দ্বাদশ শ্রেণির পাঠক্রমে কৃষিবিদ্যা বা কৃষিবিজ্ঞান থাকলেও এ বার দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্নাতকস্তরে ভর্তি হওয়া যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আইকার কোটার অধীনে স্নাতকে ভর্তি হতে পারবেন তাঁরা।
দেশের ৫০টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষিবিজ্ঞান নিয়ে স্নাতকে ভর্তির জন্য আইকার কোটায় ২০ শতাংশ আসন বরাদ্দ রাখা হয়। এই ৩,১২১টি আসনে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ (আইকার) আয়োজিত অল ইন্ডিয়া কম্পিটিটিভ এগজ়ামিনেশন (এআইসিই)-এ উত্তীর্ণদের ভর্তি নেওয়া হয়। এত দিন পর্যন্ত দ্বাদশে কৃষিবিদ্যা নিয়ে পড়লেও সংশ্লিষ্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দেশের বেশিরভাগ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকে ভর্তির সুযোগ পাওয়া যেত না। দ্বাদশে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, গণিত এবং জীববিদ্যা থাকা আবশ্যক ছিল। তাই এ নিয়ে ক্ষোভও ছিল।
সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান জানিয়েছেন, দেশের সব পড়ুয়াই এখন একই রকম সুযোগ পাবেন। তাঁদের মধ্যে কোনও বিভাজন রাখা হবে না। ভর্তি সংক্রান্ত এই জটিলতা দূর হওয়ায় চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই সুবিধাভোগ করতে পারবেন প্রায় ৩,০০০ পড়ুয়া।
আরও পড়ুন:
আইকার-এর ডিরেক্টর জেনারেল এম এল জাট পিটিআই-কে জানিয়েছেন, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহার-এর মতো কিছু রাজ্য ছাড়া দেশের অন্য রাজ্যে দ্বাদশে কৃষিবিদ্যা পড়ানো হয় না। নতুন ব্যবস্থা কার্যকর হলে এ সমস্ত রাজ্যের যে পড়ুয়ারা দ্বাদশে কৃষিবিদ্যা পড়ার পর সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করবেন, তাঁরাও এগ্রিকালচার-এ বিএসসি করার সুযোগ পাবেন।
নয়া নিয়ম অনুযায়ী, দেশের ৫০টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয়েই কৃষিবিদ্যা, জীববিদ্যা, রসায়ন নিয়ে প্রবেশিকায় উত্তীর্ণ হলে আইকার কোটায় ভর্তির সুযোগ মিলবে। আবার, তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন এবং কৃষিবিদ্যা নিয়ে দ্বাদশের পরীক্ষা পাশের পর আইকার-এর প্রবেশিকায় উত্তীর্ণ হলে স্নাতকে ভর্তির সুযোগ পাওয়া যাবে। বাকি পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় তাঁদের বোর্ড অফ ম্যানেজমেন্টের অনুমতি নিয়ে ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে এই ব্যবস্থা কার্যকর করতে পারবে বলে আশাবাদী।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের সঙ্গে আলোচনা করে চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই ব্যবস্থা চালু করা যায় কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখছে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলি।