রাজ্য জয়েন্টে প্রথম অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী আইআইটি খড়্গপুরে ভর্তি হয়ে গিয়েছেন। সেখানে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়তে চান তিনি। রাজ্য জয়েন্টের ফল প্রকাশের পরও সেই সিদ্ধান্তেই অনড় শীর্ষ স্থানাধিকারী। ১১৭ দিন পরে ফল প্রকাশ হওয়ার বিষয়ে কৃতীর সাফ বক্তব্য, ‘আইনি জটিলতা থাকলে কী আর করা যাবে? পড়ুয়াদেরই ভুগতে হল!’
ফল প্রকাশ নিয়ে আইনি জটিলতা প্রসঙ্গ মিশ্র প্রতিক্রিয়া রাজ্য জয়েন্টে প্রথম অনিরুদ্ধ চক্রবর্তীর। নিজস্ব চিত্র।
স্কুল জীবনে বরাবরই ভাল ছাত্র হিসাবে পরিচিত অনিরুদ্ধ পার্ক সার্কাসের ডন বস্কো স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। সিআইএসসিই-এর দশমে ৯৮.৪ শতাংশ, দ্বাদশে ৯৯.০ শতাংশ, জেইই অ্যাডভান্সডে ৩৪৮ র্যাঙ্ক এবং জেইই মেনসে ৭০৪ র্যাঙ্ক— কৃতী বরাবরই নজরকাড়া ফল করেছেন প্রতিটি পরীক্ষায়। এত ভাল ফলাফলের জন্য কী সারাদিন বইয়ের মুখ গুঁজে থাকতেন? প্রশ্নের উত্তরে অনিরুদ্ধ বলেন, ‘রাতে বড়জোর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত পড়তাম। স্কুল থেকে ফিরে সময় মেপেই পড়াশোনা করেছি, আলাদা করে জয়েন্টের জন্য কোচিংও করেছি।’
আলাদা করে টিউশন পড়লেও বাড়িতে পড়াশোনার পরিবেশ ছিল যথেষ্ট। কথা বলে জানা গেল, বাবা অম্লান চক্রবর্তী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও টেকনোলজি বিভাগের ডিন এবং মা সাউথ পয়েন্টের পদার্থবিদ্যার শিক্ষিকা। দাদা আইআইটি কানপুরের ছাত্র। তাঁদের সাহচর্যে অনিরুদ্ধের বড় হওয়া।
গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
ক্রিকেটার হিসাবে বিরাট কোহলি এবং ফুটবলার মেসিকে ভীষণ পছন্দ। প্রিয় ফুটবলারের দক্ষতা এবং সব সময় প্রথম স্থানে থাকার চেষ্টাই অনিরুদ্ধকে উৎসাহ দিয়েছে। অবসরে কমেডি সিনেমা দেখতে ভালবাসেন কৃতী। ভবিষ্যতেও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী অনিরুদ্ধ। তবে এখনই নিশ্চিত নন তিনি।