চুরি, ডাকাতি বা খুন-ধর্ষণ কিংবা বোমা বিস্ফোরণ— অপরাধী যত বড়ই হোক না কেন, কোনও না কোনও সূত্র ফেলে যায়। অন্তত এমনই বিশ্বাস করেন তদন্তকারীরা। কিন্তু সেই সূত্রে টান দিয়ে আসল মাথাকে খুঁজে বের করার কাজটা খুব সহজ নয়। কারণ সে সব সূত্র অকুস্থলে পড়ে থাকে এমন ভাবে, যা সাধারণ চোখে দেখাই যায় না। এমনকি গোয়েন্দাদের পক্ষেও তা ধরে ফেলা সম্ভব নয়। তখনই সেখানে আসেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা। যাঁদের কাজ নিতান্তই বৈজ্ঞানিক। তবে তার সঙ্গে জুড়ে থাকে টান টান রহস্য উন্মোচনের উত্তেজনা।
ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ হিসাবে পেশা নির্বাচন করতে হলে কী ধরনের পড়াশোনা করতে হয়, কী ভাবে তৈরি করতে হয় নিজেকে? রইল সে সব প্রশ্নের উত্তর—
কী যোগ্যতা প্রয়োজন?
এই পেশার সঙ্গে রসায়ন জুড়ে থাকে অঙ্গাঙ্গি ভাবে। তাই দ্বাদশে গণিত, রসায়ন, পদার্থবিদ্যা, জীববিদ্যা-সহ বিজ্ঞান বিভাগে উত্তীর্ণ হতে হবে ভাল ফল করে। তার পর সুযোগ মিলবে ফরেন্সিক সায়েন্স-এ স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পাঠের। বিশেষ ভাবে পড়তে হয় ফরেন্সিক কেমিস্ট্রি, টক্সিকোলজি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট অ্যানালাইসিস-সহ বিজ্ঞান নির্ভর নানা বিষয়।
জেনেটিক্স বা বায়োকেমিস্ট্রি নিয়ে পড়ার পরেও ফরেন্সিক সায়েন্স পড়ার সুযোগ রয়েছে।
কলকাতায় কোন কোন প্রতিষ্ঠানে পড়ানো হয়?
মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি-এ (ম্যাকাউট)।
দি ওয়েস্ট বেঙ্গল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ জুরিডিক্যাল সায়েন্সেস (ডব্লিউবিএনইউজেএস)।
এ ছাড়াও বেসরকারি কিছু প্রতিষ্ঠানেও এই বিষয়ে পড়ানো হয়।
চাকরির সুযোগ সুবিধা কেমন?
পাঠক্রম শেষের পর সংশ্লিষ্ট পদে নিয়োগের পরীক্ষা দিতে হয়। সিবিআই, সিআইডি, প্রশাসনিক স্তর, অর্থাৎ সরকারি সংস্থাতে চাকরির সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি বহু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করে। তবে, বিভিন্ন গবেষণা চাকরির সুযোগ থাকে।