প্রকাশিত হল উচ্চ মাধ্যমিকের তৎকাল পোস্ট পাবলিকেশন স্ক্রুটিনি (পিপিএস) ও পোস্ট পাবলিকেশন রিভিউ (পিপিআর)-এর ফলাফল। ১ থেকে ২০ নম্বর বৃদ্ধি হয়েছে ৯৮ জনের। এ ছাড়াও ২১ থেকে ৩০ নম্বর বেড়েছে ১২ জনের এবং ৩১-র বেশি নম্বর বেড়েছে ২০ জনের। পিপিএস-পিপিআর মিলিয়ে মোট নম্বর বেড়েছে ২,৬৮৯ জনের। তবে সর্বোচ্চ নম্বর বৃদ্ধি কত, তা নির্দিষ্ট করে জানায়নি সংসদ।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘প্রায় পাঁচ লক্ষ পরীক্ষার্থীর ৩০ লক্ষ খাতা দেখতে হয়। যদিও গত বছরের তুলনায় এ বছর পুনরায় নম্বর বিবেচনায় অনেক কম সংখ্যক পড়ুয়ারই নম্বর বেড়েছে। তবে ২১ থেকে ৩০ এবং ৩০-এর বেশি নম্বর পেয়েছে ৩২ জন, এই সংখ্যাটা অনেকটাই বেশি। তাই আরও একবার সংসদ যাচাই করে দেখবে।’’
চলতি বছর মেধাতালিকায় প্রথম ১০-এ মোট ৭২ জন ছিল। কিন্তু পিপিএস-পিপিআর-এর ফল ঘোষণার পর আরও একজনের নাম যুক্ত হল তালিকায়। আলিপুরদুয়ারের সালকুমার হাট হাই স্কুলের পড়ুয়া মৌমা বিশ্বাস। তালিকায় স্থান ছিল একাদশ। রিভিউয়ের পর দু’নম্বর বেড়েছে তাঁর। মেধাতালিকার নবম স্থানে এখন বাকি ১৭ জনের সঙ্গে তাঁরও নাম যুক্ত হল। ৪৮৭ থেকে নম্বর বৃদ্ধি হয় মৌমার প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৯।
আরও পড়ুন:
পিপিআর-এ মোট বিষয়ভিত্তিক ৬,১০১টি উত্তরপত্র জমা পড়েছিল। তার মধ্যে ১,৬০২ জনের নম্বরে পরিবর্তন হয়েছে। ৪,৪৯৯ জনের হয়নি। পাশাপাশি, পিপিএস-র ক্ষেত্রে ৫,৪৫৪ টি উত্তরপত্র জমা পড়েছিল। তার মধ্যে পরিবর্তন হয়েছে ১,০৮৭ জনের এবং পরিবর্তন হয়নি ৪,৩৬৭ জনের।
সব থেকে বেশি জনের নম্বর বেড়েছে বাংলা বিষয়ে। মোট ন’জনের নম্বর বৃদ্ধি হয়েছে এই বিষয়ে। এ ছাড়াও এক জন করে পড়ুয়ার নম্বর বেড়েছে অ্যাকাউন্টেন্সি, আরবি, বায়োলজি, পরিবেশবিদ্যা, দর্শনে। এডুকেশন, ভূগোল, পদার্থবিদ্যা এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান— প্রতিটি বিষয়েই পৃথক পৃথক ভাবে দুই জনের নম্বর বেড়েছে । ইতিহাস এবং সংস্কৃততে তিনজন করে পরীক্ষার্থীর নম্বর বেড়েছে। এবং ইংরেজিতে মোট চার জনের নম্বর বৃদ্ধি হয়েছে।
উচ্চ মাধ্যমিকের তৎকাল স্ক্রুটিনি ও রিভিউ-র জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু করা হয়েছিল ৮ মে রাত ১২ টা থেকে, শেষ হয় ১১ মে রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে। অন্য দিকে এখনও তৎকাল ছাড়া (রেগুলার ভিত্তিতে) আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়া চলছে, যা শেষ হবে ২২ মে। রেগুলার ভিত্তিতে পিপিএস-পিপিআর-এর কবে ফলাফল ঘোষণা করা হবে তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত জানানো হয়নি শিক্ষা সংসদের তরফে। এই ৩২ জনের এত বেশি নম্বরে পরিবর্তনের পর উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের মূল্যায়ন নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষক মহলের একাংশ।