ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এর আগে শিক্ষাকর্মী নিয়োগের পরীক্ষা নিতে পারছে না এসএসসি। সূত্রের খবর, আগামী বছর জানুয়ারির মাঝামাঝি পরীক্ষার দিন ঘোষণা হতে পারে। ফলে ধরে নেওয়াই যায়, প্রস্তুতির জন্য অন্তত দিন ১৫ সময় লাগবে।
গত শুক্রবার শেষ হয়েছে গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি পদে নিয়োগ পরীক্ষার জন্য আবেদন গ্রহণ। প্রাথমিক ভাবে প্রায় ১৬ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে বলে খবর। যদিও এখনও অনেকে আবেদন মূল্য জমা দেননি। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন মূল্য জমা দেওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে। ফলে এর পরই আবেদনকারীর সঠিক সংখ্যা জানা যাবে।
আবেদন প্রক্রিয়া ডিসেম্বরে শেষ হলেও পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে। কিন্তু কেন এত বিলম্ব? কমিশনের এক কথা জানিয়েছেন, সর্বশেষ নবম-দশম শ্রেণির জন্য শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্যই তাঁদের ৬৬১টি পরীক্ষাকেন্দ্রের ব্যবস্থা করতে হয়েছিল। শিক্ষাকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেকটাই বেশি হবে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে প্রায় ১৫০০ পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রয়োজন হবে। এত সংখ্যক কেন্দ্র স্থির করা এবং পরীক্ষা নেওয়ার মতো পরিকাঠামো তৈরি করতে খানিকটা সময় লাগবে বলেই ওই কর্তার দাবি। তাই দিন ঘোষণা হবে আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি।
আরও পড়ুন:
গত ৩ নভেম্বর শিক্ষাকর্মী নিয়োগের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করেছিল এসএসসি। তা শেষ হওয়ার কথা ছিল ৩ ডিসেম্বর। কিন্তু প্রযুক্তিগত গোলমালের কারণে অনেকেই আবেদন করতে পারছিলেন না। তাই সময়সীমা প্রাথমিক ভাবে ৮ ডিসেম্বর এবং পরে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত করে এসএসসি।
হিসাব বলছে, ২০১৬ সালে নিয়োগে গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি মিলিয়ে স্কুলে স্কুলে নিয়োগের জন্য প্রায় ১৮ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছিল। প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির অভিযোগে সে বারের গোটা প্যানেলই বাতিল করে সুপ্রিম কোর্ট। এসএসসি সূত্রে খবর, গ্রুপ-সি বিভাগে ২৯৮৯টি এবং গ্রুপ-ডি বিভাগে ৫৪৮৮ টি শূন্যপদ রয়েছে। মাধ্যমিক পাশ করলেই গ্রুপ-ডি পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবেন প্রার্থীরা।