দু’টি স্কুলের দায়িত্বে থাকলে কোনওটাই যথাযথ ভাবে চলবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ।
আরও পড়ুন:
এ প্রসঙ্গে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু বলেন, ‘‘২০১৪-১৫ সালে শেষ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে ১৪টি স্কুলে শূন্যপদের জন্য গ্রন্থাগারিক নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছিল। নিয়োগ হয়েছিল ছ’টি স্কুলে। তার পরে আর কোনও নিয়োগ হয়নি। এ ভাবে একজন কর্মী যদি দু’টি জায়গায় কাজ করেন তা হলে কোনও গ্রন্থাগারই ঠিক মতো চলবে না। আমরা স্থায়ী সমাধান চাই, অবিলম্বে নিয়োগ প্রয়োজন।’’
বর্তমানে রাজ্যে সরকারি স্কুলের সংখ্যা ৪১। তার মধ্যে ৩১ স্কুলে গ্রন্থাগার রয়েছে। এবং তার জন্য শূন্যপদও রয়েছে। বর্তমানে মাত্র চারটি স্কুলে গ্রন্থাগারিক রয়েছেন। বাকি ২৭ পদ শূন্য।
শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, একটি স্কুলে গ্রন্থাগারিক আছে অপর স্কুলটিতে গ্রন্থাগারিক নেই। তাই পড়ুয়াদের কিছুটা যাতে সুবিধা হয়, তাই এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। আমরা পিএসসির মাধ্যমে শূন্যপদে নিয়োগের জন্য আবেদন করেছি।