পরিবেশ দূষণ রোধে বিশেষ পদক্ষেপ আশুতোষ কলেজের ভূগোল বিভাগের। ক্রমাগত দূষণবৃদ্ধি থেকে বাঁচার উপায় খুঁজে বের করলেন কলেজ পড়ুয়ারা। পরিবেশ রক্ষায় তৈরি হল নানা মডেল। কেউ তৈরি করলেন ‘ভাসমান টেকসই বাসস্থান’, কেউ আবার ‘টেকসই শক্তির মাধ্যমে পৃথিবীর শ্বাস-প্রশ্বাসের সমাধান’।
সম্প্রতি কলেজের ভূগোল বিভাগের তরফে এক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। যেখানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের পড়ুয়ারা অংশগ্রহণ করেছিলেন। কলজের অধ্যক্ষ মানস কবি বলেন, “আশুতোষ কলেজের ভূগোল বিভাগ দ্বারা আয়োজিত এমন উদ্ভাবনী মডেল-নির্মাণ প্রতিযোগিতা ভূগোলের ছাত্রছাত্রীদের বিশ্বের দরবারে পৌঁছে যেতে নানা ভাবে সাহায্য করবে। বিভিন্ন গবেষণা-প্রতিষ্ঠানে গবেষণা করতে এবং গবেষণাপত্র লিখতে এই ধরনের প্রতিযোগিতা ছাত্রছাত্রীদের সৃষ্টিশীল মনকে উৎসাহিত করবে।”

আশুতোষ কলেজের ভূগোল বিভাগের পড়ুয়ারা। নিজস্ব চিত্র।
মূলত এই প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে যে মডেল গুলি তৈরি করেন পড়ুয়ারা, সে গুলি বিশ্বের নানা গবেষণাগার (যেখানে পরিবেশ রক্ষা নিয়ে গবেষণা হয়)-এ পাঠানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

আশুতোষ কলেজের ভূগোল বিভাগ। নিজস্ব চিত্র।
আরও পড়ুন:
একটি মডেলের নাম দেওয়া হয়ছে ‘ভাসমান টেকসই বাসস্থান’। বন্যাপ্রবণ অঞ্চলের জন্য মূলত তৈরি করা হয়েছে এই মডেলটি। দ্বিতীয় আরও একটি মডেলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘টেকসই শক্তির মাধ্যমে পৃথিবীর শ্বাস-প্রশ্বাসের সমাধান’। এই মডেলটি পরিষ্কার বাতাসের জন্য যা প্রয়োজন সেগুলি প্রদান করবে, স্বাস্থ্যকর, আরও টেকসই নগর পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে বানানো হয়েছে। তৃতীয় মডেলের নাম দিয়েছেন ‘নব ভারত: নগর স্থায়িত্ব পুনর্কল্পনা’। এই মডেলের মূল লক্ষ্য যাতে শহরগুলির উপর দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি না পায়। এ ছাড়াও জল সংরক্ষণ, জল দূষণ, বায়ূ দূষণ নিয়ে আরও বেশ কিছু মডেল তৈরি করা হয়েছে।

আশুতোষ কলেজের ভূগোল বিভাগের পড়ুয়ারা। নিজস্ব চিত্র।
প্রতিষ্ঠানের তরফে জানানো হয়েছে, কলেজের ধারাবাহিক পাঠ্যক্রমের বাইরে গিয়েও ভূগোল বিভাগের বরাবর চেষ্টা থাকে পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে কিছু করার। প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে এমন মডেল তৈরি করলে পড়ুয়াদের মধ্যেও আগ্রহ বাড়বে। ভবিষ্যতে এই মডেলগুলিকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যেই এগোচ্ছে আশুতোষ কলেজের ভূগোল বিভাগ।